খুঁজুন
শুক্রবার, ২৩শে মে, ২০২৫, ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

মার্কিন নির্বাচন ২০২৪ : বাংলাদেশের জন্য কী বয়ে আনবে?

ড. সুজিত কুমার দত্ত প্রকাশিত: শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৪, ১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ
মার্কিন নির্বাচন ২০২৪ : বাংলাদেশের জন্য কী বয়ে আনবে?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন সবসময়ই বিশ্ব রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। মার্কিন নির্বাচনের প্রতিটি পর্যায়ের ফলাফল বিশ্ব রাজনীতিতে বিশাল প্রভাব ফেলে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রধান রপ্তানি গন্তব্য এবং অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী, সেখানে মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাণিজ্য, মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের প্রচারে মার্কিন নীতিমালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল বাংলাদেশের অর্থনীতি, কূটনীতি এবং সার্বিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করতে পারে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম প্রধান দুটি নীতি হলো মানবাধিকার সুরক্ষা এবং গণতন্ত্রের প্রচার। এই দুটি নীতির ভিত্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী তার আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এই নীতির প্রয়োগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায়শই বিভিন্ন দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে থাকে।

উদাহরণস্বরূপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২১ সালে বাংলাদেশের র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং এর সাতজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এবং গণতন্ত্রের ক্ষতি ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো যারা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তাদের ২০২৩ সালে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পণ্যসমূহের প্রধান রপ্তানি গন্তব্য। বিশেষ করে, তৈরি পোশাক শিল্পে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ক্রেতা। ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনের ফলে যদি বাণিজ্য নীতি পরিবর্তিত হয়, তবে এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।

তাছাড়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। মার্কিন সাহায্য এবং বিনিয়োগ বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নতুন মার্কিন প্রশাসন যদি মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের প্রচারকে আরও গুরুত্ব দেয়, তবে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।

বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাণিজ্য, মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের প্রচারে মার্কিন নীতিমালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল বাংলাদেশের অর্থনীতি, কূটনীতি এবং সার্বিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করতে পারে।

বিশেষ করে, র‌্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এবং ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আরও কঠোর হতে পারে। তবে, নতুন প্রশাসন যদি বাণিজ্য নীতি এবং উন্নয়ন সহযোগিতার ক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তবে এটি বাংলাদেশের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে।

মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল বাংলাদেশের নীতি নির্ধারণে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে হলে বাংলাদেশকে মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হতে হবে। এছাড়া, বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের পর নতুন মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে নতুন নীতি গ্রহণ করতে পারে।

বিশেষ করে, মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করা হতে পারে। এছাড়া, বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য নতুন চুক্তি এবং বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যবসায়িক মনোভাবাপন্ন হওয়ায়, তার প্রশাসন পুনরায় ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প, যা যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য, এর বাজার আরও বিস্তৃত হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। ট্রাম্প প্রশাসন উন্নয়ন সহযোগিতায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে পারে, যা বাংলাদেশের অবকাঠামো, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

অন্যদিকে, কমলা হ্যারিস নির্বাচনে জিতলে তার প্রশাসন মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের ব্যাপারে বেশ কড়া অবস্থান গ্রহণ করবেন। তার প্রশাসন মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশের পাশে থাকতে পারে। এতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ আরও সুস্থ ও স্থিতিশীল হবে যা, আমাদের অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করেতে পারে।

মার্কিন নির্বাচনের ফলে বাংলাদেশের বৈশ্বিক অবস্থানেও পরিবর্তন আসতে পারে। নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে পারলে বাংলাদেশ বিশ্বমঞ্চে তার অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে পারবে। এছাড়া, মার্কিন সাহায্য এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্ববর্তী প্রশাসনে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি অনুসরণ করা হয়েছিল, যা বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কঠোর ছিল। পুনরায় নির্বাচিত হলে ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে নতুন করে মূল্যায়ন করতে পারে এবং উচ্চ শুল্ক বা অন্যান্য বাণিজ্য বাধা সৃষ্টি করতে পারে, যা বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য নীতি প্রায়শই জাতীয়তাবাদী এবং প্রতিরক্ষামূলক হয়েছে, যা অন্যান্য দেশের জন্য বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশের জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। যদি তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন, তবে এই নীতিগুলো বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসন বাণিজ্য যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে, এর প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতে পড়তে পারে এবং বাংলাদেশের রপ্তানি শিল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

অন্যদিকে, কমলা হ্যারিসের প্রশাসন মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের প্রচারে খুবই কঠোর হতে পারে। এটিও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং প্রশাসনিক কাঠামোতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলাদেশের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে।

যারা গণতান্ত্রিক পরিবেশ লঙ্ঘন করেছে তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর হতে পারে, যা বাংলাদেশের বিভিন্ন পেশাদার এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ ও বিদেশি সাহায্যের পরিমাণ কমে যেতে পারে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হলে বাংলাদেশের জন্য কিছু নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জের সম্ভাবনা রয়েছে। বাণিজ্য, উন্নয়ন সহযোগিতা, কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং মানবাধিকার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে, ট্রাম্প প্রশাসনের অনিশ্চিত নীতি এবং অপ্রতুল উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং সামাজিক পরিস্থিতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই, ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের সতর্ক থাকতে হবে এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হলে বাংলাদেশের জন্য কিছু নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জের সম্ভাবনা রয়েছে। বাণিজ্য, উন্নয়ন সহযোগিতা, কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং মানবাধিকার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

অন্যদিকে, কমলা হ্যারিসের প্রশাসন মানবাধিকার এবং পরিবেশ সংক্রান্ত নীতিতে জোর দেবে। এই কারণে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিক অধিকার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকায়, হ্যারিস প্রশাসন কঠোর শুল্ক বা বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে। পাশাপাশি, বাংলাদেশের শিল্পখাতকে পরিবেশবান্ধব করতে হ্যারিস প্রশাসন চাপ দিতে পারে, যা শিল্প উৎপাদন খরচ বাড়াতে পারে।

মার্কিন নির্বাচন বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন প্রশাসন যদি মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের প্রচারকে গুরুত্ব দেয়, তবে বাংলাদেশকে এই ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হতে হবে। এছাড়া, বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে।

মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল বাংলাদেশের নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। নতুন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে হলে বাংলাদেশকে মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হতে হবে। এছাড়া, বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মার্কিন নির্বাচনের পর নতুন প্রশাসনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে নতুন কৌশল গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে, তৈরি পোশাক শিল্পে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের সুযোগ বাড়ানোর জন্য নতুন চুক্তি এবং বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে হলে বাংলাদেশকে মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হতে হবে।

এছাড়া, বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; যা ভবিষ্যতে Generalized System of Preferences (GSP) সুবিধা নিশ্চিতে কার্যকারী ভূমিকা পালন করতে পারে। নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে পারলে বাংলাদেশ বিশ্বমঞ্চে তার অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে পারবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নেও বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে।

অধ্যাপক ড. সুজিত কুমার দত্ত ।। সভাপতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
datta.ir@cu.ac.bd

‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

দেশের সর্বত্র উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে পদত্যাগের চিন্তা করছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এমন গুঞ্জনের মধ্যে তার সঙ্গে দেখা করে আসলেই পদত্যাগ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ভাবছেন বলে নিশ্চিত করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। অবশ্য তিনি যেন এমন সিদ্ধান্ত না নেন সেই অনুরোধ জানিয়েছেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন নাহিদ ইসলাম। পরে বিবিসি বাংলাকে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতি, স্যারেরতো পদত্যাগের একটা খবর আমরা আজকে সকাল থেকে শুনছি। তো ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্যারের সাথে দেখা করতে গেছিলাম। প্রধান উপদেষ্টা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবেন না এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।’

এসময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও ছিলেন বলে জানা গেছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্যার বলছেন আমি যদি কাজ করতে না পারি… যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে আনছিলা একটা গণঅভ্যুত্থানের পর, দেশের পরিবর্তন, সংস্কার…। কিন্তু যেই পরিস্থিতি যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে। আমিতো এভাবে কাজ করতে পারবো না। তো রাজনৈতিক দলগুলা তোমরা সবাই একটা জায়গায়, কমন জায়গায় না পৌঁছাতে পারো।’

প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন নাহিদ। এ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘আমাদের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের ভবিষ্যৎ সবকিছু মিলিয়ে উনি যাতে শক্ত থাকেন এবং সব দলকে নিয়ে যাতে ঐক্যের জায়গায় থাকেন, সবাই তার সাথে আশা করি কো-অপারেট করবেন।’

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করছেন জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘হ্যাঁ, যদি কাজ করতে না পারেন, থাকবেন, থেকে কী লাভ। উনি বলছেন উনি এ বিষয়ে ভাবছেন। ওনার কাছে মনে হয়েছে পরিস্থিতি এরকম যে তিনি কাজ করতে পারবেন না।’

পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার এখনকার মনোভাবের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এখন ওনি যদি রাজনৈতিক দল তার পদত্যাগ চায়… সেই আস্থার জায়গা, আশ্বাসের জায়গা না পাইলে উনি থাকবেন কেন?’

জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

জুলাইয়ের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক শক্তির মধ্যে ফাটল তৈরি ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ র‍্যালি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৮০টি সংগঠনের ঐকবদ্ধ প্লাটফর্ম ‘জুলাই ঐক্য’।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে  প্রতিবাদ র‌্যালি শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যের এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, “যে ঐক্য নিয়ে আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থান করেছিলাম সে ঐক্য ভাঙতে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা ষড়যন্ত্র করে জুলাই ঐক্যকে বিনষ্ট করতে চাইবে জুলাই জনতা তাদেরকে আবারও দিল্লিতে পাঠিয়ে দেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে আমরা লড়ে যাবো। ভারতীয়, মার্কিন আগ্রাসনে ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জুলাই জনতা বুক পেতে আবার রাজপথে নেমে আসবে। আমরা আবারও বুকের তাজা রক্ত দেবো তবুও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নষ্ট হতে দেবো না।”

এ সময়  বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সচিবালয়ে ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর বসে আছে। ৩১ মে এর মধ্যে সচিবালয় থেকে ফ্যাসিবাদের সকল দোসর  অপসারণ না করলে সচিবালয় ঘেরাও হবে।”

জুলাই ঐক্যের আপ বাংলাদেশের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যে সকল ভারতীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত অপসারণ করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “জুলাইয়ের শহীদদের রক্তের ওপর আপনার সরকার গঠিত। আমরা আপনার ওপর আস্থা রাখতে চাই। জুলাইয়ের ঐক্যকে যারা নষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। অতি দ্রুত জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা দেন এবং আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করুন।”

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসার না দিয়ে উপদেষ্টারা ক্ষমতা উদযাপন শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ভারতীয় আধিপত্যবদের দোসরা আবারও দেশকে ভারতের কাছে তুলে দিতে চায়। উপদেষ্টা পরিষদে ভারতীয় কোনো দালাল থাকতে পারবে না। জুলাই যোদ্ধারা বেঁচে থাকতে তা সফল হবে না। এবার রাজপথে নামতে হলে আপনাদের উৎখাত করে দেশ ছাড়া করা হবে। যারা জুলাই ঐক্যের ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন।”

এছাড়াও জুলাই স্পিরিট ধরে রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকল ভেদাভেদ ভুলে সকল রাজনৈতিক ও সমাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি জানান। জুলাই ঐক্যের ৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—

ক) জুলাইয়ের সকল শক্তিকে বিনষ্ট করতে যে সকল ভারতীয় এজেন্ট কাজ করছে তাদের অবিলম্বে খুজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

খ) উপদেষ্টা পরিষদে যারা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ব্যাতিব্যাস্ত অবিলম্বে তাদের অপসারন করে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।

গ) অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র যথা সময়ে দিতে হবে।

উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ
উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

আগের সব ‘বিভাজনমূলক বক্তব্য ও শব্দচয়নের’ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও।

হাসনাত বলেছেন, “এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নগ্ন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপদেষ্টা মাহফুজ আব্দুল্লাহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এমন আহ্বান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সেখানে তিনি লিখেচেন, “জুলাইয়ের ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তির প্রতি আহ্বান—যে বিভাজনটা অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের মধ্যে এসেছিল, সেই বিভাজনকে দেশ ও জাতির স্বার্থে মিটিয়ে ফেলতে হবে।”

তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, “মনে রাখবেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনে দেশে-বিদেশে অনেকে নাখোশ হয়ে আছে। এই নাখোশ বান্দারা আমাদের বিভাজনের সুযোগ নিতে নিতে আজকের এই অস্থিতিশীল দিন এনেছে। আমরা সবাই এক হয়েছিলাম বলেই দীর্ঘ দেড় যুগের শক্তিশালী ফ্যাসিবাদকে তছনছ করতে পেরেছিলাম। আমরা খণ্ড-বিখণ্ড হলে পতিত ফ্যাসিবাদ ও তার দেশি-বিদেশি দোসরেরা আমাদের তছনছ করার হীন পাঁয়তারা করবে।”

হাসনাত বলেন, “দেশ ও জাতির প্রতি দায় এবং দরদ আছে বলেই আমরা এক হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়েছিলাম। দেশ ও জাতির জন্যই এবার আমাদের এক হয়ে আমাদের স্বদেশকে বিনির্মাণ করতে হবে। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থের জন্য এই ঐক্য নয়, বরং আমাদের দেশের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনও বিকল্প নেই।”

"> ">
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের ব্রাইডাল লুকে মুগ্ধতা ছড়ালেন অপু বিশ্বাস না আছে মরার ভয় না আছে হারাবার কিছু : আসিফ মাহমুদ গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন ট্টাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নাহিদ ইসলাম সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করল আইএসপিআর বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রেস বিজ্ঞপ্তি নাগরিক ছাত্র ঐক্য সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা বীরগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু শেরপুর সীমাবাড়ি ইউনিয়নের কদিম হাঁসড়া গ্রামে বিমলের বাড়িতে মাদকের আখরা, যেন দেখার কেউ নেই রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে বড় ধরনের বদলি! ভবানীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা পুলিশ অঞ্জাত কিশোরীর লাশ উদ্ধারের পরিচয় সনাক্তে ফেইসবুকে পোস্ট বীরগঞ্জে এনসিপি নেতা হাসনাতের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস পালিত বীরগঞ্জে মহান শ্রমিক দিবস পালিত ছোনকায় মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্নাঢ্য র‌্যালী শেষে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন কাহারোলে স্কাউটস দিবস উপলক্ষে র‍্যালি,পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু দুদকের আকস্মিক অভিযান: বীরগঞ্জ হাসপাতালে দুর্নীতির চিত্র উন্মোচিত শেরপুরে চোরসহ টলিগাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরায় আটক শেরপুরে ইউনিয়ন জামাতের সেক্রেটারীর ভাই ৭৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার শেরপুরে কলেজের অধ্যক্ষের দূর্ণীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।। শেরপুরে সভাপতি কর্তৃক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি তদন্ত করার কারনে সভাপতি পরিবর্তন নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শেরপুর উপজেলা বিএনপি’র আনন্দ শোভাযাত্রা শেরপুরে মাদ্রাসা শিক্ষিকার আত্মহত্যা।