খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২ আশ্বিন, ১৪৩১

মার্কিন নির্বাচন ২০২৪ : বাংলাদেশের জন্য কী বয়ে আনবে?

ড. সুজিত কুমার দত্ত প্রকাশিত: শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৪, ১২:৪৬ পূর্বাহ্ণ
মার্কিন নির্বাচন ২০২৪ : বাংলাদেশের জন্য কী বয়ে আনবে?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন সবসময়ই বিশ্ব রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। মার্কিন নির্বাচনের প্রতিটি পর্যায়ের ফলাফল বিশ্ব রাজনীতিতে বিশাল প্রভাব ফেলে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রধান রপ্তানি গন্তব্য এবং অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী, সেখানে মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাণিজ্য, মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের প্রচারে মার্কিন নীতিমালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল বাংলাদেশের অর্থনীতি, কূটনীতি এবং সার্বিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করতে পারে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম প্রধান দুটি নীতি হলো মানবাধিকার সুরক্ষা এবং গণতন্ত্রের প্রচার। এই দুটি নীতির ভিত্তিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী তার আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এই নীতির প্রয়োগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রায়শই বিভিন্ন দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে থাকে।

উদাহরণস্বরূপ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০২১ সালে বাংলাদেশের র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এবং এর সাতজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এবং গণতন্ত্রের ক্ষতি ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো যারা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তাদের ২০২৩ সালে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পণ্যসমূহের প্রধান রপ্তানি গন্তব্য। বিশেষ করে, তৈরি পোশাক শিল্পে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান ক্রেতা। ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনের ফলে যদি বাণিজ্য নীতি পরিবর্তিত হয়, তবে এটি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।

তাছাড়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। মার্কিন সাহায্য এবং বিনিয়োগ বাংলাদেশের উন্নয়ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নতুন মার্কিন প্রশাসন যদি মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের প্রচারকে আরও গুরুত্ব দেয়, তবে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে।

বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাণিজ্য, মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের প্রচারে মার্কিন নীতিমালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০২৪ সালের মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল বাংলাদেশের অর্থনীতি, কূটনীতি এবং সার্বিক পরিস্থিতিকে প্রভাবিত করতে পারে।

বিশেষ করে, র‌্যাবের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এবং ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আরও কঠোর হতে পারে। তবে, নতুন প্রশাসন যদি বাণিজ্য নীতি এবং উন্নয়ন সহযোগিতার ক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তবে এটি বাংলাদেশের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে।

মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল বাংলাদেশের নীতি নির্ধারণে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে হলে বাংলাদেশকে মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হতে হবে। এছাড়া, বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের পর নতুন মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে নতুন নীতি গ্রহণ করতে পারে।

বিশেষ করে, মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করা হতে পারে। এছাড়া, বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য নতুন চুক্তি এবং বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যবসায়িক মনোভাবাপন্ন হওয়ায়, তার প্রশাসন পুনরায় ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগিতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প, যা যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য, এর বাজার আরও বিস্তৃত হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। ট্রাম্প প্রশাসন উন্নয়ন সহযোগিতায় বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে পারে, যা বাংলাদেশের অবকাঠামো, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

অন্যদিকে, কমলা হ্যারিস নির্বাচনে জিতলে তার প্রশাসন মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের ব্যাপারে বেশ কড়া অবস্থান গ্রহণ করবেন। তার প্রশাসন মানবাধিকার লঙ্ঘন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে বাংলাদেশের পাশে থাকতে পারে। এতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ আরও সুস্থ ও স্থিতিশীল হবে যা, আমাদের অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করেতে পারে।

মার্কিন নির্বাচনের ফলে বাংলাদেশের বৈশ্বিক অবস্থানেও পরিবর্তন আসতে পারে। নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে পারলে বাংলাদেশ বিশ্বমঞ্চে তার অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে পারবে। এছাড়া, মার্কিন সাহায্য এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্ববর্তী প্রশাসনে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতি অনুসরণ করা হয়েছিল, যা বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কঠোর ছিল। পুনরায় নির্বাচিত হলে ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে নতুন করে মূল্যায়ন করতে পারে এবং উচ্চ শুল্ক বা অন্যান্য বাণিজ্য বাধা সৃষ্টি করতে পারে, যা বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য নীতি প্রায়শই জাতীয়তাবাদী এবং প্রতিরক্ষামূলক হয়েছে, যা অন্যান্য দেশের জন্য বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশের জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে। যদি তিনি পুনরায় নির্বাচিত হন, তবে এই নীতিগুলো বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ট্রাম্প প্রশাসন বাণিজ্য যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে, এর প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতে পড়তে পারে এবং বাংলাদেশের রপ্তানি শিল্পও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

অন্যদিকে, কমলা হ্যারিসের প্রশাসন মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের প্রচারে খুবই কঠোর হতে পারে। এটিও বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং প্রশাসনিক কাঠামোতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলাদেশের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে।

যারা গণতান্ত্রিক পরিবেশ লঙ্ঘন করেছে তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর হতে পারে, যা বাংলাদেশের বিভিন্ন পেশাদার এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ ও বিদেশি সাহায্যের পরিমাণ কমে যেতে পারে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হলে বাংলাদেশের জন্য কিছু নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জের সম্ভাবনা রয়েছে। বাণিজ্য, উন্নয়ন সহযোগিতা, কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং মানবাধিকার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষ করে, ট্রাম্প প্রশাসনের অনিশ্চিত নীতি এবং অপ্রতুল উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং সামাজিক পরিস্থিতি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই, ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় বাংলাদেশের নীতিনির্ধারকদের সতর্ক থাকতে হবে এবং সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হলে বাংলাদেশের জন্য কিছু নির্দিষ্ট চ্যালেঞ্জের সম্ভাবনা রয়েছে। বাণিজ্য, উন্নয়ন সহযোগিতা, কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং মানবাধিকার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

অন্যদিকে, কমলা হ্যারিসের প্রশাসন মানবাধিকার এবং পরিবেশ সংক্রান্ত নীতিতে জোর দেবে। এই কারণে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিক অধিকার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ থাকায়, হ্যারিস প্রশাসন কঠোর শুল্ক বা বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে। পাশাপাশি, বাংলাদেশের শিল্পখাতকে পরিবেশবান্ধব করতে হ্যারিস প্রশাসন চাপ দিতে পারে, যা শিল্প উৎপাদন খরচ বাড়াতে পারে।

মার্কিন নির্বাচন বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নতুন প্রশাসন যদি মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের প্রচারকে গুরুত্ব দেয়, তবে বাংলাদেশকে এই ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হতে হবে। এছাড়া, বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ রক্ষা করতে হবে।

মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল বাংলাদেশের নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে। নতুন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে হলে বাংলাদেশকে মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হতে হবে। এছাড়া, বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মার্কিন নির্বাচনের পর নতুন প্রশাসনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে নতুন কৌশল গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে, তৈরি পোশাক শিল্পে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের সুযোগ বাড়ানোর জন্য নতুন চুক্তি এবং বিনিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে হলে বাংলাদেশকে মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হতে হবে।

এছাড়া, বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কার্যকর যোগাযোগ রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ; যা ভবিষ্যতে Generalized System of Preferences (GSP) সুবিধা নিশ্চিতে কার্যকারী ভূমিকা পালন করতে পারে। নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করতে পারলে বাংলাদেশ বিশ্বমঞ্চে তার অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে পারবে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নেও বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে।

অধ্যাপক ড. সুজিত কুমার দত্ত ।। সভাপতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
datta.ir@cu.ac.bd

শাহজাহানপুরে বিএনপির মত বিনিময় সভা

শাজাহানপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:০১ অপরাহ্ণ
শাহজাহানপুরে বিএনপির মত বিনিময় সভা

আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ সফল কারার লক্ষ্যে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক জরুরি মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হক শাহীন। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ এর সঞ্চালনায় সভায় অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত উপজেলা বিএনপি’র হারেজ উদ্দিন ও আবু শাহীন সানি, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল হাকিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই রনি উপজেলা বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসেন, এম ইদ্রিস আলী সাকিদার, বাদশা আলম, নুরুল আজাদ, হাফিজার রহমান কাজল, মতিউর রহমান, আব্দুল মান্নান রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, মুকুল, নাসির উদ্দীন, মোশাররফ হোসেন, মাসফিকুর রহমান মামুন, ইবনে সাউদ, রেজাউল উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সোহেল আরমান রাজু, সিনিয়র যুগ্ম আহবায় জিল্লুর রহমান, ইউনুস আলী হলুদ, শ্রমিকদল নেতা আব্দুস সোবহান পুটু প্রমুখ।

ওমানে কর্মস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

জেলা প্রতিবেদক, নোয়াখালী
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:৩৯ পূর্বাহ্ণ
ওমানে কর্মস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

ওমানে কর্মস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. ইউনুস নবি রাজিব নামের এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময়ে দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত মো. ইউনুস নবি রাজিব নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সুন্দলপুর গ্রামের সেরাজ মুন্সীর বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে।

জানা যায়, ২০২০ সালে ভাগ্য পরিবর্তনে ওমানে পাড়ি জমান মো. ইউনুস নবি রাজিব। সেখানে বড় ভাই ইউসুফ নবী সোহেলের সঙ্গে বিদ্যুতের কাজ করতেন তিনি। তিনি শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময়ে দুপুরে বিদ্যুতের কাজ করতে গিয়ে পা পিছলে সিড়িতে পড়ে মাথা ফেটে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।

নিহতের ভাই আইয়ুব নবী সজিব ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা চার ভাই তিন বোন। আমার বড় ভাই ইউসুফ নবী সোহেল ও মো. ইউনুস নবি রাজিব ওমানে বিদ্যুতের কাজ করেন। ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে আমার মা বিবি তাহেরা বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। শোকে তিনি পাগলের মতো কথা বলছেন।

কবিরহাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিবারের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে ৪ বছর আগে ওমান পাড়ি দেয় মো. ইউনুস নবি রাজিব। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা তার মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছেন। মরদেহ দেশে আনতে তারা সরকারের সহযোগিতা কামনা করছে।

গাজায় সংরক্ষিত এলাকায় ইসরায়েলি হামলা, এক রাতে নিহত ১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ
গাজায় সংরক্ষিত এলাকায় ইসরায়েলি হামলা, এক রাতে নিহত ১৯

গাজায় শরণার্থীদের জন্য সংরক্ষিত এলাকা বলে পরিচিত আল-মাওয়াসিতে ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাবর্ষণে এক রাতে ১৯ জন নিহত হয়েছেন, এবং আহত হয়েছেন ৬০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি। স্থানীয় লোকজন এবং গাজার প্রশাসনের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে চালানো হয়েছে এই হামলা এবং আশঙ্কা করা হচ্ছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি। কারণ নিহত এবং আহতদের মধ্যে যাদের হাসপাতালে আনা সম্ভব হয়েছে, তাদের ভিত্তিতে এই হতাহতের এই সংখ্যা জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ধ্বংসস্তূপ এবং বালিতে অনেকের দেহ চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন এবং উদ্ধারকর্মীরা বাকি হতাহতদের উদ্ধারে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু করেছেন।

আল-মাওয়াসির বাসিন্দা মামুদ আল নিমস সিএনএনকে বলেন, “রাতের বেলা আমরা ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দে জেগে উঠলাম এবং তারপরই চারদিক থেকে গুলির শব্দ শুনলাম। আমরা এখনও বুঝতে পারছি না যে শরণার্থী এলাকার ঠিক কোথায় হামলা হয়েছিল এবং যারা ধ্বংসস্তূপ ও বালির নিচে চাপা পড়েছে, তাদের অবস্থান কোথায়। পুরো এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।”

আল মাওয়াসি শরণার্থী এলাকাটি গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নিকটবর্তী। হামলার পর নিহত এবং আহতদের খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। হতাহতদের মধ্যে নারী-পুরুষ, শিশু— সব ধরনের এবং সব বয়সের মানুষ রয়েছে।

এদিকে শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, আল মাওয়াসিতে হামাসের অন্তত তিন জন জ্যেষ্ঠ নেতা আত্মগোপন করে আছেন বলে গোয়েন্দা তথ্য ছিলো তাদের কাছে। এই তিন জন হলেন হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেডের ড্রোন বিভাগের প্রধান সামের ইসমাইল কাদের আবু দাক্কা, ব্রিগেডের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওসামা তাবেশ এবং জ্যেষ্ঠ হামাস নেতা আয়মান মাবহৌ। এই কারণেই সেখানে হামরা চালানো হয়েছে।

তবে যাদের লক্ষ্য করে এই হামলা পরিচালিত হয়েছিল, তারা নিহত হয়েছেন কি না— বিবৃতিতে তা নিশ্চিত করেনি আইডিএফ।

সূত্র :আলজাজিরা, সিএনএন

"> ">
শাহজাহানপুরে বিএনপির মত বিনিময় সভা ওমানে কর্মস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু গাজায় সংরক্ষিত এলাকায় ইসরায়েলি হামলা, এক রাতে নিহত ১৯ বৈরী আবহাওয়ায় হাতিয়ায় মাছ ধরার ৭ ট্রলার ডুবি ডোনাল্ড লুসহ মার্কিন উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসছে আজ শেরপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ এর জানাযা সম্পূর্ণ শেরপুরে মজুমদার ফুড প্রোডাক্টস কোম্পানীতে ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়ে ৪ জন নিহত বীরগঞ্জে ট্রাক্টরের চাপায় স্কুলছাত্র নিহত শেরপুরে বেগম খালেদা জিয়ার ১৭তম কারামুক্তি দিবস ও সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সহ খুন ০২ জন এই নিয়মগুলো মানলেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে বাতের ব্যথা লঞ্চঘাটের বাস কাউন্টার দখল দ্বন্দ্বে মুখোমুখি বিএনপির দুই গ্রুপ ‘গুলিতে নিহতদের মৃত্যুসনদ পরিবর্তনের নির্দেশ ছিল’ কলকাতায় নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুন: ২৫ দেশের ১৩০ শহরে বিক্ষোভ সেভেন সিস্টার্সের ৬০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকেছে চীনা সৈন্যরা তিস্তা চুক্তি : বন্ধুত্ব না স্বার্থের সংঘাত? গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩৩, প্রাণহানি ৪১ হাজার ছুঁই ছুঁই আজব স্ক্রিপ্টের জন্য এই অবস্থাকে দায়ী করলেন জাহারা মিতু মামলা-হামলা আতঙ্কে আওয়ামী লীগ, শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে যুক্তরাষ্ট্রের হৃদয় ভেঙে ইউএস ওপেনে সিনারের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়োগ দিচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক, নেই বয়সসীমা ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সোহেল বাঁচতে চায় বৈষম্যের শিকার হরিজন সম্প্রদায় নারায়ণগঞ্জে বাড়ছে বিএনপির অন্তর্কোন্দল খানসামায় বন্যার্তদের ত্রাণ দিতে গিয়ে আহত চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু জানা গেল ঈদে মিলাদুন্নবীর তারিখ আজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘শহীদি মার্চ’ হুন্দাই সিএনজি-চালিত প্রাইভেটকার আনল ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ে স্থানীয় কোচদের সঙ্গে যাদেরর কৃতিত্ব দিচ্ছেন তামিম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহতদের ৫ অনুরোধ