খুঁজুন
শুক্রবার, ২৩শে মে, ২০২৫, ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

জাতিসংঘে বাইডেন-ইউনূস বৈঠক : বাংলাদেশ কতটা লাভবান?

ড. ফরিদুল আলম প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:২১ পূর্বাহ্ণ
জাতিসংঘে বাইডেন-ইউনূস বৈঠক : বাংলাদেশ কতটা লাভবান?

‘কাউকে পেছনে না ফেলা বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শান্তি, টেকসই উন্নয়ন ও মানবিক মর্যাদার অগ্রগতিতে একযোগে কাজ করা’—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশন শুরু হয়েছে।

এমন একসময় বিশ্বনেতারা নিউইয়র্কের সদর দপ্তরে জড়ো হয়েছেন, যখন ইউরোপ, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সংকট প্রকট আকার ধারণ করছে। আগামী দিনগুলোয় এই সংকট মোকাবিলা করে কীভাবে সম্মিলিতভাবে এই সংস্থাকে এগিয়ে নেওয়া যাবে, সে ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো সুস্পষ্ট ধারণা নেই।

২৪ সেপ্টেম্বর থেকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু হয়েছে, বিতর্ক চলবে ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, অধিবেশন শেষ হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। প্রাসঙ্গিকভাবেই মনে হতে পারে বৈশ্বিক অনেক সমস্যার একটা সমাধান পাওয়ার একটা ক্ষেত্র হিসেবে বিশ্বনেতারা জাতিসংঘের শরণাপন্ন হন।

আফসোসের বিষয় হচ্ছে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যেসব বিষয় উত্থাপিত হয় এবং পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হয়ে থাকে, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ওপর কার্যত কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকায় এবং সেই সাথে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সাধারণ পরিষদের কোনো ক্ষমতা না থাকায় একে নিছক একটি মিলনমেলা ছাড়া কিছুই বলার সুযোগ থাকে না।

সাধারণত প্রতি বছর সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের নিয়মিত বিতর্কের ফাঁকে বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর কিছু উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। এবারও বেশ কয়েকটি সে ধরনের বৈঠক এজেন্ডাভুক্ত রয়েছে।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যোগ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে আমাদের প্রধান উপদেষ্টাকে ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষভাবে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

১৯৭৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জাতিসংঘের ২৯তম অধিবেশনে বাংলাদেশের পথ চলা শুরু হয় এই বিশ্বফোরামে, এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর তারিখে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সদস্যপদ অর্জন করে। সময়ের হিসাবে বাংলাদেশের সদস্যপদ প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্ণ হলো ২০২৪ সালে।

বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যোগ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে আমাদের প্রধান উপদেষ্টাকে ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষভাবে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

বৈশ্বিক রাজনৈতিক বাস্তবতায় এই মুহূর্তে জাতিসংঘকে কেন্দ্র করে খুব একটা আশাবাদের কিছু না থাকলেও এই অধিবেশনে বিশ্ব নেতাদের সম্মিলনের মধ্য দিয়ে এবং অনেক রাষ্ট্রনেতাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের মধ্য দিয়ে দ্বিপক্ষীয়, কিংবা বহুপক্ষীয় সম্পর্ক ঝালাই করার সুযোগ থাকে।

বাংলাদেশের জন্য এবারের সম্মেলনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে একটি রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে কিছুদিন আগে দায়িত্ব নেওয়া নতুন সরকার প্রধানের সাথে মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্টের বৈঠক, ইতিমধ্যে যা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অধ্যাপক ইউনূস মার্কিন রাজনীতির পরিচিত মুখ। অনেকটা সে কারণেই জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের খুব একটা দৃষ্টান্ত না থাকলেও এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের শুরুতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ড. ইউনূসকে বুকে টেনে নেন, বাংলাদেশের বর্তমান সংস্কার নিয়ে ধারণা নেন এবং সবশেষে ড. ইউনূস সরকারের ওপর তার পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে এক দশকের বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ থাকা জিএসপি সুবিধা ফেরত পাওয়া।

এছাড়া বাংলাদেশের চলমান সংস্কার প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক সফরে কিছু আর্থিক সহায়তার আশ্বাস পাওয়া গেলেও সেটা আরও কীভাবে বাড়ানো যায় এবং বাণিজ্যিক ও কারিগরি সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মনোযোগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠকটি বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে ধারণা করা যায়।

এর বাইরে জাতিসংঘের সদস্যপদ প্রাপ্তির পর থেকে সংস্থাটির সাথে বাংলাদেশ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে এবং বৈশ্বিক অনেক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। জাতিসংঘ এবং বাংলাদেশের সম্পর্ককে যদি একনজরে আমরা ফিরে দেখার চেষ্টা করি তবে এটুকুই বলতে হয় বাংলাদেশ সবসময়ই জাতিসংঘের মূলনীতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কাজ করে যাচ্ছে।

উন্নত বিশ্বের ক্ষেত্রে যখন অনেক সময় দেখা যায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত পাস কাটিয়ে কিংবা জাতিসংঘের সনদের অবমাননা হয় এমন অনেক কাজই করা হচ্ছে এবং এর অজুহাত হিসেবে তথাকথিত বিশ্ব শান্তি এবং নিরাপত্তার অজুহাত দেওয়া হচ্ছে, তখন বর্তমান সময়ে জাতিসংঘ উন্নয়নশীল বিশ্বের অগাধ সমর্থন নিয়ে শত প্রতিকূলতার মাঝেও তার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ জাতিসংঘের নীতিমালার অধীনে তার কাজ করে যেতে সর্বদা সচেষ্ট। আর এক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো প্রামাণ্য তা হলো—

প্রথমত, উন্নত বিশ্বের অনেক দেশ নিয়মিত জাতিসংঘে তাদের অনেক বাৎসরিক চাঁদা পরিশোধ না করলেও এবং ক্ষেত্র বিশেষে দীর্ঘদিন ধরে তা বকেয়া রাখলেও বাংলাদেশ নিয়মিত চাঁদা প্রদানকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম, যা জাতিসংঘে আমাদের অঙ্গীকারকে আরও প্রতিষ্ঠিত করে;

দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের সবচেয়ে উজ্জ্বল উপস্থিতির জায়গাটি হচ্ছে জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে। অনেক বছর ধরেই বাংলাদেশ জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সর্বাধিক সৈন্য প্রেরণকারী দেশ। ১৯৮৮ সালে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ সেনাবাহিনী UNIIMOG এবং UNITAG নামক কর্মসূচিতে ইরাক এবং নামিবিয়াতে অংশগ্রহণ করে।

অধ্যাপক ইউনূস মার্কিন রাজনীতির পরিচিত মুখ। বৈঠকের শুরুতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ড. ইউনূসকে বুকে টেনে নেন, বাংলাদেশের বর্তমান সংস্কার নিয়ে ধারণা নেন এবং সবশেষে ড. ইউনূস সরকারের ওপর তার পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করেন।

এরপর থেকে বাংলাদেশকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সময়ের পরিক্রমায় শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বেড়েই চলছে। প্রথমে সেনাবাহিনী এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করলেও পরবর্তীতে নৌ বাহিনী, বিমান বাহিনী এবং বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীও এতে সংযুক্ত হয়। এ পর্যন্ত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৫৮ জন শান্তিরক্ষী ৪০টি দেশে ৬৩টি মিশনে অংশগ্রহণ করেছে।

শুরুতেই উল্লেখ করেছি বৈশ্বিক অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সমাধানের জন্য সাধারণ পরিষদকে নিয়ামক শক্তি ভাবার কোনো উপায় নেই। তবে এখানে একইসাথে এটাও উল্লেখ করা সঙ্গত যে সমাবেত বিশ্বনেতাদের বেশিরভাগই যেহেতু শান্তিপ্রিয় মানুষের প্রতিনিধিত্ব করেন, তাদের কণ্ঠে ধ্বনিত শান্তির বাণী শান্তি বিনাশকারীদের জন্য এক অর্থবহ বার্তা হিসেবে বিবেচনা করা যায়। আর তাই বলা চলে এই শান্তির তাগিদেই এমন এক সম্মিলনের অংশ হওয়া।

জাতিসংঘের এত বছরের যত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অর্জন সেগুলো যদি এক করা হয় তাহলে এত ঝড় ঝঞ্ঝার মধ্যেও এর টিকে থাকার যথার্থতা অনুধাবন করা সম্ভব হবে। তাই কেবল বাংলাদেশ নয়, বাংলাদেশের মতো অনেক দেশ, তারা ক্ষুদ্র হলেও, নানা বিবেচনায় দুর্বল হলেও জাতিসংঘের মূলনীতিকে ধারণ করে বিশ্ব শান্তির ঝাণ্ডা উড়িয়ে চলছে।

ড. ফরিদুল আলম ।। অধ্যাপক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

দেশের সর্বত্র উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে পদত্যাগের চিন্তা করছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এমন গুঞ্জনের মধ্যে তার সঙ্গে দেখা করে আসলেই পদত্যাগ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ভাবছেন বলে নিশ্চিত করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। অবশ্য তিনি যেন এমন সিদ্ধান্ত না নেন সেই অনুরোধ জানিয়েছেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন নাহিদ ইসলাম। পরে বিবিসি বাংলাকে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতি, স্যারেরতো পদত্যাগের একটা খবর আমরা আজকে সকাল থেকে শুনছি। তো ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্যারের সাথে দেখা করতে গেছিলাম। প্রধান উপদেষ্টা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবেন না এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।’

এসময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও ছিলেন বলে জানা গেছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্যার বলছেন আমি যদি কাজ করতে না পারি… যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে আনছিলা একটা গণঅভ্যুত্থানের পর, দেশের পরিবর্তন, সংস্কার…। কিন্তু যেই পরিস্থিতি যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে। আমিতো এভাবে কাজ করতে পারবো না। তো রাজনৈতিক দলগুলা তোমরা সবাই একটা জায়গায়, কমন জায়গায় না পৌঁছাতে পারো।’

প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন নাহিদ। এ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘আমাদের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের ভবিষ্যৎ সবকিছু মিলিয়ে উনি যাতে শক্ত থাকেন এবং সব দলকে নিয়ে যাতে ঐক্যের জায়গায় থাকেন, সবাই তার সাথে আশা করি কো-অপারেট করবেন।’

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করছেন জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘হ্যাঁ, যদি কাজ করতে না পারেন, থাকবেন, থেকে কী লাভ। উনি বলছেন উনি এ বিষয়ে ভাবছেন। ওনার কাছে মনে হয়েছে পরিস্থিতি এরকম যে তিনি কাজ করতে পারবেন না।’

পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার এখনকার মনোভাবের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এখন ওনি যদি রাজনৈতিক দল তার পদত্যাগ চায়… সেই আস্থার জায়গা, আশ্বাসের জায়গা না পাইলে উনি থাকবেন কেন?’

জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

জুলাইয়ের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক শক্তির মধ্যে ফাটল তৈরি ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ র‍্যালি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৮০টি সংগঠনের ঐকবদ্ধ প্লাটফর্ম ‘জুলাই ঐক্য’।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে  প্রতিবাদ র‌্যালি শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যের এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, “যে ঐক্য নিয়ে আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থান করেছিলাম সে ঐক্য ভাঙতে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা ষড়যন্ত্র করে জুলাই ঐক্যকে বিনষ্ট করতে চাইবে জুলাই জনতা তাদেরকে আবারও দিল্লিতে পাঠিয়ে দেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে আমরা লড়ে যাবো। ভারতীয়, মার্কিন আগ্রাসনে ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জুলাই জনতা বুক পেতে আবার রাজপথে নেমে আসবে। আমরা আবারও বুকের তাজা রক্ত দেবো তবুও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নষ্ট হতে দেবো না।”

এ সময়  বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সচিবালয়ে ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর বসে আছে। ৩১ মে এর মধ্যে সচিবালয় থেকে ফ্যাসিবাদের সকল দোসর  অপসারণ না করলে সচিবালয় ঘেরাও হবে।”

জুলাই ঐক্যের আপ বাংলাদেশের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যে সকল ভারতীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত অপসারণ করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “জুলাইয়ের শহীদদের রক্তের ওপর আপনার সরকার গঠিত। আমরা আপনার ওপর আস্থা রাখতে চাই। জুলাইয়ের ঐক্যকে যারা নষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। অতি দ্রুত জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা দেন এবং আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করুন।”

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসার না দিয়ে উপদেষ্টারা ক্ষমতা উদযাপন শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ভারতীয় আধিপত্যবদের দোসরা আবারও দেশকে ভারতের কাছে তুলে দিতে চায়। উপদেষ্টা পরিষদে ভারতীয় কোনো দালাল থাকতে পারবে না। জুলাই যোদ্ধারা বেঁচে থাকতে তা সফল হবে না। এবার রাজপথে নামতে হলে আপনাদের উৎখাত করে দেশ ছাড়া করা হবে। যারা জুলাই ঐক্যের ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন।”

এছাড়াও জুলাই স্পিরিট ধরে রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকল ভেদাভেদ ভুলে সকল রাজনৈতিক ও সমাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি জানান। জুলাই ঐক্যের ৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—

ক) জুলাইয়ের সকল শক্তিকে বিনষ্ট করতে যে সকল ভারতীয় এজেন্ট কাজ করছে তাদের অবিলম্বে খুজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

খ) উপদেষ্টা পরিষদে যারা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ব্যাতিব্যাস্ত অবিলম্বে তাদের অপসারন করে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।

গ) অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র যথা সময়ে দিতে হবে।

উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ
উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

আগের সব ‘বিভাজনমূলক বক্তব্য ও শব্দচয়নের’ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও।

হাসনাত বলেছেন, “এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নগ্ন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপদেষ্টা মাহফুজ আব্দুল্লাহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এমন আহ্বান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সেখানে তিনি লিখেচেন, “জুলাইয়ের ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তির প্রতি আহ্বান—যে বিভাজনটা অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের মধ্যে এসেছিল, সেই বিভাজনকে দেশ ও জাতির স্বার্থে মিটিয়ে ফেলতে হবে।”

তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, “মনে রাখবেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনে দেশে-বিদেশে অনেকে নাখোশ হয়ে আছে। এই নাখোশ বান্দারা আমাদের বিভাজনের সুযোগ নিতে নিতে আজকের এই অস্থিতিশীল দিন এনেছে। আমরা সবাই এক হয়েছিলাম বলেই দীর্ঘ দেড় যুগের শক্তিশালী ফ্যাসিবাদকে তছনছ করতে পেরেছিলাম। আমরা খণ্ড-বিখণ্ড হলে পতিত ফ্যাসিবাদ ও তার দেশি-বিদেশি দোসরেরা আমাদের তছনছ করার হীন পাঁয়তারা করবে।”

হাসনাত বলেন, “দেশ ও জাতির প্রতি দায় এবং দরদ আছে বলেই আমরা এক হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়েছিলাম। দেশ ও জাতির জন্যই এবার আমাদের এক হয়ে আমাদের স্বদেশকে বিনির্মাণ করতে হবে। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থের জন্য এই ঐক্য নয়, বরং আমাদের দেশের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনও বিকল্প নেই।”

"> ">
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের ব্রাইডাল লুকে মুগ্ধতা ছড়ালেন অপু বিশ্বাস না আছে মরার ভয় না আছে হারাবার কিছু : আসিফ মাহমুদ গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন ট্টাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নাহিদ ইসলাম সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করল আইএসপিআর বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রেস বিজ্ঞপ্তি নাগরিক ছাত্র ঐক্য সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা বীরগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু শেরপুর সীমাবাড়ি ইউনিয়নের কদিম হাঁসড়া গ্রামে বিমলের বাড়িতে মাদকের আখরা, যেন দেখার কেউ নেই রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে বড় ধরনের বদলি! ভবানীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা পুলিশ অঞ্জাত কিশোরীর লাশ উদ্ধারের পরিচয় সনাক্তে ফেইসবুকে পোস্ট বীরগঞ্জে এনসিপি নেতা হাসনাতের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস পালিত বীরগঞ্জে মহান শ্রমিক দিবস পালিত ছোনকায় মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্নাঢ্য র‌্যালী শেষে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন কাহারোলে স্কাউটস দিবস উপলক্ষে র‍্যালি,পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু দুদকের আকস্মিক অভিযান: বীরগঞ্জ হাসপাতালে দুর্নীতির চিত্র উন্মোচিত শেরপুরে চোরসহ টলিগাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরায় আটক শেরপুরে ইউনিয়ন জামাতের সেক্রেটারীর ভাই ৭৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার শেরপুরে কলেজের অধ্যক্ষের দূর্ণীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।। শেরপুরে সভাপতি কর্তৃক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি তদন্ত করার কারনে সভাপতি পরিবর্তন নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শেরপুর উপজেলা বিএনপি’র আনন্দ শোভাযাত্রা শেরপুরে মাদ্রাসা শিক্ষিকার আত্মহত্যা।