খুঁজুন
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২ আশ্বিন, ১৪৩১

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ : আবারও চ্যাম্পিয়ন ভারত

পবিত্র কুন্ডু প্রকাশিত: রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪, ২:৪৪ অপরাহ্ণ
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ : আবারও চ্যাম্পিয়ন ভারত

কেনসিংটন ওভালের পাশের সমুদ্রে রোহিত শর্মা ডুব দিয়েছেন কি না বলতে পারি না। দিয়ে থাকলে তা সৌরভ গাঙ্গুলীর অনুমান মতো ব্যর্থতার জ্বালা জুড়াতে নিশ্চয়ই নয়। বরং সাফল্যের আনন্দে এতদিনের তৃষিত হৃদয়কে সুনীল সলিলের অবগাহনে শান্ত করতে।

দক্ষিণ আফ্রিকার মতো পলাতক তকমাটা প্রায় সেঁটে যাচ্ছিল ভারতের গায়ে। তা প্রায় মৌরসী পাট্টা গেড়ে বসে যাওয়ার আগ মুহূর্তে খসিয়ে ফেলতে পারলেন রোহিতরা।

হ্যাঁ, রোহিতরাই। এখানে বহুবচন। সবার মিলিত অবদানেই দারুণ এক জয় ছিনিয়ে নিতে পারলো টিম ইন্ডিয়া। রোহিত অনেকটাই নিজের ব্যাটে চড়িয়ে ভারতকে এনে তোলেন ফাইনালে। যেখানে তার ব্যাটের অবদান মাত্র ৯ রান। কিন্তু তার প্রত্যাশা মতোই জমিয়ে রাখা রানগুলো ফাইনালের ২২ গজে ছেড়ে দিলেন বিরাট কোহলি।

আগের ৭ ম্যাচে যে কোহলির মোট রান মাত্র ৭৫, সেই কোহলিই একপ্রান্ত থেকে রোহিত-ঋষভ-সূর্যকুমারের অকাল বিদায়ের মিছিলে দাঁড়িয়ে একাই করলেন ৭৬ রান। তার সঙ্গে রানের আরেক জোগানদার হলেন অক্ষর প্যাটেল। তাতেই ভারত পেয়ে যায় লড়াই করার মতো রানের পুঁজি।

কিন্তু এই দক্ষিণ আফ্রিকা একটু অন্যরকম। এরা এতদিন সেমিফাইনালে গিয়ে হৃদয় ভাঙার অজস্র গল্প লিখে শোক থেকে জমিয়েছে শক্তি। এই বিশ্বকাপেও হারের কিনারায় গিয়ে প্রায় সবগুলো ম্যাচ জিতে দাঁড়িয়েছে ফাইনালে। তাই চাপ কাকে বলে তারা জানতো। জানতো সেই চাপ জয়ের মন্ত্রও। তাই বলার উপায় ছিল না যে ভারত কেক-ওয়াক করে ট্রফি নিয়ে যাবে কেনসিংটন ওভাল থেকে। রান তাড়ায় লড়াকু মানসিকতা প্রোটিয়ারা তাই দেখিয়ে দিয়েছে ভালোমতোই।

ভারত তাদের তৃতীয় ফাইনালে করলো টি-২০ বিশ্বকাপ ইতিহাসের সর্বোচ্চ ১৭৬ রান। শুরুটা খুব ভালো না হলেও মাঝ ওভারে গিয়ে ভারতীয় বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান মূলত হেনরিখ লারসেন, সঙ্গে কুইন্টন ডি কক। তাদের মিলিত ধ্বংসযজ্ঞে ভারত-বধ প্রায় যখন সম্পন্ন, খেলার মধ্যে মোচড় দেখা দিলো।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের জয়; ছবি : সংগৃহীত

৩০ বলে ৩০ রান দরকার, হাতে ৬ উইকেট। কত বল আর কত উইকেট হাতে রেখে প্রোটিয়ারা তাদের ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপ জিতবে, এর বাইরে আলোচনার বিষয়বস্তু আর কিছু হতে পারে না তখন। সেইখান থেকেই হেরে বসলো এইডেন মার্করামের দল।

ভারতের উইকেট কিপার ঋষভ পন্ত পায়ের পেশিতে চোট পেলেন। তার শুশ্রূষার জন্য ব্যয় হলো কয়েক মিনিট। এই বিষয়টাই ক্লাসেনের মনোসংযোগে বিঘ্ন ঘটিয়ে থাকতে পারে।

এই দক্ষিণ আফ্রিকা একটু অন্যরকম। এরা এতদিন সেমিফাইনালে গিয়ে হৃদয় ভাঙার অজস্র গল্প লিখে শোক থেকে জমিয়েছে শক্তি। এই বিশ্বকাপেও হারের কিনারায় গিয়ে প্রায় সবগুলো ম্যাচ জিতে দাঁড়িয়েছে ফাইনালে। তাই চাপ কাকে বলে তারা জানতো।

রোহিত শর্মা বল দিলেন হার্দিক পান্ডিয়াকে। ফুল লেন্থে করা পান্ডিয়ার প্রথম বলটিকেই শরীর থেকে একটু দূরে সরে ব্যাট চালিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ ক্লাসেন। তার ফেলে আসা ২৭ বলে ৫২ রানের ইনিংসটা তখন যেন কান্না ছাপিয়ে ভারতীয়দের সম্ভাবনার হাসি হয়ে ঝরছে।

এরপর শেষ স্পেলে ফিরে যশপ্রীত বুমরা ফেরান মার্কো ইয়ানসেনকে। তখনো আশা শেষ হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। আরেক প্রান্তে টিকে আছেন ডেভিড মিলার, সাদা বলে বোলারদের শিরদাঁড়ায় নিয়মিতই কাঁপন ধরান বলে যার পরিচিত ‘কিলার মিলার’। শেষ ওভারে দরকার ১৬ রান। চারটি বাউন্ডারি হলেই মামলা শেষ।

পান্ডিয়ার প্রথম বলটি ফুল টস, ওয়াইড। হাঁকালেন মিলার। লং অফ বাউন্ডারির বাইরেই তার ঠিকানা লেখা ছিল। কিন্তু অলৌকিকভাবে  ক্যাচ বানিয়ে ফেললেন সূর্যকুমার যাদব, যার ব্যাটে বরাবরই আস্থা খোঁজা ভারতকে টানা তিনটি সাদা বলের ফাইনালে কেবল হতাশাই উপহার দিয়েছেন।

ওয়াইড লং অফ থেকে দৌড়ে এসে শরীর ভাসিয়ে দেন হাওয়ায়, ভেসে থাকা অবস্থায় বল চালান করে দেন মাঠের মধ্যে। তারপর অদ্ভুতভাবে শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করে তালুবন্দি করেন ক্যাচ। এই ক্যাচটি কেমন তা শুনতে পারেন কপিল দেবের কাছে।

১৯৮৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে ভিভ রিচার্ডসের ক্যাচ নিয়েছিলেন কপিল অবিশ্বাস্যভাবে। ওই ক্যাচটিই ভারতকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছে কি না সেই ঘোর আজও পৃথিবীর কাটেনি। সূর্যকুমারের এই ক্যাচটিও অনন্তকাল থেকে যাবে টি-২০ ক্রিকেটের বিশ্ব জয়ের উপাখ্যানে।

যারা এই ফাইনালকে মহাকাব্যিক ব্যঞ্জনা দিলো স্নায়ুক্ষয়ী লড়াইয়ের আগুন জ্বেলে, তাদের চোকার্স বলাটা অন্যায্য হবে। তবে মিলারের বিদায়ের পর এটি নিশ্চিতই বলে দেওয়া গিয়েছিল, বাকি পাঁচ বল থেকে ১৬ রান তুলতে পারবে না দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ বলটিকে ডিপ মিডউইকেটে পাঠিয়ে নর্কিয়া একটি রান নেওয়ার পর সব শেষ।

প্রোটিয়ারা ডুবে গেছে পরাজয়ের বিষাদে। কিন্তু ভারতীয়দের চোখেও তো তখন জল আর জল। শ্রাবণধারা। রোহিত কাঁদছেন, হার্দিক কাঁদছেন। সিরাজের চোখে অশ্রু। বুমরার চোখ বাষ্পরুদ্ধ। রোহিত চুমু খাচ্ছেন হার্দিককে। আবেগে জড়িয়ে ধরেছেন স্ত্রীকে। শরীরের আড়ালে ঢাকা পড়ে গেছে তার অশ্রুভেজা চোখ। বুমরা আলিঙ্গনে বেঁধেছেন স্ত্রী সঞ্জনাকে। হার্দিক একা তেরঙা জাতীয় পতাকা নিয়ে ঘুরছেন মাঠময়। ব্রিজটাউন তখন সত্যিকারের আবেগপুর।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের জয়; ছবি : সংগৃহীত

আর আবেগের কথাটা গলায় তুলে এনে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলে দিলেন বিরাট কোহলি। একই সঙ্গে বিদায় হলো ভারতীয় ক্রিকেটের আরেক মহীরুহের। তিনি রাহুল দ্রাবিড়। ভারতীয় ক্রিকেটের বিশ্বস্ত এই সেবকের ক্যারিয়ার শেষ হয়েছিল বড় এক অপূর্ণতা নিয়ে। কোনো বিশ্বকাপ ট্রফিতে হাত ছোঁয়াতে পারেননি।

ভারতীয়দের চোখেও তো তখন জল আর জল। শ্রাবণধারা। রোহিত কাঁদছেন, হার্দিক কাঁদছেন। সিরাজের চোখে অশ্রু। বুমরার চোখ বাষ্পরুদ্ধ। রোহিত চুমু খাচ্ছেন হার্দিককে।

এই ওয়েস্ট ইন্ডিজেই ২০০৭ সালে ভারত অধিনায়কের টুপি পরে গিয়েছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বকাপ ট্রফি জিতবেন বলে। গ্রুপ পর্বেই হেরে বড্ড গ্লানিময় ছিল তার এবং ভারতের বিদায়। কোচ হয়ে আরও তিনটি বিশ্বকাপের ফাইনাল থেকে ফিরেছেন খালি হাতে। এবার বিদায় বেলায় সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজই তাকে ভরিয়ে দিলো প্রাপ্তির আলোয়।

১৭ বছর পর ব্রিজটাউনে যেন জোহানেসবার্গ ফিরিয়ে এনে জিতল ভারত। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপের এমন স্নায়ুক্ষয়ী এক ফাইনালই জিতেছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত। এবার রোহিত শর্মার ভারত জিতলো ৭ রানে।

প্রতিপক্ষ, সেই দক্ষিণ আফ্রিকা, যে দেশ থেকে সংক্ষিপ্ততম ক্রিকেটের প্রথম সেরার মুকুট উঠেছিল তাদের মাথায়। আর সেই জয়ের সরণি ধরেই পরে টি-২০ ক্রিকেটের রাজধানী হয়ে উঠেছে ভারত।

দ্বিতীয় ট্রফিটা ভারতের হাতে তাই বেমানান লাগছে না। ভ্রমণ সূচি থেকে শুরু করে ভেন্যু নির্বাচন—সবকিছুতেই ভারতকে সুবিধা দিয়েছে আইসিসি, পুরো ক্রিকেট বিশ্বের এমন সমালোচনার তাপে পুড়তে হয়েছে ভারতকে।

তবে মাঠের সেরা ক্রিকেটে টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েই সব সমালোচনার জবাব দিলো ভারত। আর ২৯ দিনের দীর্ঘ অভিযাত্রা শেষে দক্ষিণ আফ্রিকাও দেখালো তারাও যোগ্য ফাইনালিস্ট।

পবিত্র কুন্ডু ।। ক্রীড়া সাংবাদিক

শাহজাহানপুরে বিএনপির মত বিনিময় সভা

শাজাহানপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:০১ অপরাহ্ণ
শাহজাহানপুরে বিএনপির মত বিনিময় সভা

আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ সফল কারার লক্ষ্যে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক জরুরি মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হক শাহীন। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ এর সঞ্চালনায় সভায় অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত উপজেলা বিএনপি’র হারেজ উদ্দিন ও আবু শাহীন সানি, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল হাকিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই রনি উপজেলা বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসেন, এম ইদ্রিস আলী সাকিদার, বাদশা আলম, নুরুল আজাদ, হাফিজার রহমান কাজল, মতিউর রহমান, আব্দুল মান্নান রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, মুকুল, নাসির উদ্দীন, মোশাররফ হোসেন, মাসফিকুর রহমান মামুন, ইবনে সাউদ, রেজাউল উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সোহেল আরমান রাজু, সিনিয়র যুগ্ম আহবায় জিল্লুর রহমান, ইউনুস আলী হলুদ, শ্রমিকদল নেতা আব্দুস সোবহান পুটু প্রমুখ।

ওমানে কর্মস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

জেলা প্রতিবেদক, নোয়াখালী
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:৩৯ পূর্বাহ্ণ
ওমানে কর্মস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু

ওমানে কর্মস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. ইউনুস নবি রাজিব নামের এক বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময়ে দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত মো. ইউনুস নবি রাজিব নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সুন্দলপুর গ্রামের সেরাজ মুন্সীর বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে।

জানা যায়, ২০২০ সালে ভাগ্য পরিবর্তনে ওমানে পাড়ি জমান মো. ইউনুস নবি রাজিব। সেখানে বড় ভাই ইউসুফ নবী সোহেলের সঙ্গে বিদ্যুতের কাজ করতেন তিনি। তিনি শুক্রবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময়ে দুপুরে বিদ্যুতের কাজ করতে গিয়ে পা পিছলে সিড়িতে পড়ে মাথা ফেটে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন।

নিহতের ভাই আইয়ুব নবী সজিব ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা চার ভাই তিন বোন। আমার বড় ভাই ইউসুফ নবী সোহেল ও মো. ইউনুস নবি রাজিব ওমানে বিদ্যুতের কাজ করেন। ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে আমার মা বিবি তাহেরা বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। শোকে তিনি পাগলের মতো কথা বলছেন।

কবিরহাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পরিবারের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে ৪ বছর আগে ওমান পাড়ি দেয় মো. ইউনুস নবি রাজিব। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা তার মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছেন। মরদেহ দেশে আনতে তারা সরকারের সহযোগিতা কামনা করছে।

গাজায় সংরক্ষিত এলাকায় ইসরায়েলি হামলা, এক রাতে নিহত ১৯

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ
গাজায় সংরক্ষিত এলাকায় ইসরায়েলি হামলা, এক রাতে নিহত ১৯

গাজায় শরণার্থীদের জন্য সংরক্ষিত এলাকা বলে পরিচিত আল-মাওয়াসিতে ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাবর্ষণে এক রাতে ১৯ জন নিহত হয়েছেন, এবং আহত হয়েছেন ৬০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি। স্থানীয় লোকজন এবং গাজার প্রশাসনের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।

গত বৃহস্পতিবার রাতে চালানো হয়েছে এই হামলা এবং আশঙ্কা করা হচ্ছে, হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি। কারণ নিহত এবং আহতদের মধ্যে যাদের হাসপাতালে আনা সম্ভব হয়েছে, তাদের ভিত্তিতে এই হতাহতের এই সংখ্যা জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ধ্বংসস্তূপ এবং বালিতে অনেকের দেহ চাপা পড়ে আছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন এবং উদ্ধারকর্মীরা বাকি হতাহতদের উদ্ধারে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু করেছেন।

আল-মাওয়াসির বাসিন্দা মামুদ আল নিমস সিএনএনকে বলেন, “রাতের বেলা আমরা ঘুমিয়েছিলাম। হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দে জেগে উঠলাম এবং তারপরই চারদিক থেকে গুলির শব্দ শুনলাম। আমরা এখনও বুঝতে পারছি না যে শরণার্থী এলাকার ঠিক কোথায় হামলা হয়েছিল এবং যারা ধ্বংসস্তূপ ও বালির নিচে চাপা পড়েছে, তাদের অবস্থান কোথায়। পুরো এলাকা লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।”

আল মাওয়াসি শরণার্থী এলাকাটি গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের নিকটবর্তী। হামলার পর নিহত এবং আহতদের খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। হতাহতদের মধ্যে নারী-পুরুষ, শিশু— সব ধরনের এবং সব বয়সের মানুষ রয়েছে।

এদিকে শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, আল মাওয়াসিতে হামাসের অন্তত তিন জন জ্যেষ্ঠ নেতা আত্মগোপন করে আছেন বলে গোয়েন্দা তথ্য ছিলো তাদের কাছে। এই তিন জন হলেন হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেডের ড্রোন বিভাগের প্রধান সামের ইসমাইল কাদের আবু দাক্কা, ব্রিগেডের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ওসামা তাবেশ এবং জ্যেষ্ঠ হামাস নেতা আয়মান মাবহৌ। এই কারণেই সেখানে হামরা চালানো হয়েছে।

তবে যাদের লক্ষ্য করে এই হামলা পরিচালিত হয়েছিল, তারা নিহত হয়েছেন কি না— বিবৃতিতে তা নিশ্চিত করেনি আইডিএফ।

সূত্র :আলজাজিরা, সিএনএন

"> ">
শাহজাহানপুরে বিএনপির মত বিনিময় সভা ওমানে কর্মস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু গাজায় সংরক্ষিত এলাকায় ইসরায়েলি হামলা, এক রাতে নিহত ১৯ বৈরী আবহাওয়ায় হাতিয়ায় মাছ ধরার ৭ ট্রলার ডুবি ডোনাল্ড লুসহ মার্কিন উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসছে আজ শেরপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ এর জানাযা সম্পূর্ণ শেরপুরে মজুমদার ফুড প্রোডাক্টস কোম্পানীতে ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়ে ৪ জন নিহত বীরগঞ্জে ট্রাক্টরের চাপায় স্কুলছাত্র নিহত শেরপুরে বেগম খালেদা জিয়ার ১৭তম কারামুক্তি দিবস ও সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সহ খুন ০২ জন এই নিয়মগুলো মানলেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে বাতের ব্যথা লঞ্চঘাটের বাস কাউন্টার দখল দ্বন্দ্বে মুখোমুখি বিএনপির দুই গ্রুপ ‘গুলিতে নিহতদের মৃত্যুসনদ পরিবর্তনের নির্দেশ ছিল’ কলকাতায় নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুন: ২৫ দেশের ১৩০ শহরে বিক্ষোভ সেভেন সিস্টার্সের ৬০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকেছে চীনা সৈন্যরা তিস্তা চুক্তি : বন্ধুত্ব না স্বার্থের সংঘাত? গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩৩, প্রাণহানি ৪১ হাজার ছুঁই ছুঁই আজব স্ক্রিপ্টের জন্য এই অবস্থাকে দায়ী করলেন জাহারা মিতু মামলা-হামলা আতঙ্কে আওয়ামী লীগ, শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে যুক্তরাষ্ট্রের হৃদয় ভেঙে ইউএস ওপেনে সিনারের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়োগ দিচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক, নেই বয়সসীমা ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সোহেল বাঁচতে চায় বৈষম্যের শিকার হরিজন সম্প্রদায় নারায়ণগঞ্জে বাড়ছে বিএনপির অন্তর্কোন্দল খানসামায় বন্যার্তদের ত্রাণ দিতে গিয়ে আহত চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু জানা গেল ঈদে মিলাদুন্নবীর তারিখ আজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘শহীদি মার্চ’ হুন্দাই সিএনজি-চালিত প্রাইভেটকার আনল ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ে স্থানীয় কোচদের সঙ্গে যাদেরর কৃতিত্ব দিচ্ছেন তামিম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আহতদের ৫ অনুরোধ