খুঁজুন
শুক্রবার, ২৩শে মে, ২০২৫, ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি

আপনি কি বাজারে যান?

প্রভাষ আমিন প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৯ জুলাই, ২০২৪, ১০:০৭ পূর্বাহ্ণ
আপনি কি বাজারে যান?

মানুষের মৌলিক অধিকার হলো অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান; এই তিনটির মধ্যে মৌলিকতম হলো অন্ন। উপায় না থাকলে মানুষ খোলা আকাশের নিচে, ফুটপাতে, রেলস্টেশনে, গাছতলায়ও থাকতে পারে। ন্যূনতম বস্ত্রেও মানুষের চলে যায় বা এক পোশাকে অনেকদিন চালিয়ে নেওয়ার উদাহরণও কম নয়।

প্রায় বস্ত্রহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচেও মানুষ বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু খাওয়া ছাড়া মানুষ বাঁচতে পারে না। যত নিঃস্ব হোক আর হাজার কোটিপতি হোক, দিনে অন্তত তিনবেলা তাকে খেতেই হয়। এখানেই আটকে গেছে বাংলাদেশের মানুষ। দুই বেলা দুই মুঠো খাবার জোগাড় করতেই এখন বাংলাদেশের মানুষের নাভিশ্বাস। বেঁচে থাকাই বড় দায় হয়ে গেছে।

আওয়ামী লীগ টানা চার মেয়াদে সরকার পরিচালনা করছে। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর এবার আওয়ামী লীগের লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক উন্নয়ন। তারা সেই লক্ষ্যে এগোচ্ছিলও দারুণভাবে। এটা মানতেই হবে, দেড় দশকে বাংলাদেশের যত উন্নয়ন হয়েছে, আগের পাঁচ দশকেও তা হয়নি।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অনেক ইতিহাসের সাক্ষী করেছে বাংলাদেশকে। কিন্তু ধাক্কাটা লাগে করোনা এসে। করোনায় গোটা বিশ্বের অর্থনীতিই স্থবির হয়ে গিয়েছিল। সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অর্থনীতিতে প্রবল চাপ সৃষ্টি করে। সেই চাপ আর কাটিয়ে ওঠা যায়নি।

সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯-এর ওপরে। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছাড়িয়ে গিয়েছিল ১০ শতাংশ। তার মানে খাবারের দাম বেড়েছে ১০ শতাংশ হারে। কিন্তু মানুষের আয় সেই অনুপাতে বাড়েনি। ফলে সাধারণ মানুষ চরম চাপের মুখে পড়েছে। সরকারের বাজেটেও আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। কিন্তু সরকার দেশি-বিদেশি নানা উৎস থেকে ঋণ নিয়ে তাদের ঘাটতি সামাল দেয়। সাধারণ মানুষের সেই সুযোগ নেই। তাই তাদের চাপ ক্রমশ বাড়তে থাকে।

কারও এক বিকালের চায়ের আড্ডার খরচ, অনেক পরিবারের সারা মাসের খরচকে ছাড়িয়ে যায়। বিলাসিতার কথা যদি বাদও দেই, সাধারণ মানুষকে তো বাঁচার জন্য হলেও খেতে হবে।

তাহলে সাধারণ মানুষ টিকে আছে কীভাবে? এই প্রশ্নের আসলে কোনো উত্তর নেই। সব মানুষের বছরের বা মাসের আয়-ব্যয়ের একটা হিসাব থাকে। কিছু খরচ আছে নির্ধারিত। বাসা ভাড়া, সন্তানের পড়াশোনার খরচ, চিকিৎসা ব্যয়, পত্রিকা, ইন্টারনেট, ময়লা ফেলার খরচ, বাসার সহকারীর বেতন—এগুলো হুট করে কমানোর কোনো উপায় নেই। ফলে ব্যয় বাড়ার মূল চাপ পড়ে বাজার খরচে। কিন্তু সেই জায়গায় ব্যয় বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। ফলে বাজারে গিয়ে মানুষের দিশেহারা অবস্থা।

আওয়ামী লীগ তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকেই এক নম্বর অগ্রাধিকার হিসেবে উল্লেখ করেছিল। বাজেটেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু খালি কথায় চিড়া ভেজে না, ভিজবেও না। কথা হয়েছে অনেক, কাজ হয়নি কিছুই। বাজারে হাহাকার চলছেই। কারও যেন কোনো মাথাব্যথা নেই।

অন্ন মানুষের মৌলিকতম চাহিদা বটে। তবে খাবারেরও অনেক ধরন আছে। মানুষের একদম বেঁচে থাকার জন্য যেমন খেতে হয়। আবার অনেকের কাছে খাবার মানেই বিলাসিতা। কারও এক বিকালের চায়ের আড্ডার খরচ, অনেক পরিবারের সারা মাসের খরচকে ছাড়িয়ে যায়। বিলাসিতার কথা যদি বাদও দেই, সাধারণ মানুষকে তো বাঁচার জন্য হলেও খেতে হবে।

অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাথে পাল্লা দিয়ে মানুষের জীবনযাত্রার মানও বেড়েছিল। বাঁচার জন্য খাওয়ার পাশাপাশি সুষম খাদ্যের কথাও ভাবছিলেন কেউ কেউ। দাম বাড়ার সাথে পাল্লা দিয়ে কমেছে খাওয়ার মান, হারিয়ে গেছে সুষম খাদ্যের ভাবনা।

নিম্নবিত্তের মানুষ তবু চেয়ে চিন্তে, সরকারের নানা সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় কিছুটা সুরক্ষা পায়। কিন্তু সমস্যা হলো মধ্যবিত্ত আর নিম্ন মধ্যবিত্তের। তারা না পারে কইতে না পারে সইতে। তারা লাইনেও দাঁড়াতে পারে না, আবার বাজারেও যেতে পারে না। আগেই বলেছি, দাম বাড়ার সাথে সাথে সুষম খাদ্যের ভাবনাটা হারিয়ে গেছে। সন্তানকে প্রতিদিন একটা ডিম খাওয়ানো বা দুধ খাওয়ানো এখন বিলাসিতা। অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার আছে মাসে বা দুই মাসে মাংসের দেখা পায়।

অন্য কোথাও যেহেতু হুট করে খরচ কমানোর উপায় নেই, তাই মূল চাপটা পড়েছে বাজারে মানে খাবারে। সব ধরনের বিলাসিতা বাদ দিয়ে বেঁচে থাকাই দায়। বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম একবার বাড়লে আর কমার নাম নেই। অল্প অল্প করে বাড়তে বাড়তে সব জিনিসের দামই এখন নাগালের বাইরে।

যে পরিবার নাজিরশাইল চাল খেতো, তারা হয়তো মোটা চালে চলে গেছে। কিন্তু মোটা চালের দামও চিকন চালকে ছাড়িয়ে গেছে। মানুষ বাজারে গিয়ে চাষের সস্তা মাছ আর ফার্মের মুরগি খোঁজে। কিন্তু মাছ আর মুরগির দামও বেড়েছে। যারা নিয়মিত বাজার করেন, তাদের অবস্থা খারাপ। কোন মাছের সাথে কোন তরকারি মেলাবেন; সেই হিসাব মেলাতেই সময় ফুরিয়ে যায়।

সমস্যা হলো, চাল, ডাল, আটা, পেঁয়াজ, মাছ, মাংসের দামে আমাদের নীতিনির্ধারকদের কিছু যায় আসে না। তারা নিজেরা বাজার করেন না…

সবজি খেয়ে দিন পার করবেন, সেই উপায়ও নেই। সব সবজির দামই সেঞ্চুরির কাছাকাছি। বাজারে গিয়ে মানুষের এই অসহায়ত্ব দেখা যায়। কোনো কিছুতে হাত দেওয়ার উপায় নেই। মানুষ অল্প টাকা বাঁচানোর জন্য দীর্ঘসময় দর কষাকষি করে। শেষে রুই মাছ কিনতে গিয়ে পাঙাশ কিনে ফেরে। মাছ একটু পচা হলে দাম একটু কম। সবজিও একটু পচা হলে কিনতে সুবিধা হয়। আগে মানুষ পচা জিনিস দেখতো না কেনার জন্য। আর এখন দেখে কম দামে কেনার জন্য।

নিয়মিত দাম বাড়ার প্রবণতা তো আছেই। মাঝে মাঝে দুয়েকটা পণ্যে আগুন লাগিয়ে দেয় বাজার সিন্ডিকেট। কখনো ডিম, কখনো মুরগি, কখনো পেঁয়াজ, কখনো আলুও আকাশে উড়ে যায়।

বাজারের এই হাহাকার নীতিনির্ধারকদের কান পর্যন্ত পৌঁছায় বলে মনে হয় না। তারা খুব নির্বিকার চিত্তে বলেন, জিনিসপত্রের দাম যেমন বেড়েছে, মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও বেড়েছে। কিন্তু দাম কতটা বেড়েছে, আর ক্রয়ক্ষমতা কতটা বেড়েছে; সেই হিসাবটা তারা করেন না। করেন না, কারণ এইসব হিসাবনিকাশে তাদের কিছু যায় আসে না। তাদের কাছে বাজারদর মানেই যেন কৌতুক। সেই কৌতুকের মতো। চালের দাম বেড়েছে বলে মানুষ ভাত খেতে পাচ্ছে না। শুনে রাজা বললেন, তাহলে তাদের পোলাও খেতে বলো।

সমস্যা হলো, চাল, ডাল, আটা, পেঁয়াজ, মাছ, মাংসের দামে আমাদের নীতিনির্ধারকদের কিছু যায় আসে না। তারা নিজেরা বাজার করেন না, আর এইসব শ বা হাজারের কথায় তাদের কিছু যায় আসে না। তাদের হিসাবনিকাশ লাখে বা কোটিতে। আগেই বলেছি, যাদের এক বিকালের চায়ের আড্ডা বিল ১০ হাজার টাকা, তাদের কাছে বাজারদর কোনো বিষয় নয়।

দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলেও বাজার দর নিয়ে কোনো কথা নেই, আন্দোলন নেই। কোটার দাবিতে ঢাকা অচল হয়ে যায় আর বাজারে মানুষের জীবন অচল হয়ে বসে আছে অনেক আগেই। আন্দোলন নেই, কারণ মধ্যবিত্তের কোনো ভয়েস নেই, কোনো সংগঠন নেই। তারা শুধু অ্যাডজাস্ট করে এবং টিকে থাকে।

মান কমাতে কমাতে একদম নিচের ধাপে নেমে যায়। বাসা বদল করে সস্তা বাসায় যায়। একদম না পারলে গ্রামে চলে যায়। মানুষ আসলে টিকে আছে কোনোরকমে না ভাসিয়ে। এভাবেও বেঁচে থাকা যায় বটে। কিন্তু একদিন টুপ করে ডুবে যাবে, কেউ টেরও পাবে না।

প্রভাষ আমিন ।। বার্তা প্রধান, এটিএন নিউজ

‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

দেশের সর্বত্র উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে পদত্যাগের চিন্তা করছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এমন গুঞ্জনের মধ্যে তার সঙ্গে দেখা করে আসলেই পদত্যাগ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ভাবছেন বলে নিশ্চিত করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। অবশ্য তিনি যেন এমন সিদ্ধান্ত না নেন সেই অনুরোধ জানিয়েছেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন নাহিদ ইসলাম। পরে বিবিসি বাংলাকে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতি, স্যারেরতো পদত্যাগের একটা খবর আমরা আজকে সকাল থেকে শুনছি। তো ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্যারের সাথে দেখা করতে গেছিলাম। প্রধান উপদেষ্টা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবেন না এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।’

এসময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও ছিলেন বলে জানা গেছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্যার বলছেন আমি যদি কাজ করতে না পারি… যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে আনছিলা একটা গণঅভ্যুত্থানের পর, দেশের পরিবর্তন, সংস্কার…। কিন্তু যেই পরিস্থিতি যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে। আমিতো এভাবে কাজ করতে পারবো না। তো রাজনৈতিক দলগুলা তোমরা সবাই একটা জায়গায়, কমন জায়গায় না পৌঁছাতে পারো।’

প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন নাহিদ। এ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘আমাদের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের ভবিষ্যৎ সবকিছু মিলিয়ে উনি যাতে শক্ত থাকেন এবং সব দলকে নিয়ে যাতে ঐক্যের জায়গায় থাকেন, সবাই তার সাথে আশা করি কো-অপারেট করবেন।’

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করছেন জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘হ্যাঁ, যদি কাজ করতে না পারেন, থাকবেন, থেকে কী লাভ। উনি বলছেন উনি এ বিষয়ে ভাবছেন। ওনার কাছে মনে হয়েছে পরিস্থিতি এরকম যে তিনি কাজ করতে পারবেন না।’

পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার এখনকার মনোভাবের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এখন ওনি যদি রাজনৈতিক দল তার পদত্যাগ চায়… সেই আস্থার জায়গা, আশ্বাসের জায়গা না পাইলে উনি থাকবেন কেন?’

জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

জুলাইয়ের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক শক্তির মধ্যে ফাটল তৈরি ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ র‍্যালি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৮০টি সংগঠনের ঐকবদ্ধ প্লাটফর্ম ‘জুলাই ঐক্য’।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে  প্রতিবাদ র‌্যালি শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যের এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, “যে ঐক্য নিয়ে আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থান করেছিলাম সে ঐক্য ভাঙতে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা ষড়যন্ত্র করে জুলাই ঐক্যকে বিনষ্ট করতে চাইবে জুলাই জনতা তাদেরকে আবারও দিল্লিতে পাঠিয়ে দেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে আমরা লড়ে যাবো। ভারতীয়, মার্কিন আগ্রাসনে ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জুলাই জনতা বুক পেতে আবার রাজপথে নেমে আসবে। আমরা আবারও বুকের তাজা রক্ত দেবো তবুও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নষ্ট হতে দেবো না।”

এ সময়  বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সচিবালয়ে ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর বসে আছে। ৩১ মে এর মধ্যে সচিবালয় থেকে ফ্যাসিবাদের সকল দোসর  অপসারণ না করলে সচিবালয় ঘেরাও হবে।”

জুলাই ঐক্যের আপ বাংলাদেশের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যে সকল ভারতীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত অপসারণ করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “জুলাইয়ের শহীদদের রক্তের ওপর আপনার সরকার গঠিত। আমরা আপনার ওপর আস্থা রাখতে চাই। জুলাইয়ের ঐক্যকে যারা নষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। অতি দ্রুত জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা দেন এবং আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করুন।”

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসার না দিয়ে উপদেষ্টারা ক্ষমতা উদযাপন শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ভারতীয় আধিপত্যবদের দোসরা আবারও দেশকে ভারতের কাছে তুলে দিতে চায়। উপদেষ্টা পরিষদে ভারতীয় কোনো দালাল থাকতে পারবে না। জুলাই যোদ্ধারা বেঁচে থাকতে তা সফল হবে না। এবার রাজপথে নামতে হলে আপনাদের উৎখাত করে দেশ ছাড়া করা হবে। যারা জুলাই ঐক্যের ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন।”

এছাড়াও জুলাই স্পিরিট ধরে রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকল ভেদাভেদ ভুলে সকল রাজনৈতিক ও সমাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি জানান। জুলাই ঐক্যের ৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—

ক) জুলাইয়ের সকল শক্তিকে বিনষ্ট করতে যে সকল ভারতীয় এজেন্ট কাজ করছে তাদের অবিলম্বে খুজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

খ) উপদেষ্টা পরিষদে যারা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ব্যাতিব্যাস্ত অবিলম্বে তাদের অপসারন করে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।

গ) অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র যথা সময়ে দিতে হবে।

উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ
উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

আগের সব ‘বিভাজনমূলক বক্তব্য ও শব্দচয়নের’ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও।

হাসনাত বলেছেন, “এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নগ্ন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপদেষ্টা মাহফুজ আব্দুল্লাহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এমন আহ্বান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সেখানে তিনি লিখেচেন, “জুলাইয়ের ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তির প্রতি আহ্বান—যে বিভাজনটা অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের মধ্যে এসেছিল, সেই বিভাজনকে দেশ ও জাতির স্বার্থে মিটিয়ে ফেলতে হবে।”

তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, “মনে রাখবেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনে দেশে-বিদেশে অনেকে নাখোশ হয়ে আছে। এই নাখোশ বান্দারা আমাদের বিভাজনের সুযোগ নিতে নিতে আজকের এই অস্থিতিশীল দিন এনেছে। আমরা সবাই এক হয়েছিলাম বলেই দীর্ঘ দেড় যুগের শক্তিশালী ফ্যাসিবাদকে তছনছ করতে পেরেছিলাম। আমরা খণ্ড-বিখণ্ড হলে পতিত ফ্যাসিবাদ ও তার দেশি-বিদেশি দোসরেরা আমাদের তছনছ করার হীন পাঁয়তারা করবে।”

হাসনাত বলেন, “দেশ ও জাতির প্রতি দায় এবং দরদ আছে বলেই আমরা এক হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়েছিলাম। দেশ ও জাতির জন্যই এবার আমাদের এক হয়ে আমাদের স্বদেশকে বিনির্মাণ করতে হবে। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থের জন্য এই ঐক্য নয়, বরং আমাদের দেশের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনও বিকল্প নেই।”

"> ">
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের ব্রাইডাল লুকে মুগ্ধতা ছড়ালেন অপু বিশ্বাস না আছে মরার ভয় না আছে হারাবার কিছু : আসিফ মাহমুদ গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন ট্টাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নাহিদ ইসলাম সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করল আইএসপিআর বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রেস বিজ্ঞপ্তি নাগরিক ছাত্র ঐক্য সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা বীরগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু শেরপুর সীমাবাড়ি ইউনিয়নের কদিম হাঁসড়া গ্রামে বিমলের বাড়িতে মাদকের আখরা, যেন দেখার কেউ নেই রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে বড় ধরনের বদলি! ভবানীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা পুলিশ অঞ্জাত কিশোরীর লাশ উদ্ধারের পরিচয় সনাক্তে ফেইসবুকে পোস্ট বীরগঞ্জে এনসিপি নেতা হাসনাতের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস পালিত বীরগঞ্জে মহান শ্রমিক দিবস পালিত ছোনকায় মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্নাঢ্য র‌্যালী শেষে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন কাহারোলে স্কাউটস দিবস উপলক্ষে র‍্যালি,পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু দুদকের আকস্মিক অভিযান: বীরগঞ্জ হাসপাতালে দুর্নীতির চিত্র উন্মোচিত শেরপুরে চোরসহ টলিগাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরায় আটক শেরপুরে ইউনিয়ন জামাতের সেক্রেটারীর ভাই ৭৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার শেরপুরে কলেজের অধ্যক্ষের দূর্ণীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।। শেরপুরে সভাপতি কর্তৃক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি তদন্ত করার কারনে সভাপতি পরিবর্তন নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শেরপুর উপজেলা বিএনপি’র আনন্দ শোভাযাত্রা শেরপুরে মাদ্রাসা শিক্ষিকার আত্মহত্যা।