খুঁজুন
শুক্রবার, ২৩শে মে, ২০২৫, ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

সর্বজনীন পেনশন প্রত্যয় স্কিম

কী ঘটছে এবং কোথায় কী চাল?

মানস চৌধুরী প্রকাশিত: শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
কী ঘটছে এবং কোথায় কী চাল?

কথা ছিল ৪ জুলাই ২০২৪ সকাল ১১টা নাগাদ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আলোচনায় বসবেন আন্দোলনরত শিক্ষকদের সাথে। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া তা জানিয়েছিলেন। আমরা এও জেনেছিলাম যে এই আমন্ত্রণ কিংবা বসার বন্দোবস্ত করেছিলেন ছাত্রলীগের একজন সাবেক নেতা। সরল মনের মহাসচিব তা জানানোর পর বহু শিক্ষকের মনেই এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল ‘তাই বলে এইভাবে?’ কিন্তু কেন জনাব মহাসচিবের ঠিক এই রাস্তাটাই খোলা ছিল কিংবা কেন তিনি মন্ত্রী মহোদয়কেই ক্যাম্পাসে চায়ের আমন্ত্রণ গ্রহণ করতে অনুরোধ করেননি সেইসব প্রশ্ন বর্তমান বাংলাদেশে করলেও চলে, না করলেও চলে। সর্বোপরি, এই আন্দোলনের নেতৃত্ব অবধারিতভাবে যাদের হাতে তারা সরকারেরও উৎকট অনুগত বটে। ১০ বছরে এই পেশাজীবীদের প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে এই নেতৃবৃন্দ কী ধরনের ন্যুব্জ আচরণ ক্রমাগত জারি রেখেছেন তা নিয়ে যাদের স্মৃতি জাগরূক আছে তারা এসব প্রশ্নকে নিরর্থকই বিবেচনা করেন।

শিক্ষকদের আন্দোলনে যুক্ত সব শিক্ষকই। আর বলাই বাহুল্য, এতে বিপুল সংখ্যক প্রকাশ্য সরকারি দলের সমর্থক শিক্ষকেরা আছেন। এদের সংখ্যাটা এখন দেশে এত বড় যে কখনো কখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানোর মানে আনুগত্য প্রদর্শনই কিনা এই প্রশ্নও আমাদের ভাবিত করে। তারপরও কয়েক দিনের ঘটনাক্রমে অন্তত কয়েকটা ছোটবড় ঘটনা ঘটেছে, অনেকেই জানতে শুরু করেছেন আন্দোলনটা আসলে কী নিয়ে। যতই প্রচুর লোক এখনো শিক্ষকবিদ্বেষী গড়গড়া কথা বলুন না কেন, অনেকেই আন্দোলনের যাথার্থ্য সম্বন্ধে আগের থেকে অনেক বেশি বুঝতে শুরু করেছেন। শিক্ষার্থীদের কিছু অংশ যারা বৃহত্তর সমস্যাগুলো নিয়ে কয়েক বছর ধরে ভাবিত তারা এই আন্দোলনকে নিয়ে নিজেদের অবস্থান বলবার দায়িত্ব বোধ করতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ এমনকি আরেকটু এগিয়ে গিয়ে তাদের ‘কোটাসংস্কার আন্দোলনের’ পক্ষে শিক্ষকদের অংশগ্রহণের প্রস্তাব দেওয়ার কারণ খুঁজে পেয়েছেন। সর্বোপরি, সরকার সেই চিরপুরাতন ফর্মুলাতে এই আন্দোলন থেকে বিরোধী দল সুফল নিতে চাইছে বলে প্রোপাগান্ডাটা চালু করার মতো গুরুত্ব দিতে শুরু করেছেন। সব মিলে পরিস্থিতি অতটা গৌণ নয়। একদম গোপন দানে (দাবার দান অর্থেও, অনুদান অর্থেও) নেতৃবৃন্দ বা একাংশ কুপোকাত হয়ে না গেলে খুব একটা গলি আর খোলা নেই যেখানে এরা আন্দোলনকারী অংশ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য ঢুকে পড়তে পারবেন।

গোড়াতেই নেতৃবৃন্দ এই স্কিমকে ‘বৈষম্যমূলক’ বলে এসেছেন। আর তাতে এমন একটা বাতাসি তুলনা মনে জাগ্রত হতে পারে যে তুলনাটা কার সাথে করা হবে তার দিকনির্দেশনা নেই। বস্তুত, এই স্কিমটাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য আবশ্যিক করে ঘোষণা দেওয়াটা প্রতারণামূলক….

এতকিছুর পরও ‘প্রত্যয় স্কিম’ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আপত্তির জায়গাগুলো অনেক কৌতূহলী নাগরিকও ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারছিলেন না। শেষ কয়দিনে কিছু দৈনিক একদম হিসাবনিকাশ করে শিক্ষকদের ক্ষতির বিবরণী প্রকাশ করাতে কিছুটা সুবিধা হয়েছে। অন্তত এই ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষকদের একাংশ মনোযোগী বিশ্লেষণ করেছেন ও উপাত্ত ছেড়েছেন। তারা ও পত্রিকাগুলো এই কৃতজ্ঞতা সব শিক্ষকের কাছ থেকেই পাবেন। তবে এই না বুঝতে পারার কিছু দায় আন্দোলনরত শিক্ষকদের নেতৃবৃন্দের আছে বলে আমি মনে করি। খুব স্পষ্টভাবে মনে করি। গোড়াতেই নেতৃবৃন্দ এই স্কিমকে ‘বৈষম্যমূলক’ বলে এসেছেন। আর তাতে এমন একটা বাতাসি তুলনা মনে জাগ্রত হতে পারে যে তুলনাটা কার সাথে করা হবে তার দিকনির্দেশনা নেই। বস্তুত, এই স্কিমটাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য আবশ্যিক করে ঘোষণা দেওয়াটা প্রতারণামূলক, বরখেলাপমূলক ও চালিয়াতিমূলক। প্রতারণামূলক কারণ সরকারের সম্প্রচারে (বা প্রোপাগান্ডাতে) মনে হবে যেন বা সব স্বায়ত্তশাসিত এবং/বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্তদের বিধিবদ্ধ সুবিধাদি এক রকমের, সমধর্মী। বাস্তবে একেবারেই তা নয়। স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের (শিক্ষকসমেত) অবসরকালীন সুবিধাদি স্বতন্ত্রভাবে লিপিবদ্ধ ও চর্চিত আছে। তা আর পাঁচটা দেশের তুলনায় ভালো কিনা (তা তো বেতন বলতেও শ্রীলঙ্কার কলিগের কাছেই লজ্জা লাগে আমাদের) সেইটা আরেক প্রশ্ন, কিন্তু বিদ্যমান বেতন কাঠামোর সাথে আনুপাতিকভাবে স্বতন্ত্র ছিল সেটাই বলছি। স্কিমটাকে আবশ্যিক করা বরখেলাপমূলকও বটে। কারণ, যে লিখিত চুক্তি ও অলিখিত ‘প্রত্যয়’ রাষ্ট্রচালক হিসেবে সরকারের/সরকারসমূহের সাথে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছিল, সেই চুক্তি ও প্রত্যয়ের/আস্থার বরখেলাপ হয়েছে এই উদ্যোগে। কৌতুকের যে হয়েছে ‘প্রত্যয়’ নামের একটা স্কিম দিয়ে। এটা চালিয়াতিমূলকও বটে। সংখ্যায় ও শিক্ষা গুরুত্বে এত বড় একটা পেশার লোকজনের সাথে আগাম কোনোরকম আলোচনা না করে (যতই লোকদেখানো আলোচনা হোক না কেন) এরকম স্কিমের আবশ্যিক প্রয়োগ চালিয়াতি।

তাহলে দেখা যাচ্ছে, যে অভিযোগ সরকারের এবং স্কিমটির বিরুদ্ধে করার কথা সেই অভিযোগের স্পষ্টতার অভাবে একটা বাতাসি পদপ্রয়োগ করে পরিস্থিতিটাকে বুঝতে দিতে যথেষ্ট পারঙ্গমতা আমাদের নেতারা দেখাননি। ‘বৈষম্যটা’ কোথায় হলো এবং কীসের সাপেক্ষে তা দু-চার শব্দে বোঝানোর জন্য ‘পাঞ্চলাইন অভিযোগ’ ভিন্ন হতে হতো। উপরন্তু, যেসব প্রতিষ্ঠানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এযাবৎকাল-পর্যন্ত-সংগঠিত অবসর ভাতাদির বন্দোবস্ত ছিল না, সেইখানে এই স্কিমটির সুফল থাকতে যে পারে সেই উল্লেখটিও জরুরি ছিল শিক্ষকদের পক্ষে। সুফল থাকতে পারে বলতে, অবশ্যই ধরে নিতে হবে আর্থিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছার প্রতি দেশবাসী আস্থাশীল। বাস্তবে বর্তমান সরকারের আর্থিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে আস্থাশীল লোক সরকারি দলের অনুসারীদের মধ্যেও আছে কিনা তা গোপনে গুণে দেখতে হবে। কিন্তু, বলতে চাইলাম, ভালো হৃদয়ের ব্যবস্থাপকেরা আর্থিক দেখভাল করছেন ধরে নিলে, ‘প্রত্যয়’ স্কিমটাও সততার সাথে প্রতিপালিত হবে ধরে নিলে, এই স্কিমটার কিছু লাভপ্রাপ্ত গোষ্ঠীও থাকতে পারে।

সবাই জানেন ৫/৬টা বিশ্ববিদ্যালয় বাদ দিলে মোটের ওপর পড়ালেখার মান ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলাপ না-করাই মঙ্গল। এবং শিক্ষকদের বেতনকাঠামো ও ভাতাদি অকথ্য পর্যায়ের সেইসবে। পাবলিক শিক্ষকেরা চুপ!

তবে এই মুহূর্তে স্কিমটির মেরিট কিংবা আন্দোলনকারীদের নেতাদের কৌশল (ও কোমর) নিয়ে পর্যালোচনা আমার আগ্রহ নয়। যদিও কিছু কথা বলাই হলো, তবে আমার মনে হয় না যে আমি ব্যাখ্যা না করলে শেষোক্ত বিষয় নিয়ে মনোযোগী ঘটনা-পাঠকরা খুব ভুলভাল বুঝবেন। শিক্ষক নেতাদের দৃঢ়তা ও কৌশল-তীক্ষ্ণতা নিয়ে খুব উচ্চাশা অন্য পেশাজীবীদের মধ্যেও খুব একটা আমি লক্ষ্য করিনি। যাই হোক, আমার আগ্রহ সব পক্ষের কিছু কলাকৌশল ও চাল-দান নিয়ে বলার, যতটুকুই হোক। তবে এ কথা ঠিকই যে, সরকারের সব চাল/দান আমি বুঝতে পারলেও এখানে ভেঙে বলব না। তা কেবল ভয়ের কারণে নয়। বরং, সরকারের মধ্যেও নানান মাত্রার বুদ্ধিমান (বা -হীন), নানান রকমের অভিলক্ষ্যের, নানান কারসাজির লোক থাকার কথা। তারা সকলেই সরকারের দূরপাল্লার চাল বুঝে নাও থাকতে পারেন। আমি চাই না যে আমার রচনাটি তারা পড়ে ফেলে সবটা বুঝে ফেলুন। তাতে আমাদের লাভ নেই। কিন্তু আমি নিশ্চিত করছি যে দূরপাল্লার চাল আমি নখদর্পণের মতো দেখতে পাই। সেই চালে তারা জিতবেন নাকি আপাতত একটা ‘বিজয়’ নিয়ে সরল মনের নেতৃবৃন্দ ফিরবেন তা অন্য প্রসঙ্গ এবং তা এখনো কিছু শর্তসাপেক্ষ ঘটনাক্রম উদ্ভূত হওয়ার সাথে সম্পর্কিত।

এখন তাহলে কী দাঁড়ালো? আমি যা নিয়ে বলতে আগ্রহ বোধ করছি, তা নিয়ে বলা আসলে সরকার ও জনপ্রশাসনের মধ্যে থাকা অপেক্ষাকৃত কমবুঝের মানুষদের বাড়তি সুবিধা দেবে। আমি বলবটা কী নিয়ে? বরং আপনাদের বলি যে এই পরিস্থিতি অনায়াসে তৈরি হয়নি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাথে সরকার ও জনপ্রশাসকদের (সিভিল ব্যুরোক্রেট) সম্পর্কের অবনতি এবং কূটকৌশলের বেড়াজালে শিক্ষকদের বন্দি করার জন্য নিরন্তর প্রচেষ্টার কিছু অন্তত ব্যাখ্যা আমাদের থাকা দরকার। আমি বরং প্রাথমিক কিছু সূত্র দেই যা কিছুতেই দু-চার-পাঁচ বছরের অতীতের সাথে সম্পর্কিত নয়। এবং সেই জায়গায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দায়মুক্তিও আমি দেখি না।

স্মৃতি হাতড়ান! ১৯৯১ সাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশের বাইরে বিশ্ববিদ্যালয় বানানো শুরু হয়েছে (শাবিপ্রবি ও খুবি)। আপনারা বলবেন ‘তখন তো সরকার আরেকটা ছিল’। আমি বলব ‘আসে যায় না কিছু’। পাবলিক শিক্ষকেরা চুপ! তারপর একটার পর একটা প্রায় জেলায়-জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় বানানো হয়েছে, যার মধ্যে অনেকগুলো আবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এবং ন্যূনতম অবকাঠামো ছাড়াই; এবং স্বতন্ত্র অধ্যাদেশে। পাবলিক শিক্ষকেরা চুপ! ১৯৯২ সালে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট তৈরি হয়েছে। তার ৩৩ বছর পরও অবকাঠামোগত শর্তাদি পূরণে সেইসব বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘বাধ্য করা হয়নি/যায়নি’। সবাই জানেন ৫/৬টা বিশ্ববিদ্যালয় বাদ দিলে মোটের ওপর পড়ালেখার মান ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলাপ না-করাই মঙ্গল। এবং শিক্ষকদের বেতনকাঠামো ও ভাতাদি অকথ্য পর্যায়ের সেইসবে। পাবলিক শিক্ষকেরা চুপ! নিরুপায় বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকেরা ঢাকা এলেন তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে, অতি সামান্য সেইসব দাবি। এমনকি পেটচালানির টাকা দাবি। তাদের পিটিয়ে বরণ করল সরকার। শিক্ষকেরা চুপ! পাড়ায় পাড়ায় হওয়া সেইসব ‘পাবলিক’ বিশ্ববিদ্যালয়কে সরকার আদর করে ডাকতে শুরু করল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। আবারও চুপ! বরং সরকারের অনুগতরাও সেইগুলো সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ই বলতে শুরু করলেন। ভিসি নিয়োগের জন্য ব্যাকুল লোকজন বেড়ে গেল। আর ওই জনৈক সাবেক ছাত্রলীগের নেতার মতোই ‘ঘটক’ ছাত্রনেতাদেরও দৌরাত্ম্য শুরু হলো। কিছু কিছু ভিসি জামাজুতা পরার প্রশিক্ষণ পর্যন্ত দিলেন। তাদের নাম দেওয়া হলো প্রিলিমিনারি ট্রেইনিং। আমরা আবারও চুপ! কেউ কেউ ঢাকা থেকে ভিসিগিরি করলেন। চুপ! সামরিক আমলাতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় চালাচ্ছে, অথচ অর্থ জোগানদাতা ইউজিসি। আমরা চুপ! বিশ্বব্যাংক এসে পড়ালেখাকে কিমা বানানোর মেশিনের মতো ফর্মুলায় ফেলে দিলো। আমরা চুপ! শুধু চুপই না আমাদের কলিগেরা ব্যতিব্যস্ত হয়ে সেইসব ‘প্যারামিটার’কে প্রশ্নাতীত থাকতে দিলেন; সেইসব মেটাতে শুরু করলেন। ২০১৫ সালে বেতন কাঠামো নিয়ে আন্দোলনের সময় আমাদের ‘নেতা’রা অমুক বা তমুক পেশার মর্যাদা চেয়ে বসলেন; এবং শেষে অমুকদের পদতলে কলিজা-কলম বন্ধক রেখে আসলেন। আমরা চুপ! পেনশনের সব টাকা দেওয়া হবে না—সরকার ঘোষণা দিলেন। আবারও চুপ! এই তালিকা ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেখা যেতে পারে।

এই মুহূর্তে সরকার ডিল করছেন কতগুলো জামাজুতা-পরে, ঠেলাঠেলি করে রাজদর্শনে আগ্রহী, মনে মনে সচিবের চেয়ারের স্বপ্নদেখা, প্রজেক্টের টাকায় বাকুমবাকুম, নিশ্চুপ একদল পেশাজীবীকে। এই হলাম আমরা—পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। আমাদের মতো এই রকম পেশাজীবীদের সাথে সরকার মসকরা করবে না তো কাদের সাথে করবে! দেরি হয়ে গেছে সহকর্মীবৃন্দ! মাজা সোজা করে দাঁড়ান! আপনাদের এই ন্যুব্জতা আর নিশ্চুপ থাকা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়ে থাকছে।

ড. মানস চৌধুরী ।। অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকৃতির ভাষা ও প্রাণের চাহিদা বোঝা বাজেট

এম জাকির হোসেন খান
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১:৫৯ অপরাহ্ণ
প্রকৃতির ভাষা ও প্রাণের চাহিদা বোঝা বাজেট

মায়ের কোলে ঘুমিয়ে থাকা শিশুর নিঃশ্বাসে হয়তো ধুলাবালি নেই, হয়তো নেই নদী হারানোর দীর্ঘশ্বাস। কিন্তু তার ভবিষ্যৎ কি আমরা নিশ্চিত করে দিচ্ছি? হয়তো নয়। কারণ আমাদের জাতীয় বাজেটে প্রকৃতির কোনো স্বর নেই, নেই নদীর জন্য বরাদ্দ, বনাঞ্চলের কান্না বা একটি তপ্ত শহরের শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার সুযোগ।

২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেট আলোচনায় জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কিংবা নবায়নযোগ্য জ্বালানির কথা উঠে এসেছে-তবে গণমাধ্যমে। বাস্তবে, যে দেশ প্রতিবছর ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষয়ক্ষতির মুখোমুখি হয় ঘূর্ণিঝড়ের কারণে, যে দেশে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার মানুষ শুধু পরিবেশ দূষণের কারণে অকালে মৃত্যুবরণ করে, সেই দেশের বাজেটে জলবায়ু ও পরিবেশ খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ০.৭০৬ শতাংশ-এ কি উপহাস নয়?

এ অবস্থার পেছনে রয়েছে একটি ‘উন্নয়ন-বিনাশ ফাঁদ’ (Development-Destruction Trap)। উন্নয়নের নামে প্রকৃতি ধ্বংস হচ্ছে, অথচ প্রকৃতির উপর নির্ভর করেই টিকে আছে কৃষি, খাদ্য, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা। এ সংকট সমাধানে শুধুমাত্র খাতভিত্তিক বাজেট নয়, প্রয়োজন ন্যায্যতা ও অধিকার ভিত্তিক বাজেট কাঠামো, যেখানে প্রকৃতি ও জনগণের অধিকার সম্মান পায়।

চট্টগ্রামের উপকূলীয় এক গ্রামে ঘূর্ণিঝড় রেমালের পর একজন মাঝবয়সী নারী বলেছিলেন, ‘ঘর গেছে, জমি গেছে, এখন ছেলেমেয়েকে নিয়ে শুধু চাই—জীবনটা যেন একটু নিরাপদ হয়।’ কিন্তু বাজেট সেই নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিতে পারেনি।

বাংলাদেশের বাজেট প্রণয়ন ধারণাটি এখনো প্রকৃতিকে বোঝে না। প্রকৃতিকে ‘ব্যয়যোগ্য’ হিসেবে দেখা হয়, সংরক্ষণ নয়।

পানি উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ কমেছে; স্বাস্থ্য খাতে বাড়লেও তা নগণ্য; দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বরাদ্দ কমেছে মূল্যস্ফীতির হিসাব কষলে। আশ্চর্যজনক হলো, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল যেমন রংপুর ও সুনামগঞ্জে জনপ্রতি বরাদ্দ সবচেয়ে কম, বরিশালের তুলনায় প্রায় ৯ গুণ কম। এই বৈষম্য কেবল অর্থনৈতিক নয়, এটি নৈতিক ব্যর্থতাও।

বাংলাদেশের বাজেট প্রণয়ন ধারণাটি এখনো প্রকৃতিকে বোঝে না। প্রকৃতিকে ‘ব্যয়যোগ্য’ হিসেবে দেখা হয়, সংরক্ষণ নয়। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সির মতে, $১ বিনিয়োগ করলে পরিবেশগত প্রতিরক্ষা থেকে $৩০ পর্যন্ত আর্থিক সুবিধা আসে—ব্যবসা ভাষায় যাকে বলে বিনিয়োগের রিটার্ন।

আমাদের মাটি, জল, বাতাস আর জীববৈচিত্র্য আজ বিনষ্ট। এ বিনাশের খরচ কেবল সরকারি হিসাব নয়, প্রতিটি পরিবারের নিত্য জীবনের ভোগান্তি। সুস্থ বাচ্চা জন্ম দিতে না পারা এক মায়ের কান্নায়, গর্ভবতী নারীর ফুসফুসে জমে থাকা ধুলোয়, মাছের খাঁচা ভেসে যাওয়া একজন মৎস্যজীবীর অসহায়তায় সেই খরচ ধরা পড়ে।

তাহলে কেমন হওয়া উচিত প্রকৃতি-পরিবেশ বান্ধব বাজেট?

আমাদের প্রস্তাব একটি কাঠামোগত সংস্কারের দৃষ্টিভঙ্গি:

ক) প্রকৃতিকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি: বাংলাদেশের উচ্চ আদালতের নদীকে জীবন্ত সত্তা হিসেবে প্রদত্ত রায়কে মেনে সরকারের দ্রুত সমুদ্র, বন, পাহাড়কে ‘জীবন্ত সত্তা’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ‘প্রাকৃতিক অধিকার আইন’ প্রণয়ন করুন, যা প্রকৃতি ন্যায্যতাও। শুধু প্রকল্প বা কর্মসূচিতে প্রকৃতি নয়, প্রকৃতির নিজস্ব অস্তিত্বকে স্বীকার করুন এবং প্রাকৃতিক আইন মেনে অর্থায়ন করুন।

খ) ভূমি ও নদী ব্যবস্থাপনায় ন্যায্যতা: ঝুঁকির ভিত্তিতে অগ্রাধিকার দিন। সুনামগঞ্জ, রংপুর, কুড়িগ্রামের মতো জেলাগুলোয় পৃথক ‘ঝুঁকি সামলানো তহবিল’ গঠন করা দরকার।

গ) রাজস্ব উৎস হিসেবে সবুজ কর: কার্বন কর, দূষণ ফি ও পরিবেশ সংরক্ষণ ফি থেকে বছরে ৩ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব আনা সম্ভব।

  • ইটভাটা, সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক, দূষণকারী পণ্য ও পরিবহন ও জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর পরিবেশ সুরক্ষা কর এবং কার্বন করারোপ করুন। মাত্র ১০ শতাংশ হারে এ ধরনের করারোপে প্রায় এক থেকে দেড় বিলিয়ন ডলার জোগান দেওয়া সম্ভব

(সূত্র: চেইঞ্জ ইনিশিয়েটিভ স্টাডি, ২০২৪)।

  • বরাদ্দের পরিমাণ: পরিবেশ, জলবায়ু ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে প্রকৃত বা পরিবেশ ও প্রকৃতির ক্ষয়-ক্ষতি বাদে প্রাক্কলিত নেট জিডিপির অন্তত ২০ শতাংশ বরাদ্দ দিতে হবে প্রকৃতির সুরক্ষা এবং কমিউনিটি নেতৃত্বাধীন রেজিলিয়েন্স নিশ্চিতে-

–               কৃষি খাতে: জিডিপির ৫ শতাংশ

–               পানি খাতে: ৫ শতাংশ

–               জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পুষ্টি খাতে: ৫ শতাংশ

–               প্রাকৃতিক সুরক্ষা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায়: ৫ শতাংশ

সুস্থ বাচ্চা জন্ম দিতে না পারা এক মায়ের কান্নায়, গর্ভবতী নারীর ফুসফুসে জমে থাকা ধুলোয়, মাছের খাঁচা ভেসে যাওয়া একজন মৎস্যজীবীর অসহায়তায় সেই খরচ ধরা পড়ে।

এই মুহূর্তে প্রশ্ন একটাই: আমরা কাকে বাঁচাতে চাই?

শুধু দালান, সড়ক আর মেগা প্রকল্পে কষ্টার্জিত বিনিয়োগ করলেও পানি, নিচে মাটি থাকবে তো? নদী কি থাকবে? মাছ এবং বীজ কি মাইক্রোপ্লাষ্টিক মুক্ত থাকবে?

প্রকৃতিকে বাদ দিয়ে তথাকথিত ধ্বংসাত্মক উন্নয়নকে বেছে নিলে পরিণতি কী হয় তা জানার জন্য সভ্যতাগুলো হারিয়ে যাওয়ার ইতিহাস পড়া উচিত ‘আমি সব জানি’ নীতিনির্ধারক এবং বিশেষজ্ঞদের।

প্রকৃতি প্রদত্ত সুজলা সুফলা বাংলাদেশের সাড়ে বারোশো নদী থেকে মাত্র ২৫০ এর মতো নদী বেচে থাকা, নির্মল বাতাসের ঢাকাকে বৈশ্বিক বায়ু দূষণের কেন্দ্রে পরিণত করা, নদীগুলো বিষের উৎসে পরিণত করাকে যারা উন্নয়ন হিসেবে দেখছেন সে সময় বেশি দূরে নয় যে, তাদের সামনে ভূতুরে অবকাঠামো দাঁড়িয়ে থাকবে-ঝড়ের মুখে, পানির সংকটে, বাতাসের বিষে প্রতিনিয়ত জীবন সংহার হবে।

একটি ন্যায্য, সহনশীল এবং প্রাকৃতিক অধিকার সুরক্ষাবান্ধব বাজেট বাজেট শুধু মানুষের নয়, প্রকৃতি ন্যায্যতা এবং স্থায়িত্বশীলতাও নিশ্চিত করবে।

এম জাকির হোসেন খান ।। প্রধান নির্বাহী, চেইঞ্জ ইনিশিয়েটিভ এবং প্রকৃতির সার্বভৌমত্ব, প্রাকৃতিক অধিকারভিত্তিক শাসন কাঠামার প্রণেতা

ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই নির্বাচন, এদিক-সেদিক যাওয়ার সুযোগ নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১:৫৬ অপরাহ্ণ
ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই নির্বাচন, এদিক-সেদিক যাওয়ার সুযোগ নেই

পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে। এই সময়সীমার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।

শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে রাজধানীতে একটি প্রোগ্রাম শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যে পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি বলেন, আমি প্রথম থেকেই বলে এসেছি যে উনি (প্রধান উপদেষ্টা) একটা সময় দিয়েছেন—ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। তার একদিনও এদিক-সেদিক হওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের পক্ষ থেকে নেই। কাজেই এগুলো নিয়ে অন্য ধরনের কোনো কথা বলারও কোনো সুযোগ হওয়া উচিত নয়।

ড. ইউনূসের পদত্যাগ নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় রিজওয়ানা হাসান বলেন, এখন কিছু কিছু গুরু দায়িত্ব আছে, সেগুলো পালনের সঙ্গেও তো মাসের একটা সম্পর্ক থাকতে পারে। যদি কোনো কিছু বলার থাকে, আমি নির্বাচনের প্রশ্নেও বলেছি, দায়িত্ব পালনের প্রশ্নেও বলেছি—ওটা আপনারা ওনার (প্রধান উপদেষ্টার) কাছ থেকেই শুনবেন।

চাপের প্রসঙ্গে রিজওয়ানা হাসান বলেন, ধরুন, প্রত্যাশার একটা চাপ হচ্ছে যে আমরা পারফর্ম করতে পারছি কি না। আমাদের বিবেচনায় ওটাই একমাত্র চাপ। এর বাইরে আর কোনো চাপ নেই।

তিনি আরও বলেন, আপনি এখন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় মিটিংয়ে যাবেন—সচিবালয় থেকে যমুনা—যেতে পারবেন না, রাস্তা বন্ধ। কেন রাস্তা বন্ধ? এরকম অনেক সমস্যা আছে, যেগুলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা যায়। চাপ হচ্ছে আমাদের নিজেদের পারফরম্যান্সের। আমরা পারফর্ম করতে পারছি কি পারছি না।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমরা যদি আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পারি, তাহলে আমাদের দায়িত্ব থাকাটা প্রাসঙ্গিক। আমরা যদি দায়িত্ব পালন করতে না পারি, আমাদের যার যার নিজস্ব কাজ আছে, তাহলে দায়িত্ব পালন করার আর প্রাসঙ্গিক থাকলো কি না?

আপনার কি দায়িত্ব পালন করতে পারছেন? এমন প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে অনেক দূর এগিয়েছি। সংস্কার কমিশনগুলো তাদের প্রতিবেদন দিয়েছে, সেই প্রতিবেদনের ওপর রাজনৈতিক ঐক্য গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সব রাজনৈতিক দল সেখানে পার্টিসিপেট করছে। এটা কি পারা না? এটাতো পারা। আমরা একটা নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বলে দিয়েছি যে, ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে সেটাও একটা পারা। বিচার ট্রাইব্যুনাল একটা ছিল এখন দুইটা হয়েছে, আগামীকাল থেকে ট্রায়ালার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে, কিন্তু জিনিসগুলা স্মুথ যেতে হবে। এগুলোতে কোনো রকমের প্রতিবন্ধকতা না আসে, সেটা প্রথম থেকে একটা আহ্বান ছিল। এই কাজগুলো আমরা সঠিক প্রক্রিয়াতে শেষ করতে চাই।

‘গতকালকে আমাদের মিটিংয়ের পর অনেকক্ষণ আলোচনা করেছি। মোটা দাগে আমাদের দায়িত্ব তিনটা। তিনটায় কঠিন কঠিন দায়িত্ব। একটা দায়িত্ব হচ্ছে সংস্কার, আরেকটা দায়িত্ব হচ্ছে বিচার, আরেকটা দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচন। শুধুমাত্র নির্বাচন করার জন্য আমরা দায়িত্ব নেইনি।’

তিনি বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যার যত দাবি আছে সবগুলো নিয়ে রাস্তায় বসে যাচ্ছে। রাস্তা আটকে দিচ্ছে, একদম ঢাকা শহর অচল করে দিচ্ছে। সে অচলাবস্থা নিরসনে আমরা কিছু করতে পারছি কি না? আমরা আগেও বলেছি আমরা ক্ষমতার নেইনি দায়িত্বে আছি। এই দায়িত্ব পালন করা তখনই আমাদের জন্য সম্ভব হবে, যখন আমরা সবার সহযোগিতা পাব। প্রত্যাশার বিষয়টা এক, আর দায়িত্ব পালন করার বিষয়টা আরেক। আমরা চিন্তা করেছি আসলে দায়িত্ব পালন করতে পারছে কি না।

গুজবে কান দেবেন না, বিভ্রান্ত হবেন না : সেনাবাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১:৫৪ অপরাহ্ণ
গুজবে কান দেবেন না, বিভ্রান্ত হবেন না : সেনাবাহিনী

জনগণকে গুজবে কান না দেওয়ার অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

শুক্রবার দুপুরে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সচেতনতামূলক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে লেখা এক পোস্টে এ আহ্বান জানায় বাহিনী।

সেনাবাহিনী বলছে, সম্প্রতি একটি স্বার্থান্বেষী মহল বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর লোগো ব্যবহার করে একটি ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, যার মাধ্যমে সাধারণ জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী ও জনগণের মধ্যে বিভেদ তৈরির অপচেষ্টা চলছে।

পোস্টে আরও লেখা হয়, গুজবে কান দেবেন না, বিভ্রান্ত হবেন না। সত্যতা যাচাই করুন, সচেতন থাকুন।

এ পোস্টের সঙ্গে ভুয়া প্রেস বিজ্ঞপ্তিটির ছবিও জুড়ে দেওয়া হয়।

"> ">
প্রকৃতির ভাষা ও প্রাণের চাহিদা বোঝা বাজেট ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই নির্বাচন, এদিক-সেদিক যাওয়ার সুযোগ নেই গুজবে কান দেবেন না, বিভ্রান্ত হবেন না : সেনাবাহিনী বীরগঞ্জে ভুয়া ফেসবুক আইডি থেকে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ভারত এই পরাজয় কখনোই ভুলতে পারবে না : শেহবাজ লন্ডনে সালমান এফ রহমানের ছেলে শায়ানের সম্পত্তি জব্দ এখনই রাজনীতিতে আসছেন না ডা. জোবাইদা রহমান ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেই বাঁচতে চায় মুরসালিম এবার প্রকৃতির তাণ্ডব কাশ্মিরে, তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙল ৫৭ বছরের গরুর মাংসে আগুন-মাছেও অস্বস্তি, মুরগিতে ঝুঁকছেন ক্রেতারা কানের উদ্দেশে রওনা দিলেন আলিয়া বাজারে সবজির দামে কিছুটা স্বস্তি ‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের ব্রাইডাল লুকে মুগ্ধতা ছড়ালেন অপু বিশ্বাস না আছে মরার ভয় না আছে হারাবার কিছু : আসিফ মাহমুদ গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন ট্টাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নাহিদ ইসলাম সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করল আইএসপিআর বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রেস বিজ্ঞপ্তি নাগরিক ছাত্র ঐক্য সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা বীরগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু শেরপুরের বিমলের বাড়িতে মাদকের আখরা, যেন দেখার কেউ নেই! ভবানীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে ফুটবল টুর্ণামেন্ট হবিগঞ্জের থানা পুলিশ অঞ্জাত কিশোরীর লাশ উদ্ধারের পরিচয় সনাক্তে ফেইসবুকে পোস্ট বীরগঞ্জে এনসিপি নেতা হাসনাতের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস পালিত