খুঁজুন
শুক্রবার, ২৩শে মে, ২০২৫, ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

কী ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের জন্য?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশিত: শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪, ৮:৪১ অপরাহ্ণ
কী ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের জন্য?

বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, যে দলটি টানা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় ছিল— বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী জনতার আন্দোলনে গত আগস্ট থেকে তছনছ অবস্থায় আছে। দলের সভানেত্রী এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছেন, দলের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতাদের সবাই রয়েছেন আত্মগোপনে।

সরকারি চাকরিতে প্রচলিত কোটা ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে গত জুলাই মাস থেকে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা, কিন্তু বিক্ষোভ দমনে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং পুলিশ কঠোর ভূমিকা নেওয়ার এক পর্যায়ে তা রূপ নেয় সরকারবিরোধী আন্দোলনে।

পুলিশকে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশ প্রদানের মাধ্যমে সেই আন্দোলনও দমন করতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর সহায়তায় দেশ ছেড়ে শেখ হাসিনার ভারতে গমনের মধ্যে দিয়ে চুড়ান্ত পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। তবে তার আগে প্রায় দু’সপ্তাহে পুলিশের গুলিতে দেশজুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় এক হাজার মানুষ, আহত হয়েছেন আরও কয়েক হাজার।

শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর একটি অন্তবর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশে, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূস হয়েছেন সেই সরকারের প্রধান উপদেষ্টা।

শেখ হাসিনার দেশত্যাগ এবং আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের গা-ঢাকা দেওয়ার পর রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগের বেশ কিছু কার্যালয়ে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করেছে স্থানীয় জনতা। গত প্রায় দু’মাসে আওয়ামী লীগের মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা হয়েছে শতাধিক হত্যা মামলা।

এদিকে শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার জন্য ভারতের প্রতি বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ও এই সরকারের সমর্থকদের আহ্বান দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত প্রায় দু’মাসে শেখ হাসিনা এবং তার অনুগত নেতা-কর্মী ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছে এবং আইসিটি সেগুলোর তদন্ত শুরু করেছে।

বর্তমানে ক্ষমতাসীন অন্তবর্তী সরকারের সমর্থকরা শেখ হাসিনার বিচারের যে দাবি তুলেছে, তাকে সমর্থন জানিয়েছে জার্মানির প্রথমসারির থিঙ্কট্যাংক সংস্থা জার্মান ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটির জ্যেষ্ঠ গবেষক জাসমিন লোর্চ।

দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “বাংলাদেশের গত ১৫ বছরের গোটা সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘণ, বিচার-বহির্ভূত হত্যা, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন-পীড়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। তাই আমি মনে করি, মানবাধিকার লঙ্ঘণ বিষয়ক যেসব অভিযোগ বাংলাদেশের বিগত সরকারের বিরুদ্ধে আসছে, অবশ্যই সেগুলোর তদন্ত প্রায়োজন।

তিনি আরও বলেন, “এটা ঠিক যে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, তাতে ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে— এমন সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। তবে তাই বলে বিগত সরকারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগুলোর তদন্ত করা যাবে না কিংবা থেমে থাকবে— এমনটা হওয়া উচিত হবে না।”

বিগত জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত পুলিশ এবং বিগত সরকারের নেতাকর্মীদের হাতে যারা নিহত হয়েছেন, ইতোমধ্যে সেসব ঘটনা তদন্তের ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশন। সম্প্রতি ঢাকায় মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের প্রতিনিধিরা সফরও করে গিয়েছেন।

জাতিসংঘ প্রতিনিধিদের এই সফরকে স্বাগত জানিয়ে লোর্চ বলেন, “এটি খুব ভালো একটি উদ্যোগ। কারণ জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে যদি তদন্ত পরিচালিত হয়, তাহলে তা নিরপেক্ষ হবে।”

“আমি তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটিতে গুরুত্ব দিচ্ছি আরও একটি কারণে। সেটি হলো ভবিষ্যতে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘণ হলে এসব তদন্তের ফলাফল তার রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করবে।”

শেখ হাসিনা ভারতে পালানোর পর গত এক মাসে তার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য ও উচ্চপর্যায়ের নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন, অল্প কয়েক জন আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশ ছেড়ে পালাতে সফল হয়েছেন আর বাকিদের সবাই বর্তমানে দেশের ভেতরেই গা-ঢাকা দিয়ে আছেন।

সাক্ষাৎকার নেওয়ার জন্য ডয়েচে ভেলে বাংলাদেশে আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েক জন জ্যেষ্ঠ নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে, কিন্তু তাদের কেউই সাক্ষাৎকার দিতে চাননি। সাক্ষাৎকার দিতে না চাওয়ার প্রধান কারণ— তারা ভয় পাচ্ছেন যে এখন সাক্ষাৎকার দিলে বর্তমান সরকার তাদের অবস্থান জেনে যাবে।

শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের পর পর ডয়েচে ভেলেকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। সেই সাক্ষাৎকারে জয় বলেছিলেন, “এটা ঠিক যে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামাতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল, সেসবের অনেকগুলোই ভুল ছিল; কিন্তু এটাও সত্য যে আন্দোলনকারীরা সরকারকে লাগাতার উসকানি দিয়ে গেছে।”

“আমাদের দলের অনেক নেতাকর্মীর ওপর হামলা হয়েছে, অনেকের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর একটি ব্যাপার হলো, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অনেক সমর্থক প্রচার করে বেড়াচ্ছেন যে আওয়ামী লীগ ধ্বংস হয়ে গেছে। কিন্তু তারা ভুলে যাচ্ছে যে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ‍বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। এখন চুপচাপ থাকলেও আওয়ামী লীগ মরে যায়নি, দুর্বলও হয়নি।”

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছেন যে রাজনীতি এবং প্রশাসনে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। কিন্তু এই সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জয়। ডয়েচে ভেলেকে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক-প্রশাসনিক সংস্কার নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো আলোচনা এখনও হয়নি। আওয়ামী লীগকে বাইরে রেখে তারা যদি দেশের সংস্কার করতে চান, তাহলে সেটি অসম্ভব।”

বাংলাদেশের রাজনীতি বিশ্লেষক জাহেদুর রহমান এ প্রসঙ্গে ডয়েচে ভেলেকে বলেন, “ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি, যে দল বাংলাদেশের সমস্ত রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করেছে, রাজনৈতিক-প্রশাসনিক সংস্কারকাজে তাদেরকেও যুক্ত করা হলে তা হবে পুরোপুরি হাস্যকর একটি ব্যাপার।”

“তবে এটাও সত্য যে আওয়ামী লীগকে কোনো নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল নয়। তাই সামনের নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগকে অংশ না নিতে দেওয়া হয়, তাহলে অনেক প্রশ্নের জন্ম হবে।”

সেই সঙ্গে জাহেদুর রহমান আরও বলেন যে শেখ হাসিনা তার জীবদ্দশায় আওয়ামী লীগকে আবার জাগিয়ে তুলতে পারবেন— এমনটা তিনি এবং বাংলাদেশের অনেকেই বিশ্বাস করেন না।

“শেখ হাসিনা যদি দেশে ফিরেও আসেন, সেক্ষেত্রে ‘তিনি পালিয়ে গিয়েছিলেন’- এই দুর্নাম সর্বক্ষণ তাকে তাড়া করে ফিরবে। আমি এবং বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ মনে করে, ভারতে নির্বাসিত অবস্থাতেই জীবনাবসান ঘটবে তার।”

সূত্র : ডয়েচে ভেলে

ভারত এই পরাজয় কখনোই ভুলতে পারবে না : শেহবাজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১১:৫২ পূর্বাহ্ণ
ভারত এই পরাজয় কখনোই ভুলতে পারবে না : শেহবাজ

পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘাতে ভারত যে পরাজয় বরণ করেছে তা দেশটি কখনোই ভুলতে পারবে না। এমনই মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।

তিনি বলেছেন, এই যুদ্ধ প্রমাণ করেছে প্রচলিত যুদ্ধ সক্ষমতায় পাকিস্তান পিছিয়ে নেই। এছাড়া একদিন কাশ্মির পাকিস্তানেরই অংশ হবে বলেও মন্তব্য করেছেন শেহবাজ।

শুক্রবার (২৩ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ও প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদের প্রেসিডেন্ট ভবনে এক বিশেষ অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল পদে পদোন্নতি দেন। এই পদ দেশের সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ সামরিক মর্যাদা।

অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট জারদারি বলেন, তারা আজ সম্মান জানাতে একত্র হয়েছেন দেশটির সশস্ত্র বাহিনী ও সেইসব বীর সেনাদের, যারা ভারতের উসকানিমূলক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশের সার্বভৌমত্ব ও সীমান্ত রক্ষা করেছেন। তিনি বলেন, “পুরো জাতি আপনাদের নিয়ে গর্বিত।”

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “আমি প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেনারেল আসিম মুনিরকে ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত করছি এবং সেনাবাহিনীর সর্বোচ্চ কমান্ডার হিসেবে তার হাতে ব্যাটন তুলে দিচ্ছি।”

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই পদোন্নতি উপলক্ষ্যে বলেন, “আজ পাকিস্তানের জন্য এক গর্বময় ও ঐতিহাসিক মুহূর্ত”। তিনি সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির, জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা, বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জাহির আহমেদ বাবর সিদ্দিক এবং নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফকে শ্রদ্ধা জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, “আপনারা আমাদের সাহসী সশস্ত্র বাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এমন এক বিজয়ের দিকে, যেখানে এক অহংকারী ও আত্মতুষ্ট শত্রু তাদেরই গড়ে তোলা জালে আটকা পড়েছে।”

তার ভাষায়, “আমাদের সেনাবাহিনী শুধু সীমান্ত রক্ষা করেনি, বরং শত্রুর ভেতরেই হামলা চালিয়েছে এবং খুব অল্প সময়েই আগ্রাসনকারীকে পরাজিত করে শিক্ষা দিয়েছে।”

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার আজাদ কাশ্মিরের রাজধানী মুজাফফরাবাদে সাম্প্রতিক পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে শহীদদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, “এই যুদ্ধ ভারতের জন্য এমন এক পরাজয়, যা তারা কখনোই ভুলবে না।”

তিনি বলেন, কেউ কেউ মনে করতেন পাকিস্তান প্রচলিত যুদ্ধক্ষমতায় পিছিয়ে, কিন্তু এই যুদ্ধ তা ভুল প্রমাণ করেছে।

শেহবাজ আরও বলেন, “আমাদের ঐক্য, সাহস ও ঈমানই আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও চূড়ান্ত বিজয়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে… ইনশাআল্লাহ, এমন এক দিন আসবে যখন কাশ্মির হবে পাকিস্তানেরই অংশ।”

লন্ডনে সালমান এফ রহমানের ছেলে শায়ানের সম্পত্তি জব্দ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ
লন্ডনে সালমান এফ রহমানের ছেলে শায়ানের সম্পত্তি জব্দ

ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা ও বেক্সিমকোর প্রতিষ্ঠাতা সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমানের মালিকানাধীন লন্ডনের দুটি সম্পত্তি জব্দ করার আদেশ পেয়েছে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)।

অর্থাৎ এখন এগুলো বিক্রি বা স্থানান্তর করা যাবে না। প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ফিনান্সিয়াল টাইমসের (এফটি) এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। এসব সম্পদ অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে কেনা হয়েছিল।

শেখ হাসিনার শাসনামলে দুর্নীতি ও তহবিল আত্মসাতের অভিযোগের পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, জব্দ হওয়া দুটি সম্পদের মালিক আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান, যিনি বেক্সিমকোর প্রতিষ্ঠাতা সালমান এফ রহমানের ছেলে। আর সালমান এফ রহমান শেখ হাসিনার বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করতেন।

জব্দকৃত সম্পদের একটি হচ্ছে লন্ডনের অভিজাত এলাকা ১৭ গ্রসভেনর স্কয়ারে অবস্থিত একটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট, যা ২০১০ সালে ৬.৫ মিলিয়ন পাউন্ডে কেনা হয়। অপরটি উত্তর লন্ডনের গ্রেশাম গার্ডেনসে অবস্থিত একটি বাড়ি, যা ২০১১ সালে ১.২ মিলিয়ন পাউন্ডে কেনা হয়।

যুক্তরাজ্যের ইলেক্টোরাল রোলের তথ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা—যিনি যুক্তরাজ্যের সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিকের মা—কখনও কখনও গ্রেশাম গার্ডেনসের ওই বাড়িতে থাকতেন। তবে এখনো তিনি সেখানে থাকেন কি না, তা নিশ্চিত নয়।

ব্রিটেনের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) এক বিবৃতিতে বলেছে: “আমরা নিশ্চিত করছি, লন্ডনের ১৭ গ্রসভেনর স্কয়ার এবং গ্রেশাম গার্ডেনসের দুটি সম্পদের ওপর ফ্রিজিং অর্ডার দেওয়া হয়েছে। এটি একটি চলমান তদন্তের অংশ।”

বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যান মো. আবদুল মোমেনের উদ্ধৃতি দিয়ে ফিনান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, সালমান এফ রহমান ও তার ছেলে আহমেদ রহমান দুজনেই দুর্নীতির তদন্তে সন্দেহভাজন।

আহমেদ রহমানের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেছেন: “আমাদের মক্কেল দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করছেন যে তিনি কোনও বেআইনি কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যুক্তরাজ্যে যদি কোনও তদন্ত হয়, তিনি তাতে পূর্ণ সহযোগিতা করবেন।”

এতে আরও বলা হয়েছে, “বাংলাদেশে বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে এবং শত শত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আমরা আশা করি যুক্তরাজ্যের কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি বিবেচনায় নেবে।”

এছাড়া শেখ রেহানা ও সালমান এফ রহমান — এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত — কারো সঙ্গেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলেও প্রতিবেদনে জানিয়েছে ফিনান্সিয়াল টাইমস।

এখনই রাজনীতিতে আসছেন না ডা. জোবাইদা রহমান

আদিত্য রিমন
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ
এখনই রাজনীতিতে আসছেন না ডা. জোবাইদা রহমান

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে ১৭ বছর পর গত ৬ মে দেশে এসেছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। ওইদিন খালেদা জিয়াকে দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্বাগত জানায়। পাশাপাশি জোবাইদা রহমানকে স্বাগত জানিয়ে ব্যানার-পোস্টারও প্রদর্শন করা হয়। এরপর জোবাইদাকে তার নিজ এলাকায় সিলেট-১ আসনে আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে চেয়ে ব্যানার-পোস্টার সাঁটানো হয়। তারপর থেকে তার রাজনীতিতে আসা নিয়ে চলছে নানামুখী আলোচনা। 

তবে, বিএনপি সূত্রগুলো বলছে—এখনই রাজনীতিতে আসবেন না জোবাইদা রহমান।

বিএনপি নেতারা বলছেন, সারাদেশের বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা ডা. জোবাইদা রহমান রাজনীতিতে আসুক। তাদের সেই প্রত্যাশা থেকে ঢাকা-সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ব্যানার-ফেস্টুন এবং পোস্টার সাঁটানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনিও রাজনীতিতে আসার কোনো ইচ্ছা প্রকাশ করেননি। এছাড়া দলের মধ্যেও তাকে রাজনীতিতে নিয়ে আসার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক-অনানুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি। তাই এটা বলা যায় যে, দীর্ঘ সময় রাজনৈতিক পরিবারের মধ্যে বসবাস করলেও সহসাই সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন না তিনি।

dhakapost

দলটির নেতারা আরও বলছেন, খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক ও মানসিক অবস্থা ভালো থাকলেও তিনি পুরোপুরি রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তার রাজনৈতিক উত্তরসূরি হিসেবে তারেক রহমানের নেতৃত্বে শক্ত অবস্থানে রয়েছে দল। শুরুতে তারেক রহমানের নেতৃত্ব নিয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যে কিছুটা ‘অস্বস্তি’ থাকলেও নেতৃত্বের গুণে এখন তিনি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। আর তারেক রহমানও চায় না এই মুহূর্তে জোবাইদা রহমান রাজনীতিতে আসুক।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের নেতা কর্মীদের প্রত্যাশা ডা. জোবাইদা রহমান রাজনীতিতে নামুক। তারই প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় তার নামে এবং তাকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চেয়ে ব্যানার-পোস্টার করা হয়েছে। কিন্তু এটা তার রাজনীতিতে আসার কোনো ঘোষণা নয়। ডা. জোবাইদা রহমান নিজেও রাজনীতিতে আসার কোনো ঘোষণা দেননি।’

তিনি আরও বলেন, “আমরাও আনুষ্ঠানিকভাবে তার রাজনীতিতে আসার ইচ্ছার বিষয়টি জানি না। এটা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে কোনো আলোচনা হয়নি।”

জোবাইদা রহমানের রাজনীতিতে আসার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ‘আমরা বিএনপি পরিবারে’র আহ্বায়ক আতিকুর রহমান বলেন, এখনই তিনি রাজনীতিতে আসছেন না। তবে, এটাও মনে রাখতে হবে দেশের প্রয়োজনে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া গৃহবধূ থেকে রাজনীতিতে এসেছিলেন।’

“দল কখনও প্রয়োজন মনে করলে জোবাইদা রহমান তখন রাজনীতিতে আসবেন কিনা, সেটা তখন সিদ্ধান্ত হবে”—যোগ করেন আতিকুর রহমান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, “দলের পুরো হাল এখন তারেক রহমানের হাতে। বিগত বছরগুলোতে দলের সর্বস্তরে তার সরাসরি নির্দেশনা কাজে লেগেছে। ম্যাডাম খালেদা জিয়ার পাশাপাশি তারেক রহমানই এখন বিএনপির ঐক্যের প্রতীক। সুতরাং এখানে অন্য কেউ গুরুত্বপূর্ণ নয়।”

স্থায়ী কমিটির এই নেতা আরও বলেন, “জোবাইদা রহমান দেশে আসার পর অনেকে নেতাকর্মী তার সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে কেউ-কেউ নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থের উদ্দেশ্যে দেখা-সাক্ষাৎ করছেন। এই কারণে হয়ত জোবাইদা রহমানের রাজনীতিতে আসার বিষয়টি সামনে এসেছে। কিন্তু আমি যতটুকু জানি, তার কিংবা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কারও ইচ্ছা নেই, তাকে এই মুহূর্তে রাজনীতিতে নিয়ে আসার।”

তবে, বিএনপির কেউ-কেউ মনে করেন, বিশিষ্ট চিকিৎসক হিসেবে ডা. জোবাইদা রহমান বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেক্টরের দায়িত্ব নিলে এটা দেশের জন্য এবং সরকার হিসেবে বিএনপির জন্য খুব ভালো হবে। কিন্তু আগামী দিনে জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রহমান। সেখানে হয়ত ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ হতে পারে। সেই বিবেচনায় হয়ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেই জোবাইদা রহমানকে সেই দায়িত্ব দেবেন না। তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের (মে মাস) শেষের দিকে লন্ডন ফিরে যেতে পারেন ডা. জোবাইদা রহমান।

"> ">
ভারত এই পরাজয় কখনোই ভুলতে পারবে না : শেহবাজ লন্ডনে সালমান এফ রহমানের ছেলে শায়ানের সম্পত্তি জব্দ এখনই রাজনীতিতে আসছেন না ডা. জোবাইদা রহমান ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেই বাঁচতে চায় মুরসালিম এবার প্রকৃতির তাণ্ডব কাশ্মিরে, তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙল ৫৭ বছরের গরুর মাংসে আগুন-মাছেও অস্বস্তি, মুরগিতে ঝুঁকছেন ক্রেতারা কানের উদ্দেশে রওনা দিলেন আলিয়া বাজারে সবজির দামে কিছুটা স্বস্তি ‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের ব্রাইডাল লুকে মুগ্ধতা ছড়ালেন অপু বিশ্বাস না আছে মরার ভয় না আছে হারাবার কিছু : আসিফ মাহমুদ গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন ট্টাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নাহিদ ইসলাম সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করল আইএসপিআর বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রেস বিজ্ঞপ্তি নাগরিক ছাত্র ঐক্য সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা বীরগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু শেরপুর সীমাবাড়ি ইউনিয়নের কদিম হাঁসড়া গ্রামে বিমলের বাড়িতে মাদকের আখরা, যেন দেখার কেউ নেই ভবানীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে ফুটবল টুর্ণামেন্ট হবিগঞ্জের থানা পুলিশ অঞ্জাত কিশোরীর লাশ উদ্ধারের পরিচয় সনাক্তে ফেইসবুকে পোস্ট বীরগঞ্জে এনসিপি নেতা হাসনাতের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস পালিত বীরগঞ্জে মহান শ্রমিক দিবস পালিত ছোনকায় মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্নাঢ্য র‌্যালী শেষে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন কাহারোলে স্কাউটস দিবস উপলক্ষে র‍্যালি,পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু