খুঁজুন
শুক্রবার, ২০শে জুন, ২০২৫, ৬ই আষাঢ়, ১৪৩২

সাপাহার সরকারি হাসপাতালে ১ বছরে ৬১৪ জন প্রসূতির নরমাল ডেলিভারি

সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ প্রকাশিত: সোমবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৪, ১০:৫২ অপরাহ্ণ
সাপাহার সরকারি হাসপাতালে ১ বছরে ৬১৪ জন প্রসূতির নরমাল ডেলিভারি

নওগাঁর সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে বাড়ছে নরমাল ডেলিভারি সংখ্যা। এ হাসপাতালে ২০২৩ সালে ৬১৪ টি নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন হয়েছে। সংখ্যা বিবেচনায় জেলার মধ্যে এটি সর্বোচ্চ বলা হচ্ছে। আধুনিক যন্ত্রাংশ যুক্ত হবার ফলে চালু হয়েছে কিছু নতুন সেবা। এছাড়াও বর্হিবিভাগ, আন্তঃবিভাগ ও জরুরি বিভাগে বেড়েছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা। ২০২০ সালে এ হাসপাতালে বর্হিবিভাগে চিকিৎসা পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৬১৪ জন, ২০২১ সালে ৮৪ হাজার ৭০ জন, ২০২২ সালে ১ লাখ ১৭ হাজার ১৬৪ জন, ২০২৩ সালে ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৬০ জন। আন্তঃবিভাগে ২০২০ সালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ৬০০ জন, ২০২১ সালে ৬ হাজার ১০৫ জন, ২০২২ সালে ৭ হাজার ৪১১ জন, ২০২৩ সালে ৮ হাজার ৩৩৪ জন। জরুরি বিভাগে ২০২০ সালে চিকিৎসা নিয়েছেন ১১ হাজার ৫৬১ জন, ২০২১ সালে ১৪ হাজার ৬৮২ জন, ২০২২ সালে ১৮ হাজার ২২৪ জন, ২০২৩ সালে সংখ্যা দাঁড়িছে ১৯ হাজার ৭৪৭ জনে। সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ রুহুল আমিন বিগত ৪ বছর আগে এ হাসপাতালে যোগদানের পর চিকিৎসা সেবা বৃদ্ধি করণ এবং বিশেষ করে নরমাল ডেলিভারি বাড়াতে পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং সিজারিয়ান না করে নরমাল ডেলিভারিতে জনসচেতনতা বাড়াতে নানা কর্মসূচির গ্রহণ করেন। নরমাল ডেলিভারিতে উদ্বুদ্ধকরণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মাঠ পর্যায়ে শিক্ষক, চেয়ারম্যান, মেম্বার, স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়াও বিভিন্ন এনজিও স্বাস্থ্যকর্মীদের মাধ্যমে বার্তা পৌঁছানোর নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। নানাভাবে প্রসূতি মহিলাদের বিনামূল্যে প্রসূতি দাওয়াত কার্ডও প্রদান করা হয় এবং স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স থেকে ডেলিভারির আগ মুহূর্ত পর্যন্ত চলতে থাকে কাউন্সিলিং আর চেকআপ। জনসচেতনতামূলক এসব কার্মসূচির ফলস্বরূপ বর্তমানে এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পূর্বের তুলনায় অনেকাংশে বেড়েছে নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিরাপদে এ ডেলিভারি করানো হলে মা ও শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিও কম। নরমাল ডেলিভারিতে তুলনামূলকভাবে খরচ একেবারে কম এমনি চিন্তা ধারায় উৎসাহিত হয়ে সিজারিয়ান চিন্তা বিমুখ হয়ে উপজেলার এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে শুধুমাত্র চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ৬১৪ টি নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন হয়েছে। যা গত বছর এর সংখ্যা ছিল মাত্র ৫১৭টি। সংখ্যার দিক থেকে এটি জেলায় শীর্ষস্থান দখল করেছে। যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। পূর্বে যেখানে প্রতি মাসে গড়ে ১০ থেকে ১২ টি নরমাল ডেলিভারি হতো কয়েক বছরের ব্যবধানে এখন সেখানে প্রতি মাসে নরমাল ডেলিভারি ৮০ তে উন্নীত হয়েছে। গত জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত নরমাল ডেলিভারির সংখ্যা ৬১৪টি, যা ২০২০ সালে ছিল ২৬৩টি, ২০২১ সালে ছিল ৪৫৫টি এবং ২০২২ সালে ৫১৭টি নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন হয়েছিল।

এ বিষয় নিয়ে সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের সভা কক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মুহাঃ রুহুল আমিন। এসময় ডাঃ মুহাঃ রুহুল আমিন জানান, নওগাঁ জেলার প্রথম উপজেলা পর্যায়ে এখানে আলাদা ডেলিভারি ইউনিট চালু করা হয়েছে এবং ছয়জন মিডওয়াইফের সমন্বয়ে গঠিত টিম সার্বক্ষণিক ডেলিভারি ও গর্ভকালীন এবং প্রসব পরবর্তী চেকআপ কাজে নিয়োজিত থাকেন। এখানে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নরমাল ডেলিভারির ব্যবস্থা রয়েছে। ডেলিভারি পরবর্তী এক মাসের ওষুধ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়ে থাকে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং সব ধরনের যন্ত্রপাতির সমন্বয়ে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকে ডেলিভারি রুম। এখনও মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রচার প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। এছাডাও স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রচারণা ও সহযোগিতায় আমরা তথা সাপাহার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি এতদূর আসতে সক্ষম হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এই উপজেলার জনসাধারণের স্বাস্থ্যসেবার মান নিশ্চিত করতে উপজেলা সদরের জয়পুর এলাকায় সরকারি অর্থায়নে ১৯৮২ সালে স্থাপিত হয় সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন। প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯৮৮ সালে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট ভবন নির্মিত হলেও পরবর্তীতে এটি ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়ে শিশুবান্ধব হাসপাতাল হিসেবে রুপলাভ করে। পরবর্তীতে দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি উন্নয়নের স্বীকৃতি স্বরূপ রাজশাহী বিভাগে শ্রেষ্ঠত্বের সম্মাননা লাভ করে।

 

উত্তরের কণ্ঠ/এন.এইচ রতন মালাকার

যুবসমাজের চোখে স্বপ্ন নেই, বুকেও আশা নেই: দায় কার?

প্রদীপ রায় জিতু
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫, ১০:০৫ অপরাহ্ণ
যুবসমাজের চোখে স্বপ্ন নেই, বুকেও আশা নেই: দায় কার?

একটি জাতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করে তার তরুণ প্রজন্মের উপর। তারা শুধু স্বপ্ন দেখে না, গড়েও তোলে। কিন্তু আজকের বাংলাদেশের তরুণদের চোখে স্বপ্নের দীপ্তি নেই, বুকেও নেই আশার আলো। হতাশা, বেকারত্ব, অনিশ্চয়তা এবং ভঙ্গুর নৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার ভারে তারা দিশাহারা। প্রশ্ন একটাই এই দায় আসলে কার?

প্রথমেই কথা উঠতে পারে শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যর্থতা নিয়ে। এক সময়কার আদর্শিক, নৈতিক মূল্যবোধে গড়া শিক্ষাব্যবস্থা আজ রূপ নিয়েছে পরীক্ষা-নির্ভর, পুথিগত জ্ঞান আর অপ্রাসঙ্গিক সিলেবাসের গন্ডিতে। যুগোপযোগী দক্ষতা, প্রযুক্তি-ভিত্তিক শিক্ষা, কিংবা মানসিক বিকাশ এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয় না বললেই চলে। ফলে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী যুবকও হতাশ হয়ে বলছে, ডিগ্রি দিয়ে পেট চলে না।

এই প্রজন্মের হতাশার আরেক বড় কারণ হলো ব্যাপক বেকারত্ব। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ তরুণ উচ্চশিক্ষা শেষে চাকরির বাজারে প্রবেশ করলেও, সেই তুলনায় চাকরির সংখ্যা যৎসামান্য। সরকারি চাকরি সীমিত, বেসরকারি চাকরিতে নেই চাকুরির নিশ্চয়তা। আবার যারা উদ্যোক্তা হতে চায়, তারা পাচ্ছে না সঠিক সহায়তা, প্রশিক্ষণ কিংবা পুঁজি। ফলে মেধাবীরা দেশ ছেড়ে যাচ্ছে, আর বাকিরা থেকে যাচ্ছে হতাশায় জর্জরিত এক ভবিষ্যতের মুখোমুখি হয়ে।

তারপর আছে রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবক্ষয়। তরুণদের মধ্যে যে রাজনৈতিক চেতনা একসময় জাতি গঠনের অনুপ্রেরণা জোগাত, আজ তা জায়গা করে নিয়েছে হিংসা, দলে দলে বিভাজন, এবং সস্তা লোভে চালিত কর্মসূচিতে। রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনগুলো আজ অনেক ক্ষেত্রে আদর্শচ্যুত, ক্ষমতাকেন্দ্রিক, আর গুণগত নেতৃত্ব তৈরিতে ব্যর্থ। একটি জাতি যদি তার তরুণদের নৈতিকভাবে গড়ে না তোলে, তাহলে তারা ভবিষ্যতের নয়, অন্ধকারের দায় হয়ে উঠবে।

একই সাথে নৈতিক অবক্ষয় এবং মূল্যবোধহীনতার বিষয়টিও গভীরভাবে লক্ষণীয়। সমাজে যখন দুর্নীতি পুরস্কৃত হয়, মেধা নয়; যখন সত্য বলার চেয়ে সুবিধাবাদীতায় লাভ বেশি তখন তরুণ সমাজও শিখে যায়, আদর্শে নয়, চালাকিতে টিকে থাকতে হয়। এতে স্বপ্ন বিলীন হয়ে যায়, আশা হারায়, দায়িত্ববোধ দুর্বল হয়।

বর্তমান সরকারসহ রাষ্ট্রীয় যন্ত্রগুলো তরুণদের নিয়ে অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু বাস্তব চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। “ডিজিটাল বাংলাদেশ”, “উদ্যোক্তা উন্নয়ন”, “ই-লার্নিং” ইত্যাদি উদ্যোগ প্রশংসনীয় হলেও সঠিক বাস্তবায়নের অভাবে অনেক তরুণই এর সুফল পায় না। বরং দেখা যায়, কিছু সুবিধাপ্রাপ্ত শ্রেণির মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে এসব সুযোগ।

এমন এক সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠছে, যেখানে তরুণদের কণ্ঠ রুদ্ধ, পথ সংকুচিত, স্বপ্ন অস্পষ্ট। তারা নিজের দেশ, সমাজ বা নেতৃত্বের ওপর আস্থা হারাচ্ছে। কেউ কেউ অপরাধের দিকে ঝুঁকছে, কেউ মাদকের জালে আটকা পড়ছে, আবার কেউ বিদেশ গমনের দালালদের হাতে প্রতারিত হচ্ছে। যে বয়সে তারা উদ্ভাবন করবে, নেতৃত্ব দেবে সেই বয়সেই তারা হারিয়ে যাচ্ছে অন্ধকারের গহ্বরে।

তবে এই চিত্র পুরোপুরি নেতিবাচক নয়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এখনও অনেক তরুণ স্বপ্ন দেখছে, নতুন কিছু করার চেষ্টা করছে, প্রযুক্তিনির্ভর ক্যারিয়ার গড়ছে, স্বেচ্ছাসেবায় কাজ করছে, সামাজিক উদ্যোগ নিচ্ছে। তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে পরিবারকে, সমাজকে, এবং সর্বোপরি রাষ্ট্রকে।

তরুণদের হতাশার দায় কেবল তাদের নয়। এর দায় পরিবার, সমাজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনীতি, প্রশাসন সবাইকে ভাগ করে নিতে হবে। পরিবারে যদি শিশু দায়িত্ব নিতে না শেখে, শিক্ষা যদি চিন্তা করতে না শেখায়, সমাজ যদি উৎসাহ না দেয়, রাজনীতি যদি পথ দেখাতে না পারে তাহলে তরুণরাও হারিয়ে যাবে।

এখনো সময় আছে। তরুণদের সম্ভাবনা ফিরিয়ে আনতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে হবে-

→ শিক্ষা ব্যবস্থা যুগোপযোগী করতে হবে,

তরুণদের জন্য মানসম্মত কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে,

ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহায়তা দিতে হবে,

রাজনীতিতে আদর্শিক নেতৃত্ব সৃষ্টি করতে হবে,

এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তাদের ওপর আস্থা রাখতে হবে।

এই দেশের ভবিষ্যৎ এই তরুণদের হাতেই। তাদের চোখে স্বপ্ন ফিরিয়ে দিতে না পারলে, একসময় এই রাষ্ট্রই স্বপ্নহীন হয়ে পড়বে। তাই আজ প্রশ্ন নয়, আজ প্রয়োজন উত্তরদায়ী ভূমিকা।

লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, উত্তরের কণ্ঠ

নরমাল ডেলিভারির চেষ্টায় থাইল্যান্ডে স্বাগতা

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫, ৯:৫৪ অপরাহ্ণ
নরমাল ডেলিভারির চেষ্টায় থাইল্যান্ডে স্বাগতা

মা হতে চলেছেন অভিনেত্রী ও সংগীতশিল্পী জিনাত সানু স্বাগতা। বিয়ের এক বছরের মাথায় সুখবরটি জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী নিজেই। প্রথম সন্তানের আগমনের খবরে দুই পরিবারেই বইছে আনন্দের বন্যা। 

তবে শোনা যায়, দেশের চিকিৎসকরা নাকি স্বাগতাকে সিজারিয়ান অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু স্বাগতা চান নরমাল ডেলিভারি। আর সে জন্য থাইল্যান্ডে পারি জমিয়েছেন অভিনেত্রী। স্বাগতা জানান, দুই মাস ধরেই সেখানে অবস্থান করছেন তিনি।

স্বাগতার কথায়,‘আমি একটা মিশন নিয়ে থাইল্যান্ডে এসেছি। যদিও আমাকে বাংলাদেশের অনেক ডাক্তার বলেছে  “তুমি ভুল করছ”। তবুও আমি শেষদিন পর্যন্ত চেষ্টা করে যাবো যেন নরমাল ডেলিভারিতে আমার সন্তান পৃথিবীতে আসে।’

স্বাগতা আরও বলেন,‘আমি শুরু থেকেই নরমাল ডেলিভারির ব্যাপারে সচেতন। কারণ, সিজারিয়ান অপারেশনের পর অনেক মায়েদের নানা শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়। প্রথমে যে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম, সেখানে তা সম্ভব না হওয়ায় বাধ্য হয়ে হাসপাতাল বদল করেছি। এখন নতুন চিকিৎসকের অধীনে আছি এবং আশাবাদী।’

গত ফেব্রুয়ারি মাসে অর্থাৎ বিয়ের এক বছরের মাথায় মা হওয়ার খবর জানান স্বাগতা। স্বাগতার স্বামী দীর্ঘদিনের প্রেমিক ও বন্ধু হাসান আজাদ একজন লন্ডন প্রবাসী। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে স্বাগতা জানিয়েছিল, বিয়ের আগে হাসানের সঙ্গে ১ বছর লিভ টুগেদারে ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই দু’জনে সিদ্ধান্ত নেন বিয়ের।

ট্রেন্ডে গা ভাসালেন কৌশানি

বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন, ২০২৫, ৯:৫২ অপরাহ্ণ
ট্রেন্ডে গা ভাসালেন কৌশানি

ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কৌশানি মুখার্জি সোশ্যাল মিডিয়ায় তার নতুন ছবি শেয়ার করে অনুরাগীদের মন কেড়েছেন। ‘পারব না আমি ছাড়তে তোকে’ ছবিতে বনি সেনগুপ্তের বিপরীতে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখা এই অভিনেত্রী এবার শাড়িতে ধরা দিয়ে নেটদুনিয়ায় উষ্ণতা ছড়িয়েছেন।

অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ সক্রিয় কৌশানি। নিজের ভালো লাগা, ব্যক্তিগত মুহূর্ত প্রায়ই তিনি ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সম্প্রতি বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে ক্যাপশনে কৌশানি লিখেছেন, ‘ট্রেন্ডের সঙ্গে তাল মেলানো।’

শেয়ার করা ছবিগুলোতে কৌশানিকে দেখা যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঙালি শাড়িতে। তার আবেদনময়ী চোখের চাহনি আর মিষ্টি হাসি মুহূর্তেই কেড়ে নিয়েছে নেটিজেনদের নজর। অভিনেত্রীর এই বাঙালি সাজ দেখে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তার অনুরাগীরা।

কমেন্ট বক্সে একজন লিখেছেন, ‘আপনি অনেক সুন্দর শাড়িতে আরও বেশি সুন্দর লাগছে।’ আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘দিদিকে দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে এ ছবিগুলোতে।’ বোঝাই যাচ্ছে, কৌশানির এই নতুন লুক ভক্তদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে।

"> ">
যুবসমাজের চোখে স্বপ্ন নেই, বুকেও আশা নেই: দায় কার? নরমাল ডেলিভারির চেষ্টায় থাইল্যান্ডে স্বাগতা ট্রেন্ডে গা ভাসালেন কৌশানি ‘নাহিদ রানার মতো পেসার আগে কখনো দেখেনি বাংলাদেশ’ যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধে জড়ানোর শঙ্কার মধ্যে পুতিন-শি জিনপিংয়ের ফোনালাপ মীরসরাইয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ জনের মৃত্যু ইরানে মার্কিন হামলার পরিকল্পনা নিয়ে নতুন বার্তা দিলেন ট্রাম্প ইরানে ফোন করে জানছে সবাই: ‘আমিরাতের দুয়ার কবে খুলবে?’ ‘সম্ভাব্য যুদ্ধের’ প্রস্তুতি নিচ্ছে তুরস্ক ইরানের ভয়ে কাতার-বাহরাইন থেকে যুদ্ধবিমান-জাহাজ সরিয়ে নিলো যুক্তরাষ্ট্র ট্রাম্পের সঙ্গে অবিশ্বাস্য অংশীদারিত্বের দাবি নেতানিয়াহুর তেহরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিতে ট্রাম্পের প্রতি স্টারমারের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রকে ফের সতর্ক করলো রাশিয়া ইসরায়েলে ফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান ইরানের হামলায় হাজার হাজার ইসরায়েলি গৃহহীন স্বামী-স্ত্রীর বনিবনা না হওয়ায় ঘটককে ডেকে গাছে বেঁধে মারধর বীরগঞ্জে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন শেরপুরে দোকানের টিনের চালা কেটে নগদ টাকাসহ ৫ লক্ষ টাকার পন্য চুরি। জুলাই অভ্যুত্থান আন্দোলনকারী এক নারীকে বিয়ের অভিযোগে শ্রেষ্ঠ ওসির পুরস্কার লাভের ৪দিন পরে ক্লোসড ওসি মতিউর বীরগঞ্জে দুর্নীতি নিরসনে বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সাবেক যুবদলের সেক্রেটারি সুলতান এর মাতার ইন্তেকাল চন্দনাইশে জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী পালন কাহারোলে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন উপলক্ষে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিল্ক ফিডিং বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত শেরপুরে কলেজের গভর্নিংবডির সভাপতি পূণঃবহাল করলেন- চেম্বার আদালত বীরগঞ্জে প্রকাশ্যে ধুমপান করায় ৩ জনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত  বীরগঞ্জে বিশ্ব তামাক দিবস উদযাপন ‘বিসিবিতে ক্রিকেট ছাড়া সব হচ্ছে, আগ্রহ কমছে মানুষের’ সব গণতান্ত্রিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় : ১২ দলীয় জোট সব দলই চায় ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন : এলডিপি মহাসচিব আইনি বিপাকে আরশাদ ওয়ারসি