দিনাজপুর -১ আসনে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন

আগামী রবিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন সংশ্লিষ্ট দফতরগুলো। এদিকে, ভোট গ্রহণে নির্বাচনী সকল সরঞ্জামাদি সংশ্লিষ্ট উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে প্রেরণ করা হবে। দিনাজপুর-১(বীরগঞ্জ -কাহারোল) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি আর মাত্র ১ দিন। সারা দেশের মতো এই আসনে ৫ জন প্রার্থীর জমজমাট প্রচারণা চালিয়েছেন। একটি পৌরসভা ও (বীরগঞ্জ -কাহারোল) উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলি প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চেয়ে লাগানো পোস্টারে ছেয়ে গেছে। মিছিল-মিটিং ও পথসভা। ভোটারদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে লিফলেট। অনলাইনেও চলছে ভোটের প্রচারও। প্রার্থীদের পক্ষে তাদের অনুসারীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভোট প্রার্থনা করেছেন। প্রার্থী ছাড়াও ভোটের মাঠ সরগরম রেখেছেন তাদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনরা। তারাও নির্বাচনি মাঠ চষে বেড়েছেন। জমে উঠেছিলো ভোটের মাঠে প্রচারযুদ্ধ। গণসংযোগ থেকে শুরু করে পোস্টার-ব্যানার সাঁটানো, মাইকিং এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চেয়েছিলেন তারা। ব্যাপক প্রচার প্রচারণা শেষে ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন প্রার্থীরা। দীর্ঘ প্রচার প্রচারণা শেষ হলো শুক্রবার। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত এই আসনে এবার আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলছে। এখানে নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে নীরব ভোটাররা। তারা পাল্টে দিতে পারেন ভোটের চিত্র। এ আসনে নির্বাচনে মূল লড়াইয়ে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকা। ট্রাক প্রতীক নিয়ে লড়ছেন বীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকারিয়া জাকা। আর নৌকার মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল। তিনিও চারবারের জনপ্রিয় সংসদ সদস্য। এ আসনে নির্বাচনে বিএনপি ভোটের লড়াইয়ে আসেনি।নৌকার প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীর লড়াই জমে উঠেছে। এ আসনে আওয়ামী লীগসহ পাঁচজন প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে আছেন। আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল এবং স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকার নির্বাচনী প্রচারণায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে নিজ দলের নেতা-কর্মীরা। এ আসনে ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকা, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী শাহিনুর ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির আব্দুল হক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) জহুরুল ইসলাম।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মনোরঞ্জন শীল গোপাল ও ট্রাকের (স্বতন্ত্র) প্রার্থী আলহাজ্ব জাকারিয়া জাকা ভোটারদের টানার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নৌকার সঙ্গে লড়াইয়ে থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে নিয়ে নৌকা বিরোধী ভোটারা হিসাবনিকাশ কষছেন। শেষ মুহূর্তে যার পাল্লা ভারি হবে,তাকেই সমর্থন দেবেন তারা। উপজেলার নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে ও গোপনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে মাঠে নামায় ভোটের চ্যালেঞ্জের মুখে নির্বাচনী মাঠে প্রকাশ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের প্রচারণায় বিভক্তিতে দোটানায় পড়েছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
শেষ পর্যন্ত বিজয়ের হাসি কে হাসবেন তা দেখার অপেক্ষায় স্থানীয়রা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো: ফজলে এলাহী জানান,দুটি উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্স, সিলসহ সকল ধরণের নির্বাচনী সামগ্রী কর্মকর্তারদের নিকট হস্তান্তর করা হবে। এই আসনে এবার মোট ভোটার হলো ৩ লাখ ৯২ হাজার ৮২৬ জন। বীরগঞ্জ ও কাহারোল উপজেলায় সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা লক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত থাকবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ৩ জন, জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১জন,প্রিজাইডিং অফিসার ৮০ জন,সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ৫৯৩ জন সহ মোট-১১৮৬ জন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকবে আনসার ব্যাটালিন ২ প্লাটুন, বিজিবি ২ প্লাটুন, র্যাবের টিম ১টি,পুলিশের মোবাইল টিম-১২টি, পুলিশের বিশেষ টিম ৩টি ও সেনাবাহিনীসহ নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
আগামী ৭ জানুয়ারি সকালে ১১৩টি ভোটকেন্দ্রে ভোটের সরঞ্জাম পৌঁছে যাবে।
উত্তরের কন্ঠ এ,এস
আপনার মতামত লিখুন