খুঁজুন
শুক্রবার, ২৩শে মে, ২০২৫, ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

৬ দফা : অর্থনৈতিক মুক্তি কি মিলেছে?

প্রণব সাহা প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ জুন, ২০২৪, ১০:০১ পূর্বাহ্ণ
৬ দফা : অর্থনৈতিক মুক্তি কি মিলেছে?

প্রতিবছর যে সময় সরকারের বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের দলিল জাতীয় বাজেট সংসদে উপস্থাপিত হয়, সাধারণ তা ৭ জুনের কাছাকাছি সময়ই হয়। এবারও জাতীয় সংসদে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেট পেশ করা হয়েছে ৬ জুন। বাজেটের সাথে কি ঐতিহাসিক ছয় দফার কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে? এত বছর পর ছয় দফা দিবস পালনের তাৎপর্য কী?

ছয় দফার তিন দফাতেই রয়েছে অর্থনীতির বিষয়। পাকিস্তানের বড় প্রদেশ হয়েও কীভাবে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী দেশের একটি অঞ্চলকে অর্থনৈতিকভাবে বঞ্চিত করেছে তা উল্লেখ করেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন।

এখন যদি আমরা ছয় দফা পড়ে দেখি তাতে প্রথম দফায় শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি সম্পর্কে বলা হয়েছে। লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে সংবিধান রচনা করে পাকিস্তানকে ফেডারেটিভ রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয়েছে। ছয় দফার দ্বিতীয়টিতে ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা। বলা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ থাকবে দেশরক্ষা ও বৈদেশিক নীতিতে। অবশিষ্ট সব বিষয় অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর হাতে।

সর্বশেষ ছয় নম্বর দফায় বলা হয়েছিল আঞ্চলিক সংহতি ও শাসনতন্ত্র রক্ষার জন্য সংবিধানে অঙ্গরাষ্ট্রগুলো আধা সামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠন ও রাখার ক্ষমতা দিতে হবে। এর বাইরে তিনটিই ছিল অর্থ-বাণিজ্যের বিষয়।

পাকিস্তানের পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী এখনকার বাংলাদেশ, তখনকার পূর্ব-পাকিস্তানের রপ্তানি পণ্য পাট ও চা থেকে আয় করা বৈদেশিক মুদ্রায় সরকারের খরচ আর নতুন শহর বানিয়েছিল কিন্তু জনসংখ্যায় বেশি হলেও বাঙালিদের জন্য বরাদ্দ হতো খুবই কম।

বলা হয়, ছয় দফা মূলত স্বাধীনতার এক দফা ছিল। এই দাবির মধ্যে পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার আন্দোলনের বীজবপন করেছিল তখনকার আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান। তাই ছয় দফা বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ।

তাই ছয় দফার ৪নং দফাটি ছিল রাজস্ব কর বা শুল্ক সম্পর্কিত। বলা হয়েছিল, ফেডারেশনের অঙ্গরাজ্যগুলোর কর বা শুল্ক ধার্যের ব্যাপারে সার্বভৌম ক্ষমতা থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনোরূপ কর ধার্যের ক্ষমতা থাকবে না। তবে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য অঙ্গরাষ্ট্রীয় রাজস্বের একটি অংশ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাপ্য হবে। অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর সবরকমের করের শতকরা একই হারে আদায়কৃত অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল গঠিত হবে।

তৃতীয় দফায় দুটি বিকল্প প্রস্তাব ছিল। এর একটি হচ্ছে—দেশে দুটি পৃথক অথচ অবাধে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা চালু থাকবে। অপরটি হচ্ছে একই মুদ্রা চালু থাকলেও এমন ব্যবস্থা থাকতে হবে যাতে পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে মূলধন পাচার বন্ধ হয়। পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পৃথক ব্যাংকিং রিজার্ভের কথাও বলা হয়েছে।

পঞ্চম দফাটি ছিল বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ে। এতে ছিল যে ফেডারেশনভুক্ত প্রতিটি রাজ্যের বহির্বাণিজ্যের আলাদা হিসাব থাকবে। এর মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অঙ্গরাজ্যগুলোর এখতিয়ারাধীন থাকবে। ঐ যে বলেছিলাম বাংলার পাট আর চা রপ্তানির আয় থেকে কোনো হিস্যা পেত না বাঙালিরা, সেইটাই এই দাবির মূল কথা।

এখন যে আমরা ফরেন রিজার্ভ, রপ্তানি আর প্রবাসী বাঙালিদের পাঠানো রেমিট্যান্সকে এত গুরুত্ব দেই বা অর্থনীতির চালিকাশক্তির বড় বিষয় যে রপ্তানি বা বহির্বাণিজ্য তা কিন্তু ছয় দফার অন্যতম বিষয় ছিল।

প্রতিবছর আমরা ৭ জুন ছয় দফা দিবস পালন করি। তার তাৎপর্য এই যে ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ছয় দফা আদায়ে তীব্র-গণআন্দোলনের সূচনা হয়। আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালে ইপিআরের গুলিতে সিলেটের শ্রমিক মনুমিয়াসহ মোট ১১জন বাঙালি শহীদ হন।

এরপর ছাত্ররা ১১ দফা দিয়ে স্বাধিকারের আন্দোলন জোরদার করেছিল। বলা হয়, ছয় দফা মূলত স্বাধীনতার এক দফা ছিল। এই দাবির মধ্যে পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার আন্দোলনের বীজবপন করেছিল তখনকার আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান। তাই ছয় দফা বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ।

এখন যখন ছয় দফা দিবস পালিত হবে তখন কি রাজনৈতিক গুরুত্বের পাশাপাশি দেশের বর্তমান অর্থনীতি তথা দেশের আয় বৈষম্যকে আমরা বিবেচনায় নেব? ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন বলেছিলেন, ‘আয়-বৈষম্য বাড়ছে এই কথার অর্থ হলো ধনী আরও ধনী হচ্ছে এবং দরিদ্র আরও দরিদ্র হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে অসমতার প্রকৃতি কিছুটা ভিন্ন। দেশে দরিদ্র ও অদরিদ্র উভয় শ্রেণির মানুষের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। কিন্তু অদরিদ্র শ্রেণির উন্নতির হার বেশি।’

দেশের এই বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ২০১৬ সালের খানা আয়-ব্যয় জরিপের তথ্য তুলে ধরে বলেন, তখন দেশের ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ছিল। তবে গ্রাম ও শহরাঞ্চলের মধ্যে তা নিয়ে বড় ব্যবধান আছে। গ্রামাঞ্চলের ৩৪ দশমিক ৫ শতাংশ পরিবার সামাজিক সুরক্ষার আওতায় থাকলেও শহরাঞ্চলে এই হার মাত্র ১০ দশমিক ১ শতাংশ। দেশ স্বাধীনের ৫৩ বছর পর কি আমরা এমন অর্থনৈতিক বৈষম্য মেনে নিতে পারি?

ধনীগোষ্ঠী বিশাল ঋণ নিয়ে ঋণখেলাপি হয় কিন্তু ক্ষুদ্র ঋণ নেওয়া চাষি বা ছোট দোকানদার ঋণ পরিশোধ না করলে তার কোমরে রশি বাঁধা হয়। অবশ্যই ছয় দফা দিবস পালনের সময় অর্থনীতির সংকট, আয় বৈষম্য আমাদের আলোচনায় আনতে হবে।

‘আমাদের বাঁচার দাবি ৬ দফা কর্মসূচি’—বঙ্গবন্ধুর যে বক্তব্য পুস্তিকা আকারে প্রচার করা হয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল—‘পাকিস্তানের বিদেশী মুদ্রার তিনভাগের দুই ভাগই অর্জিত হয় পাট হইতে। অথচ পাটচাষিকে ন্যায্য মূল্য তো দূরের কথা আবাদি খরচটাও দেওয়া হয় না। ফলে পাটচাষিদের ভাগ্য আজ শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের খেলার জিনিসে পরিণত হইয়াছে।’

স্বাধীন বাংলাদেশে আজ কোনো পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী নেই। কিন্তু এখনো দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার চাষিরা ৭৫ পয়সা কেজিতে ক্ষেতের শসা বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অনেক সময় চাষিরা তাদের চাষ করা সবজির খরচের টাকাও তুলতে পারেন না।

আমাদের প্রত্যাশা সরকার যে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর করেছে তারা যেসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করে সেই দামে ক্রেতা যেমন পণ্য পান না, উল্টো অনেক সময় নিজেদের খরচের টাকাটা তুলতে ব্যর্থ হন কৃষকরা।

এমন ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটানোর বিষয়টিও এখন ছয় দফা দিবসে আলোচিত হতে হবে। ৬ জুন ২০২৪ যে বাজেট উপস্থাপিত হলো জাতীয় সংসদে তাতে ধনী-গরিবের আয় বৈষম্য দূর করার কি ব্যবস্থা আছে?

ধনীগোষ্ঠী বিশাল ঋণ নিয়ে ঋণখেলাপি হয় কিন্তু ক্ষুদ্র ঋণ নেওয়া চাষি বা ছোট দোকানদার ঋণ পরিশোধ না করলে তার কোমরে রশি বাঁধা হয়। অবশ্যই ছয় দফা দিবস পালনের সময় অর্থনীতির সংকট, আয় বৈষম্য আমাদের আলোচনায় আনতে হবে।

স্বাধীনতার এতবছর পরেও যদি আমরা অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন না করতে পারি তাহলে তো ছয় দফা দিবস পালনও শুধু কথার রাজনীতি হবে, বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তি হবে না। শোষিতের পক্ষে থাকা জাতির পিতার স্বপ্ন তবে কি করে পূরণ করবে ১৫ বছর একটানা ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ?

প্রণব সাহা ।। এডিটর, ডিবিসি

‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

দেশের সর্বত্র উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে পদত্যাগের চিন্তা করছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এমন গুঞ্জনের মধ্যে তার সঙ্গে দেখা করে আসলেই পদত্যাগ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ভাবছেন বলে নিশ্চিত করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। অবশ্য তিনি যেন এমন সিদ্ধান্ত না নেন সেই অনুরোধ জানিয়েছেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন নাহিদ ইসলাম। পরে বিবিসি বাংলাকে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতি, স্যারেরতো পদত্যাগের একটা খবর আমরা আজকে সকাল থেকে শুনছি। তো ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্যারের সাথে দেখা করতে গেছিলাম। প্রধান উপদেষ্টা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবেন না এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।’

এসময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও ছিলেন বলে জানা গেছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্যার বলছেন আমি যদি কাজ করতে না পারি… যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে আনছিলা একটা গণঅভ্যুত্থানের পর, দেশের পরিবর্তন, সংস্কার…। কিন্তু যেই পরিস্থিতি যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে। আমিতো এভাবে কাজ করতে পারবো না। তো রাজনৈতিক দলগুলা তোমরা সবাই একটা জায়গায়, কমন জায়গায় না পৌঁছাতে পারো।’

প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন নাহিদ। এ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘আমাদের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের ভবিষ্যৎ সবকিছু মিলিয়ে উনি যাতে শক্ত থাকেন এবং সব দলকে নিয়ে যাতে ঐক্যের জায়গায় থাকেন, সবাই তার সাথে আশা করি কো-অপারেট করবেন।’

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করছেন জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘হ্যাঁ, যদি কাজ করতে না পারেন, থাকবেন, থেকে কী লাভ। উনি বলছেন উনি এ বিষয়ে ভাবছেন। ওনার কাছে মনে হয়েছে পরিস্থিতি এরকম যে তিনি কাজ করতে পারবেন না।’

পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার এখনকার মনোভাবের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এখন ওনি যদি রাজনৈতিক দল তার পদত্যাগ চায়… সেই আস্থার জায়গা, আশ্বাসের জায়গা না পাইলে উনি থাকবেন কেন?’

জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

জুলাইয়ের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক শক্তির মধ্যে ফাটল তৈরি ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ র‍্যালি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৮০টি সংগঠনের ঐকবদ্ধ প্লাটফর্ম ‘জুলাই ঐক্য’।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে  প্রতিবাদ র‌্যালি শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যের এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, “যে ঐক্য নিয়ে আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থান করেছিলাম সে ঐক্য ভাঙতে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা ষড়যন্ত্র করে জুলাই ঐক্যকে বিনষ্ট করতে চাইবে জুলাই জনতা তাদেরকে আবারও দিল্লিতে পাঠিয়ে দেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে আমরা লড়ে যাবো। ভারতীয়, মার্কিন আগ্রাসনে ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জুলাই জনতা বুক পেতে আবার রাজপথে নেমে আসবে। আমরা আবারও বুকের তাজা রক্ত দেবো তবুও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নষ্ট হতে দেবো না।”

এ সময়  বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সচিবালয়ে ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর বসে আছে। ৩১ মে এর মধ্যে সচিবালয় থেকে ফ্যাসিবাদের সকল দোসর  অপসারণ না করলে সচিবালয় ঘেরাও হবে।”

জুলাই ঐক্যের আপ বাংলাদেশের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যে সকল ভারতীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত অপসারণ করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “জুলাইয়ের শহীদদের রক্তের ওপর আপনার সরকার গঠিত। আমরা আপনার ওপর আস্থা রাখতে চাই। জুলাইয়ের ঐক্যকে যারা নষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। অতি দ্রুত জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা দেন এবং আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করুন।”

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসার না দিয়ে উপদেষ্টারা ক্ষমতা উদযাপন শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ভারতীয় আধিপত্যবদের দোসরা আবারও দেশকে ভারতের কাছে তুলে দিতে চায়। উপদেষ্টা পরিষদে ভারতীয় কোনো দালাল থাকতে পারবে না। জুলাই যোদ্ধারা বেঁচে থাকতে তা সফল হবে না। এবার রাজপথে নামতে হলে আপনাদের উৎখাত করে দেশ ছাড়া করা হবে। যারা জুলাই ঐক্যের ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন।”

এছাড়াও জুলাই স্পিরিট ধরে রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকল ভেদাভেদ ভুলে সকল রাজনৈতিক ও সমাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি জানান। জুলাই ঐক্যের ৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—

ক) জুলাইয়ের সকল শক্তিকে বিনষ্ট করতে যে সকল ভারতীয় এজেন্ট কাজ করছে তাদের অবিলম্বে খুজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

খ) উপদেষ্টা পরিষদে যারা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ব্যাতিব্যাস্ত অবিলম্বে তাদের অপসারন করে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।

গ) অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র যথা সময়ে দিতে হবে।

উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ
উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

আগের সব ‘বিভাজনমূলক বক্তব্য ও শব্দচয়নের’ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও।

হাসনাত বলেছেন, “এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নগ্ন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপদেষ্টা মাহফুজ আব্দুল্লাহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এমন আহ্বান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সেখানে তিনি লিখেচেন, “জুলাইয়ের ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তির প্রতি আহ্বান—যে বিভাজনটা অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের মধ্যে এসেছিল, সেই বিভাজনকে দেশ ও জাতির স্বার্থে মিটিয়ে ফেলতে হবে।”

তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, “মনে রাখবেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনে দেশে-বিদেশে অনেকে নাখোশ হয়ে আছে। এই নাখোশ বান্দারা আমাদের বিভাজনের সুযোগ নিতে নিতে আজকের এই অস্থিতিশীল দিন এনেছে। আমরা সবাই এক হয়েছিলাম বলেই দীর্ঘ দেড় যুগের শক্তিশালী ফ্যাসিবাদকে তছনছ করতে পেরেছিলাম। আমরা খণ্ড-বিখণ্ড হলে পতিত ফ্যাসিবাদ ও তার দেশি-বিদেশি দোসরেরা আমাদের তছনছ করার হীন পাঁয়তারা করবে।”

হাসনাত বলেন, “দেশ ও জাতির প্রতি দায় এবং দরদ আছে বলেই আমরা এক হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়েছিলাম। দেশ ও জাতির জন্যই এবার আমাদের এক হয়ে আমাদের স্বদেশকে বিনির্মাণ করতে হবে। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থের জন্য এই ঐক্য নয়, বরং আমাদের দেশের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনও বিকল্প নেই।”

"> ">
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের ব্রাইডাল লুকে মুগ্ধতা ছড়ালেন অপু বিশ্বাস না আছে মরার ভয় না আছে হারাবার কিছু : আসিফ মাহমুদ গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন ট্টাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নাহিদ ইসলাম সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করল আইএসপিআর বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রেস বিজ্ঞপ্তি নাগরিক ছাত্র ঐক্য সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা বীরগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু শেরপুর সীমাবাড়ি ইউনিয়নের কদিম হাঁসড়া গ্রামে বিমলের বাড়িতে মাদকের আখরা, যেন দেখার কেউ নেই রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে বড় ধরনের বদলি! ভবানীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা পুলিশ অঞ্জাত কিশোরীর লাশ উদ্ধারের পরিচয় সনাক্তে ফেইসবুকে পোস্ট বীরগঞ্জে এনসিপি নেতা হাসনাতের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস পালিত বীরগঞ্জে মহান শ্রমিক দিবস পালিত ছোনকায় মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্নাঢ্য র‌্যালী শেষে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন কাহারোলে স্কাউটস দিবস উপলক্ষে র‍্যালি,পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু দুদকের আকস্মিক অভিযান: বীরগঞ্জ হাসপাতালে দুর্নীতির চিত্র উন্মোচিত শেরপুরে চোরসহ টলিগাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরায় আটক শেরপুরে ইউনিয়ন জামাতের সেক্রেটারীর ভাই ৭৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার শেরপুরে কলেজের অধ্যক্ষের দূর্ণীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।। শেরপুরে সভাপতি কর্তৃক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি তদন্ত করার কারনে সভাপতি পরিবর্তন নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শেরপুর উপজেলা বিএনপি’র আনন্দ শোভাযাত্রা শেরপুরে মাদ্রাসা শিক্ষিকার আত্মহত্যা।