খুঁজুন
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন, ১৪৩১

৬ দফা : অর্থনৈতিক মুক্তি কি মিলেছে?

প্রণব সাহা প্রকাশিত: শুক্রবার, ৭ জুন, ২০২৪, ১০:০১ পূর্বাহ্ণ
৬ দফা : অর্থনৈতিক মুক্তি কি মিলেছে?

প্রতিবছর যে সময় সরকারের বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের দলিল জাতীয় বাজেট সংসদে উপস্থাপিত হয়, সাধারণ তা ৭ জুনের কাছাকাছি সময়ই হয়। এবারও জাতীয় সংসদে ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেট পেশ করা হয়েছে ৬ জুন। বাজেটের সাথে কি ঐতিহাসিক ছয় দফার কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে? এত বছর পর ছয় দফা দিবস পালনের তাৎপর্য কী?

ছয় দফার তিন দফাতেই রয়েছে অর্থনীতির বিষয়। পাকিস্তানের বড় প্রদেশ হয়েও কীভাবে পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী দেশের একটি অঞ্চলকে অর্থনৈতিকভাবে বঞ্চিত করেছে তা উল্লেখ করেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন।

এখন যদি আমরা ছয় দফা পড়ে দেখি তাতে প্রথম দফায় শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রের প্রকৃতি সম্পর্কে বলা হয়েছে। লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে সংবিধান রচনা করে পাকিস্তানকে ফেডারেটিভ রাষ্ট্র গঠনের কথা বলা হয়েছে। ছয় দফার দ্বিতীয়টিতে ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা। বলা হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ থাকবে দেশরক্ষা ও বৈদেশিক নীতিতে। অবশিষ্ট সব বিষয় অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর হাতে।

সর্বশেষ ছয় নম্বর দফায় বলা হয়েছিল আঞ্চলিক সংহতি ও শাসনতন্ত্র রক্ষার জন্য সংবিধানে অঙ্গরাষ্ট্রগুলো আধা সামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠন ও রাখার ক্ষমতা দিতে হবে। এর বাইরে তিনটিই ছিল অর্থ-বাণিজ্যের বিষয়।

পাকিস্তানের পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী এখনকার বাংলাদেশ, তখনকার পূর্ব-পাকিস্তানের রপ্তানি পণ্য পাট ও চা থেকে আয় করা বৈদেশিক মুদ্রায় সরকারের খরচ আর নতুন শহর বানিয়েছিল কিন্তু জনসংখ্যায় বেশি হলেও বাঙালিদের জন্য বরাদ্দ হতো খুবই কম।

বলা হয়, ছয় দফা মূলত স্বাধীনতার এক দফা ছিল। এই দাবির মধ্যে পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার আন্দোলনের বীজবপন করেছিল তখনকার আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান। তাই ছয় দফা বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ।

তাই ছয় দফার ৪নং দফাটি ছিল রাজস্ব কর বা শুল্ক সম্পর্কিত। বলা হয়েছিল, ফেডারেশনের অঙ্গরাজ্যগুলোর কর বা শুল্ক ধার্যের ব্যাপারে সার্বভৌম ক্ষমতা থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনোরূপ কর ধার্যের ক্ষমতা থাকবে না। তবে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের জন্য অঙ্গরাষ্ট্রীয় রাজস্বের একটি অংশ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাপ্য হবে। অঙ্গরাষ্ট্রগুলোর সবরকমের করের শতকরা একই হারে আদায়কৃত অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল গঠিত হবে।

তৃতীয় দফায় দুটি বিকল্প প্রস্তাব ছিল। এর একটি হচ্ছে—দেশে দুটি পৃথক অথচ অবাধে বিনিময়যোগ্য মুদ্রা চালু থাকবে। অপরটি হচ্ছে একই মুদ্রা চালু থাকলেও এমন ব্যবস্থা থাকতে হবে যাতে পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে মূলধন পাচার বন্ধ হয়। পূর্ব পাকিস্তানের জন্য পৃথক ব্যাংকিং রিজার্ভের কথাও বলা হয়েছে।

পঞ্চম দফাটি ছিল বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ে। এতে ছিল যে ফেডারেশনভুক্ত প্রতিটি রাজ্যের বহির্বাণিজ্যের আলাদা হিসাব থাকবে। এর মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অঙ্গরাজ্যগুলোর এখতিয়ারাধীন থাকবে। ঐ যে বলেছিলাম বাংলার পাট আর চা রপ্তানির আয় থেকে কোনো হিস্যা পেত না বাঙালিরা, সেইটাই এই দাবির মূল কথা।

এখন যে আমরা ফরেন রিজার্ভ, রপ্তানি আর প্রবাসী বাঙালিদের পাঠানো রেমিট্যান্সকে এত গুরুত্ব দেই বা অর্থনীতির চালিকাশক্তির বড় বিষয় যে রপ্তানি বা বহির্বাণিজ্য তা কিন্তু ছয় দফার অন্যতম বিষয় ছিল।

প্রতিবছর আমরা ৭ জুন ছয় দফা দিবস পালন করি। তার তাৎপর্য এই যে ১৯৬৬ সালের ৭ জুন ছয় দফা আদায়ে তীব্র-গণআন্দোলনের সূচনা হয়। আওয়ামী লীগের ডাকা হরতালে ইপিআরের গুলিতে সিলেটের শ্রমিক মনুমিয়াসহ মোট ১১জন বাঙালি শহীদ হন।

এরপর ছাত্ররা ১১ দফা দিয়ে স্বাধিকারের আন্দোলন জোরদার করেছিল। বলা হয়, ছয় দফা মূলত স্বাধীনতার এক দফা ছিল। এই দাবির মধ্যে পরোক্ষভাবে স্বাধীনতার আন্দোলনের বীজবপন করেছিল তখনকার আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমান। তাই ছয় দফা বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ।

এখন যখন ছয় দফা দিবস পালিত হবে তখন কি রাজনৈতিক গুরুত্বের পাশাপাশি দেশের বর্তমান অর্থনীতি তথা দেশের আয় বৈষম্যকে আমরা বিবেচনায় নেব? ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন বলেছিলেন, ‘আয়-বৈষম্য বাড়ছে এই কথার অর্থ হলো ধনী আরও ধনী হচ্ছে এবং দরিদ্র আরও দরিদ্র হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে অসমতার প্রকৃতি কিছুটা ভিন্ন। দেশে দরিদ্র ও অদরিদ্র উভয় শ্রেণির মানুষের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। কিন্তু অদরিদ্র শ্রেণির উন্নতির হার বেশি।’

দেশের এই বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ২০১৬ সালের খানা আয়-ব্যয় জরিপের তথ্য তুলে ধরে বলেন, তখন দেশের ২৭ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ছিল। তবে গ্রাম ও শহরাঞ্চলের মধ্যে তা নিয়ে বড় ব্যবধান আছে। গ্রামাঞ্চলের ৩৪ দশমিক ৫ শতাংশ পরিবার সামাজিক সুরক্ষার আওতায় থাকলেও শহরাঞ্চলে এই হার মাত্র ১০ দশমিক ১ শতাংশ। দেশ স্বাধীনের ৫৩ বছর পর কি আমরা এমন অর্থনৈতিক বৈষম্য মেনে নিতে পারি?

ধনীগোষ্ঠী বিশাল ঋণ নিয়ে ঋণখেলাপি হয় কিন্তু ক্ষুদ্র ঋণ নেওয়া চাষি বা ছোট দোকানদার ঋণ পরিশোধ না করলে তার কোমরে রশি বাঁধা হয়। অবশ্যই ছয় দফা দিবস পালনের সময় অর্থনীতির সংকট, আয় বৈষম্য আমাদের আলোচনায় আনতে হবে।

‘আমাদের বাঁচার দাবি ৬ দফা কর্মসূচি’—বঙ্গবন্ধুর যে বক্তব্য পুস্তিকা আকারে প্রচার করা হয়েছিল তাতে বলা হয়েছিল—‘পাকিস্তানের বিদেশী মুদ্রার তিনভাগের দুই ভাগই অর্জিত হয় পাট হইতে। অথচ পাটচাষিকে ন্যায্য মূল্য তো দূরের কথা আবাদি খরচটাও দেওয়া হয় না। ফলে পাটচাষিদের ভাগ্য আজ শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের খেলার জিনিসে পরিণত হইয়াছে।’

স্বাধীন বাংলাদেশে আজ কোনো পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী নেই। কিন্তু এখনো দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার চাষিরা ৭৫ পয়সা কেজিতে ক্ষেতের শসা বিক্রি করতে বাধ্য হয়। অনেক সময় চাষিরা তাদের চাষ করা সবজির খরচের টাকাও তুলতে পারেন না।

আমাদের প্রত্যাশা সরকার যে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর করেছে তারা যেসব পণ্যের দাম নির্ধারণ করে সেই দামে ক্রেতা যেমন পণ্য পান না, উল্টো অনেক সময় নিজেদের খরচের টাকাটা তুলতে ব্যর্থ হন কৃষকরা।

এমন ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটানোর বিষয়টিও এখন ছয় দফা দিবসে আলোচিত হতে হবে। ৬ জুন ২০২৪ যে বাজেট উপস্থাপিত হলো জাতীয় সংসদে তাতে ধনী-গরিবের আয় বৈষম্য দূর করার কি ব্যবস্থা আছে?

ধনীগোষ্ঠী বিশাল ঋণ নিয়ে ঋণখেলাপি হয় কিন্তু ক্ষুদ্র ঋণ নেওয়া চাষি বা ছোট দোকানদার ঋণ পরিশোধ না করলে তার কোমরে রশি বাঁধা হয়। অবশ্যই ছয় দফা দিবস পালনের সময় অর্থনীতির সংকট, আয় বৈষম্য আমাদের আলোচনায় আনতে হবে।

স্বাধীনতার এতবছর পরেও যদি আমরা অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন না করতে পারি তাহলে তো ছয় দফা দিবস পালনও শুধু কথার রাজনীতি হবে, বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তি হবে না। শোষিতের পক্ষে থাকা জাতির পিতার স্বপ্ন তবে কি করে পূরণ করবে ১৫ বছর একটানা ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ?

প্রণব সাহা ।। এডিটর, ডিবিসি

বীরগঞ্জে হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে লাশ নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:৩১ অপরাহ্ণ
বীরগঞ্জে হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে লাশ নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে সাদ ক্লিনিকের সামনে লাশ নিয়ে ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। পৌরসভার ফিসারী এলাকার জীবন ইসলাম নামে এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে এনে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে লাশ নিয়ে মিছিল ও ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়ক অবরোধ করেছেন বিক্ষোভকারীরা।

সোমবার সকাল ১০টার দিকে নিহতের পরিবারসহ সদর উপজেলার সর্বস্তরের জনগণের বিভিন্ন স্লোগানে হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মহাসড়ক অবরোধের সময় রেন্টু সাহা, নাইটগার্ড বাঘার বিরুদ্ধে এবং হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় দুই ঘণ্টা ব্যাপী মহাসড়কে উভয় পাশে আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপংকর বর্মন ও বীরগঞ্জ থানার ওসি মজিবুর রহমানসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স পরিস্থিতি শান্ত করতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাসে দেন এবং জ্যোৎস্না ফিলিং স্টেশন সিল গালা করলে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।

উল্লেখ্য যে গতকাল রবিবার উপজেলার ফিসারী এলাকার রুস্তম আলী গাঠু’র ছেলে জীবন ইসলামকে ট্রাক্টরের ব্যাটারি চুরির সন্দেহে বাড়ি থেকে তুলে এনে জ্যোৎস্না ফিলিং স্টেশন সংলগ্ন একটি গোডাউনে সংবদ্ধ একটি চক্র লাঠিসোঁটা দিয়ে বেধড়ক প্রহারে জীবন ইসলামের মৃত্যু হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করলেও হত্যাকান্ডে জড়িতদের ২৪ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও গ্রেফতার না হওয়ায় প্রতিবাদ এবং রাস্তা অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা।

এব্যাপারে বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান জানান,নিহতের পিতা রুস্তম আলী গাঠু বাদি হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। যাহার মামলা নং – ১২,তারিখ ১৬/০৯/২০২৪ ইং, অবরোধ তুলে নিয়ে নিহতের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করেছে। আসামিদের ধরতে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

ছোনকা হাইস্কুলের অফিস কক্ষে তালা, নিয়োগ বানিজ্যের টাকা উদ্ধারের আশ্বাসে তালা খুললেন ছাত্ররা

মোঃ নজরুল ইসলাম জাকি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ
ছোনকা হাইস্কুলের অফিস কক্ষে তালা, নিয়োগ বানিজ্যের টাকা উদ্ধারের আশ্বাসে তালা খুললেন ছাত্ররা

বগুড়া শেরপুরের ছোনকা হাইস্কুলের ছাত্র/ছাত্রীরা দাবী আদায়ের লক্ষে অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে পরে প্রধান শিক্ষকের আশ্বাসে তালা খুলে দিয়েছে ছাত্ররা।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯ ঘটিকায় ছাত্র/ছাত্রীরা অফিস কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে স্কুল গেইটের সব দোকান বন্ধ রাখার আহবান করেন। পরে সকাল সোয়া ১০ ঘটিকার সময় নব নিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলামের আশ্বাসে ছাত্র/ছাত্রীরা আন্দোলন তুলে নিয়ে তালা খুলে ক্লাস করছেন।

জানা যায়, গত ৩০ জুন নিয়োগ পরিক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও ফয়সাল আবিরের দরখাস্থের প্রেক্ষিতে পরিক্ষা স্থগিত করা হয়। সেদিন বেশ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় প্রধান শিক্ষকসহ ৪ জন প্রার্থী কে কত টাকা দিয়েছে তার ফিরিস্তি প্রকাশ করে।পরে ২৬ জুন জরুরী অবস্থার মধ্যে নিয়োগ পরিক্ষায় পত্রিকায় উল্লেখিত ৪ জন প্রার্থী চুড়ান্ত হয়। সে প্রেক্ষিতে গত ১২ সেপ্টেম্বর  শেরপুর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা বরাবরে স্কুলের ছাত্রদের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পত্র দেন।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ছাত্ররা বলেন,  স্কুলের নিয়োগের টাকার হিসাব সহ বারান্দার টিন মেরামতের হিসাব নিকাশ দেওয়ার  আশ্বাস দেন নব নিযুক্ত প্রধান শিক্ষক। তখন স্কুলের ছাত্ররা আন্দোলন স্থগীত করে তালা খুলে ক্লাসে যান। সংবাদ সংগ্রহের সময় মেহেদী হাসান নামের এক শিক্ষক বাধা প্রদান করেন।

নব নিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ছাত্ররা স্কুলের হিসাব চেয়েছে আমি তাদের হিসাব দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছি। ইউএনও সাহেবের দরখাস্থের ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। নিয়োগে তিনি দুই লক্ষ টাকা দিয়েছেন এবং অন্য প্রার্থীদের ব্যাপারে তিনি জানেন না ।

ছোনকা হাইস্কুলের সাবেক সভাপতি মোঃ ফেরদৌস জামান মুকুল কে বারবার ফোন করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

শেরপুর উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মোঃ সুমন জিহাদী জানান, ছাত্রদের নিকট থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি এবং তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

শাহজাহানপুরে বিএনপির মত বিনিময় সভা

শাজাহানপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৬:০১ অপরাহ্ণ
শাহজাহানপুরে বিএনপির মত বিনিময় সভা

আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশ সফল কারার লক্ষ্যে উপজেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এক জরুরি মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হক শাহীন। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান বিদ্যুৎ এর সঞ্চালনায় সভায় অন্যন্যের মধ্যে উপস্থিত উপজেলা বিএনপি’র হারেজ উদ্দিন ও আবু শাহীন সানি, সিনিয়র সহ সভাপতি আব্দুল হাকিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই রনি উপজেলা বিএনপি নেতা মোশাররফ হোসেন, এম ইদ্রিস আলী সাকিদার, বাদশা আলম, নুরুল আজাদ, হাফিজার রহমান কাজল, মতিউর রহমান, আব্দুল মান্নান রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, মুকুল, নাসির উদ্দীন, মোশাররফ হোসেন, মাসফিকুর রহমান মামুন, ইবনে সাউদ, রেজাউল উপজেলা যুবদলের আহবায়ক সোহেল আরমান রাজু, সিনিয়র যুগ্ম আহবায় জিল্লুর রহমান, ইউনুস আলী হলুদ, শ্রমিকদল নেতা আব্দুস সোবহান পুটু প্রমুখ।

"> ">
বীরগঞ্জে হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে লাশ নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ ছোনকা হাইস্কুলের অফিস কক্ষে তালা, নিয়োগ বানিজ্যের টাকা উদ্ধারের আশ্বাসে তালা খুললেন ছাত্ররা শাহজাহানপুরে বিএনপির মত বিনিময় সভা ওমানে কর্মস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু গাজায় সংরক্ষিত এলাকায় ইসরায়েলি হামলা, এক রাতে নিহত ১৯ বৈরী আবহাওয়ায় হাতিয়ায় মাছ ধরার ৭ ট্রলার ডুবি ডোনাল্ড লুসহ মার্কিন উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল ঢাকায় আসছে আজ শেরপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ এর জানাযা সম্পূর্ণ শেরপুরে মজুমদার ফুড প্রোডাক্টস কোম্পানীতে ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়ে ৪ জন নিহত বীরগঞ্জে ট্রাক্টরের চাপায় স্কুলছাত্র নিহত শেরপুরে বেগম খালেদা জিয়ার ১৭তম কারামুক্তি দিবস ও সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সহ খুন ০২ জন এই নিয়মগুলো মানলেই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে বাতের ব্যথা লঞ্চঘাটের বাস কাউন্টার দখল দ্বন্দ্বে মুখোমুখি বিএনপির দুই গ্রুপ ‘গুলিতে নিহতদের মৃত্যুসনদ পরিবর্তনের নির্দেশ ছিল’ কলকাতায় নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুন: ২৫ দেশের ১৩০ শহরে বিক্ষোভ সেভেন সিস্টার্সের ৬০ কিলোমিটার ভেতরে ঢুকেছে চীনা সৈন্যরা তিস্তা চুক্তি : বন্ধুত্ব না স্বার্থের সংঘাত? গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৩৩, প্রাণহানি ৪১ হাজার ছুঁই ছুঁই আজব স্ক্রিপ্টের জন্য এই অবস্থাকে দায়ী করলেন জাহারা মিতু মামলা-হামলা আতঙ্কে আওয়ামী লীগ, শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে যুক্তরাষ্ট্রের হৃদয় ভেঙে ইউএস ওপেনে সিনারের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়োগ দিচ্ছে ব্র্যাক ব্যাংক, নেই বয়সসীমা ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সোহেল বাঁচতে চায় বৈষম্যের শিকার হরিজন সম্প্রদায় নারায়ণগঞ্জে বাড়ছে বিএনপির অন্তর্কোন্দল খানসামায় বন্যার্তদের ত্রাণ দিতে গিয়ে আহত চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু জানা গেল ঈদে মিলাদুন্নবীর তারিখ আজ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘শহীদি মার্চ’ হুন্দাই সিএনজি-চালিত প্রাইভেটকার আনল