খুঁজুন
শুক্রবার, ২৩শে মে, ২০২৫, ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

জলে ও জ্বলে ভালোবাসার গান

মনি হায়দার প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ
জলে ও জ্বলে ভালোবাসার গান

‘কারে বলে ভালোবাসা, কারে বলে প্রেম

মিলনে বিরহে আমি জানলেম…’

এ জে মিন্টু পরিচালিত ‘মান সম্মান’ সিনেমার গান। শিল্পী এন্ড্রু কিশোরের কণ্ঠে গাওয়া গানটির লিপে ছিলেন নায়ক আলমগীর। সাদা কালো যুগের ছবি। গানটা সেই সময়ে দারুণ জনপ্রিয় হয়েছিল। সময়ের চালচিত্রে গানটি এখনো পাঠকদের মনে সুখ ও জ্বালা বাড়ায়।

প্রেম কী কেবলই একটা শব্দ? নাকি মানব সংসারের যন্ত্রণার বাঁশি, কেবলই বেজে যায় অথৈ আগুনের জ্বলে? প্রেম আর ভালোবাসা শব্দ দুটোর মধ্যে কতটুকু পার্থক্য? বাংলা ভাষায় একটি শব্দের বিপরীতে অনেক শব্দ। ফলে অনেক সময়ে খুঁজে তল পাওয়া মুশকিল শব্দের গতি প্রকৃতি ও অর্থ।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বময় প্রেমের সন্ধান করেছেন আকুল হৃদয়ে। জীবনের চারপাশে তিনি রোপণ করেছেন প্রেম বৃক্ষ। গানে, কবিতায়, নাটকে, গল্পে, উপন্যাসে—কোথায় তিনি ভালোবাসার সেতার বাজাননি আপন আনন্দযজ্ঞের বলয়ে? বিচিত্র রূপ ও রূপান্তরে তিনি ছিলেন প্রেমের পূজারি।

তিনি বলেছেন—প্রেমের দ্বারা চেতনা যে পূর্ণশক্তি লাভ করে সেই পূর্ণতার দ্বারাই সে সীমার মধ্যে অসীমকে, রূপের মধ্যে অপরূপকে দেখতে পায়, তাকে নতুন কোথাও যেতে হয় না।

আবার রবীন্দ্রনাথ গানে লিখেছেন—আমি রূপে তোমায় ভোলাবো না, ভালোবাসায় ভোলাবো…।

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বময় প্রেমের সন্ধান করেছেন আকুল হৃদয়ে। জীবনের চারপাশে তিনি রোপণ করেছেন প্রেম বৃক্ষ। গানে, কবিতায়, নাটকে, গল্পে, উপন্যাসে—কোথায় তিনি ভালোবাসার সেতার বাজাননি আপন আনন্দযজ্ঞের বলয়ে? বিচিত্র রূপ ও রূপান্তরে তিনি ছিলেন প্রেমের পূজারি।

কীভাবে পরিস্থিতি ও বোধের কারণে প্রেম ও ভালোবাসা মুহূর্তে মুহূর্তে পাল্টে যায়, তা বাণী ও সুরে আঁকেন তিনি।

বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে কাজী নজরুল ইসলাম প্রেমের অমর ও অদ্বিতীয় পুরুষ। প্রেম ও ভালোবাসার এক দুরন্ত পথিক তিনি। গানে কবিতায় গল্পে উপন্যাসে কাজী নজরুল ইসলাম ভালোবাসার তরী ভাসিয়েছেন জলে, ডাঙ্গায় এবং অন্তরীক্ষে।

প্রেমের মূল সম্পদ বিরহ। বিরহের মধ্যে প্রেম কেঁপে ওঠে রহি রহি…। বিরহের মূল তন্ত্র ধারণ করে কবি কাজী নজরুল নিজেকে ছড়িয়েছে প্রেমের সংসারে, ভালোবাসার সমুদ্রে। তিনি গানের খাতায় লিখেছেন—তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়, সেকি মোর অপরাধ…। বিরহের যাতনায় তিনি ছিলেন আকণ্ঠ নিমজ্জিত। লিখেছেন গান—আমার যাবার সময় হলো দাও বিদায়, মোছ আঁখি দুয়ার খোলো দাও বিদায়…।

ভালোবাসার সংসারে পাল তোলা নৌকা বেয়ে নাইয়া হওয়ার সাধ জাগে সবারই। কিন্তু আশা ও ধারণার সঙ্গে মিলে প্রেম বা প্রেমাস্পদ সব সময়ে মেলে না। পড়ে থাকে নিজস্ব দীর্ঘশ্বাস হাতের তালুতে, বুকের গভীরে বেদনার তীক্ষ্ণ বালুচরের মতো। দুনিয়া জুড়ে এখন সবকিছু দিনের ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে। প্রেম বা ভালোবাসার মতো জটিল অনুভবও ফ্যাশনের পাশা খেলায় ডুবে গেছে।

ভালোবাসা দিবস কী ফ্যাশন? ভালোবাসা তো অন্তরের গভীরে প্রবহমান নিঃশব্দ স্রোতের মতো বয়ে যায়। ফ্যাশনে পরিণত হলে নিঃশব্দের আলো কেমন করে সম্পর্কের জাল বোনে? কিন্তু যে কোনোভাবেই হোক—ভালোবাসা বা প্রেম এখন ফ্যাশনের প্রজাপতি।

প্রতিবছর চৌদ্দ ডিসেম্বর বাংলাদেশে ঘটা করে ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন দিবস পালন করা হয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও একই দিনে ভালোবাসা দিবস পালন করা হয় নানা অনুষ্ঠান বা উৎসবের মধ্যে দিয়ে। বাংলাদেশে ভ্যালেন্টাইন বা ভালোবাসা দিবস পালন শুরু হয় ১৯৯৩ সালে বিশিষ্ট সাংবাদিক এবং যায়যায়দিন পত্রিকার সম্পাদক শফিক রেহমানের প্রেরণায়।

তিনিই প্রথম বাংলাদেশে তরুণ-তরুণীদের সামনে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস হিসেবে ১৪ ফেব্রুয়ারি পালনের প্রস্তাব রাখেন। প্রেম ও ভালোবাসায় জারিত দুরন্ত বাংলার তরুণ তরুণীরা আনন্দঘন চিত্তে ভালোবাসার দিন হিসেবে গ্রহণ করে ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুর দিবসকে।

ভ্যালেন্টাইন ছিলেন একজন ইতালির রোম নগরের যাজক। ২৬৯ খ্রিস্টাব্দে তাকে গ্রেফতার করে ইতালির সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস। কেন পাদ্রি ভ্যালেন্টাইনকে গ্রেফতার করা হলো? ধর্ম বিরুদ্ধ কোনো কাজ করার জন্য? না, পাদ্রি ভ্যালেন্টাইন গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রেমের কারণে!

প্রেম! মানে না কোনো বাধা বারবার প্রমাণিত, সেই আদিকাল থেকে। একজন পাদ্রি সেকালে সব ধরনের বাধা নিষেধ উপেক্ষা করেও নারীর প্রেমে মগ্ন হয়েছিলেন, এখন যেমন হয়। হবে। কিন্তু ভ্যালেন্টাইনের ভাগ্যে কী ঘটেছিল?

জানা যায়, ভ্যালেন্টাইন প্রেমিকসুলভ ছিলেন। যেখানে সেখানে প্রেমে পড়তেন। জেলে গিয়েও প্রেমে পড়েন। পরবর্তীতে সেই অন্ধ প্রেমিকাকে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।

কারাগারের কারারক্ষীর অন্ধ মেয়ের চিকিৎসা করে ভালো করে দিয়েছিলেন কিন্তু প্রেম তাকে ছাড়েনি। প্রেম এমনই কাঁঠালের আঠা… লাগলে পরে ছাড়ে না, ছাড়েননি পাদ্রি ভ্যালেটাইনকেও। গ্রেফতার হওয়ার পর আইনের বিচারে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন ইতালির সম্রাট। মৃত্যুর তারিখ ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি।

এখন প্রেমের জন্য, প্রেম করবার জন্য, প্রেমকে জীবনে গ্রহণ করার মহান অভিপ্রায় হলেও, কখনো কখনো প্রেম জীবন সংহারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যেমন হলেন ভ্যালেন্টাইন। যদিও তিনি মারা গেছেন কিন্তু এখনো তিনি বেঁচে আছেন দুনিয়ার সব প্রেমিক-প্রেমিকার গভীর মনোজগতে, সফল মহিমায়। প্রশ্ন হলো সেই সময়, মৃত্যুর সময়ে ভ্যালেন্টাইন কী জানতেন, তিনি প্রেমের মহান পুরুষ হিসেবে সারাবিশ্বে পূজিত হবেন?

জানতেন না। আহা! প্রেমের জন্য দুনিয়া জুড়ে এমন মহিমা পৃথিবীর কম প্রেমিকের জীবনে ঘটেছে। যদিও আমরা জানি—লাইলি-মজনুর প্রেম। শ্রীকৃষ্ণ-রাধার প্রেম।

ভালোবাসা দিবস কী ফ্যাশন? ভালোবাসা তো অন্তরের গভীরে প্রবহমান নিঃশব্দ স্রোতের মতো বয়ে যায়। ফ্যাশনে পরিণত হলে নিঃশব্দের আলো কেমন করে সম্পর্কের জাল বোনে? কিন্তু যে কোনোভাবেই হোক—ভালোবাসা বা প্রেম এখন ফ্যাশনের প্রজাপতি।

এইরকম প্রেমে ঘটনা অসংখ্য। ব্রিটিশ রাজা অষ্টম অ্যাডওয়ার্ড সিংহাসনে আরোহণ করেন ১৯৩৬ সালে। কিন্তু এক বছরের মধ্যে অনেক সাধের সিংহাসন ছেড়ে দিয়েছিলেন সাধারণ একজন নারী সিম্পসনকে ভালোবেসে। এবার বাস্তব থেকে ফিরি সাহিত্যে।

কথাসাহিত্যের নানা অনুষঙ্গে প্রেম ছড়িয়ে আছে। সৈয়দ মুজতবা আলী বাংলা সাহিত্যের প্রেম আখ্যান তৈরিতে অতুলনীয়। শবনম উপন্যাসে তিনি যে প্রেক্ষাপট তৈরি করেছেন তা বিস্ময়কর। উপন্যাসের নায়িকা শবনমের রূপের বর্ণনা করেছেন, যেকোনো প্রেমিকের জন্য চিরকালের উদাহরণ হয়ে থাকতে পারে। যেমন—

‘প্রথমে দেখেছিলুম কপালটি। যেন তৃতীয়ার ক্ষীণচন্দ্র। শুধু, চাঁদ হয় চাপা বর্ণের, এর কপালটি একদম পাগমান পাহাড়ের বরফের মতই ধবধবে সাদা। সেটি আপনি দেখেননি? অতএব বলব নির্জলা দুধের মত। সেও তো আপনি দেখেননি? তা হলে বলি বন-মল্লিকার পাপড়ির মত।

নাকটি যেন ছোট বাঁশী। ওইটুকুন বাঁশীতে কি করে দুটো ফুটো হয় জানি না। নাকের ডগা আবার অল্প অল্প কাঁপছে। গাল দুটি কাবুলেরই পাকা আপেলের মত।’

ভালোবাসা অবিনশ্বর এক নৃত্য তরঙ্গ-মনের অন্তপুরে বরফ শীতল জলেও জ্বলে ওঠে বিদগ্ধ আগুনের সর্বনাশে, কিংবা নতুন সৃষ্টির উল্লাসে। কোটি কোটি মানুষ দুনিয়া জুড়ে, প্রত্যেকেই নিজের মতো করে ধারণ করে ভালোবাসা, গ্রহণ করে সংসারের স্বাদ। সংসারের স্বাদ ও সাধ্যের মধ্যে লড়াই ও তিতিক্ষার মধ্যে যখন জেগে থাকে দ্বাদশীর চাঁদ, ভালোবাসা তখনই পূর্ণতা অর্জন করে অসীম মমতায়।

সৈয়দ শামসুল হক বাংলা সাহিত্যের অবিসংবাদিত প্রেমিক পুরুষ। কবিতা গল্প উপন্যাসে তিমিরের তীরে বুনে দিয়েছেন তিনি প্রেমের আগুন চুম্বন। কবিতার মধ্যে গেঁথে রেখেছেন ভালোবাসার বিষ, কিন্তু প্রেম ধারণ করলেই হয়ে ওঠে মধু। ক্রিয়ার সঙ্গে থেকে বিপরীতে কবিতার উপমা উৎপ্রেক্ষায় তুলেছেন ধুন…

‘তুমিই শুধু তুমি’ কবিতায় সৈয়দ শামসুল হক নিবেদন করেছেন,

‘তোমার দেহে লতিয়ে ওঠা ঘন সবুজ শাড়ি।

কপালে ওই টকটকে লাল টিপ।

আমি কি আর তোমাকে ছেড়ে

কোথাও যেতে পারি?

তুমি আমার পতাকা, আমার কৃষির বদ্বীপ।’

আর কী কোথাও যাওয়ার সুযোগ রেখেছেন কবি সৈয়দ শামসুল হক, যেখানে তিনি প্রেমিকার মধ্যে আঁকেন বদ্বীপ!

নির্মলেন্দু গুণ বাংলা কবিতার রহস্যময় সার্থক কবি। কবিতার চরণে চরণে তিনি ফুটিয়ে তোলেন ফুল ও কাঁটার লহরী, প্রজাপতির ডানায় ডানায়। তিনি বিল্পবী, সঙ্গে সঙ্গে বিরহী প্রেমকও। বিচিত্র বোধ ও বোধনের সংশ্লেষে তিনি কবিতায় প্রেম বুনেছেন আবেগ ও আত্মীয়তার সঙ্গে।

‘তোমার চোখ এতো লাল কেন’ কবিতায় তিনি ভালোবাসার বীজ যেভাবে রোপণ করেন মাটিতে, কবিতার শরীরে তা অনবদ্য।

“আমি বলছি না ভালোবাসতেই হবে, আমি চাই

কেউ আমাকে খেতে দিক। আমি হাতপাখা নিয়ে

কাউকে আমার পাশে বসে থাকতে বলছি না,

আমি জানি, এই ইলেকট্রিকের যুগ

নারীকে মুক্তি দিয়েছে স্বামী-সেবার দায় থেকে ।

………………………………………………

আমি বলছি না ভলোবাসতেই হবে, আমি চাই

কেউ একজন ভিতর থেকে আমার ঘরের দরোজা

খুলে দিক। কেউ আমাকে কিছু খেতে বলুক।

কাম-বাসনার সঙ্গী না হোক, কেউ অন্তত আমাকে

জিজ্ঞেস করুক, ‘তোমার চোখ এতো লাল কেন”

আর কী চাই মাটির এই প্রেম ও প্রার্থনার কাছে? প্রেম এলায়িত দ্রবণে হৃদয় আকুল করে জুড়ে বসে শরীর মন প্রাণ ও চিত্ত অধিকারে। সব সুখ ও অসুখে ভালোবাসার মোহ, প্রেমের দাহ ছড়িয়ে থাকুক অকূল দরিয়ার সাঁতার কাটার অবশ্রান্ত গৌরবে।

মনি হায়দার ।। কথাসাহিত্যিক

‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

দেশের সর্বত্র উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে পদত্যাগের চিন্তা করছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এমন গুঞ্জনের মধ্যে তার সঙ্গে দেখা করে আসলেই পদত্যাগ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ভাবছেন বলে নিশ্চিত করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। অবশ্য তিনি যেন এমন সিদ্ধান্ত না নেন সেই অনুরোধ জানিয়েছেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন নাহিদ ইসলাম। পরে বিবিসি বাংলাকে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতি, স্যারেরতো পদত্যাগের একটা খবর আমরা আজকে সকাল থেকে শুনছি। তো ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্যারের সাথে দেখা করতে গেছিলাম। প্রধান উপদেষ্টা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবেন না এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।’

এসময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও ছিলেন বলে জানা গেছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্যার বলছেন আমি যদি কাজ করতে না পারি… যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে আনছিলা একটা গণঅভ্যুত্থানের পর, দেশের পরিবর্তন, সংস্কার…। কিন্তু যেই পরিস্থিতি যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে। আমিতো এভাবে কাজ করতে পারবো না। তো রাজনৈতিক দলগুলা তোমরা সবাই একটা জায়গায়, কমন জায়গায় না পৌঁছাতে পারো।’

প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন নাহিদ। এ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘আমাদের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের ভবিষ্যৎ সবকিছু মিলিয়ে উনি যাতে শক্ত থাকেন এবং সব দলকে নিয়ে যাতে ঐক্যের জায়গায় থাকেন, সবাই তার সাথে আশা করি কো-অপারেট করবেন।’

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করছেন জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘হ্যাঁ, যদি কাজ করতে না পারেন, থাকবেন, থেকে কী লাভ। উনি বলছেন উনি এ বিষয়ে ভাবছেন। ওনার কাছে মনে হয়েছে পরিস্থিতি এরকম যে তিনি কাজ করতে পারবেন না।’

পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার এখনকার মনোভাবের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এখন ওনি যদি রাজনৈতিক দল তার পদত্যাগ চায়… সেই আস্থার জায়গা, আশ্বাসের জায়গা না পাইলে উনি থাকবেন কেন?’

জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

জুলাইয়ের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক শক্তির মধ্যে ফাটল তৈরি ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ র‍্যালি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৮০টি সংগঠনের ঐকবদ্ধ প্লাটফর্ম ‘জুলাই ঐক্য’।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে  প্রতিবাদ র‌্যালি শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যের এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, “যে ঐক্য নিয়ে আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থান করেছিলাম সে ঐক্য ভাঙতে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা ষড়যন্ত্র করে জুলাই ঐক্যকে বিনষ্ট করতে চাইবে জুলাই জনতা তাদেরকে আবারও দিল্লিতে পাঠিয়ে দেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে আমরা লড়ে যাবো। ভারতীয়, মার্কিন আগ্রাসনে ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জুলাই জনতা বুক পেতে আবার রাজপথে নেমে আসবে। আমরা আবারও বুকের তাজা রক্ত দেবো তবুও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নষ্ট হতে দেবো না।”

এ সময়  বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সচিবালয়ে ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর বসে আছে। ৩১ মে এর মধ্যে সচিবালয় থেকে ফ্যাসিবাদের সকল দোসর  অপসারণ না করলে সচিবালয় ঘেরাও হবে।”

জুলাই ঐক্যের আপ বাংলাদেশের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যে সকল ভারতীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত অপসারণ করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “জুলাইয়ের শহীদদের রক্তের ওপর আপনার সরকার গঠিত। আমরা আপনার ওপর আস্থা রাখতে চাই। জুলাইয়ের ঐক্যকে যারা নষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। অতি দ্রুত জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা দেন এবং আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করুন।”

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসার না দিয়ে উপদেষ্টারা ক্ষমতা উদযাপন শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ভারতীয় আধিপত্যবদের দোসরা আবারও দেশকে ভারতের কাছে তুলে দিতে চায়। উপদেষ্টা পরিষদে ভারতীয় কোনো দালাল থাকতে পারবে না। জুলাই যোদ্ধারা বেঁচে থাকতে তা সফল হবে না। এবার রাজপথে নামতে হলে আপনাদের উৎখাত করে দেশ ছাড়া করা হবে। যারা জুলাই ঐক্যের ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন।”

এছাড়াও জুলাই স্পিরিট ধরে রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকল ভেদাভেদ ভুলে সকল রাজনৈতিক ও সমাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি জানান। জুলাই ঐক্যের ৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—

ক) জুলাইয়ের সকল শক্তিকে বিনষ্ট করতে যে সকল ভারতীয় এজেন্ট কাজ করছে তাদের অবিলম্বে খুজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

খ) উপদেষ্টা পরিষদে যারা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ব্যাতিব্যাস্ত অবিলম্বে তাদের অপসারন করে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।

গ) অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র যথা সময়ে দিতে হবে।

উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ
উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

আগের সব ‘বিভাজনমূলক বক্তব্য ও শব্দচয়নের’ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও।

হাসনাত বলেছেন, “এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নগ্ন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপদেষ্টা মাহফুজ আব্দুল্লাহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এমন আহ্বান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সেখানে তিনি লিখেচেন, “জুলাইয়ের ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তির প্রতি আহ্বান—যে বিভাজনটা অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের মধ্যে এসেছিল, সেই বিভাজনকে দেশ ও জাতির স্বার্থে মিটিয়ে ফেলতে হবে।”

তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, “মনে রাখবেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনে দেশে-বিদেশে অনেকে নাখোশ হয়ে আছে। এই নাখোশ বান্দারা আমাদের বিভাজনের সুযোগ নিতে নিতে আজকের এই অস্থিতিশীল দিন এনেছে। আমরা সবাই এক হয়েছিলাম বলেই দীর্ঘ দেড় যুগের শক্তিশালী ফ্যাসিবাদকে তছনছ করতে পেরেছিলাম। আমরা খণ্ড-বিখণ্ড হলে পতিত ফ্যাসিবাদ ও তার দেশি-বিদেশি দোসরেরা আমাদের তছনছ করার হীন পাঁয়তারা করবে।”

হাসনাত বলেন, “দেশ ও জাতির প্রতি দায় এবং দরদ আছে বলেই আমরা এক হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়েছিলাম। দেশ ও জাতির জন্যই এবার আমাদের এক হয়ে আমাদের স্বদেশকে বিনির্মাণ করতে হবে। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থের জন্য এই ঐক্য নয়, বরং আমাদের দেশের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনও বিকল্প নেই।”

"> ">
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের ব্রাইডাল লুকে মুগ্ধতা ছড়ালেন অপু বিশ্বাস না আছে মরার ভয় না আছে হারাবার কিছু : আসিফ মাহমুদ গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন ট্টাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নাহিদ ইসলাম সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করল আইএসপিআর বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রেস বিজ্ঞপ্তি নাগরিক ছাত্র ঐক্য সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা বীরগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু শেরপুর সীমাবাড়ি ইউনিয়নের কদিম হাঁসড়া গ্রামে বিমলের বাড়িতে মাদকের আখরা, যেন দেখার কেউ নেই রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে বড় ধরনের বদলি! ভবানীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা পুলিশ অঞ্জাত কিশোরীর লাশ উদ্ধারের পরিচয় সনাক্তে ফেইসবুকে পোস্ট বীরগঞ্জে এনসিপি নেতা হাসনাতের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস পালিত বীরগঞ্জে মহান শ্রমিক দিবস পালিত ছোনকায় মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্নাঢ্য র‌্যালী শেষে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন কাহারোলে স্কাউটস দিবস উপলক্ষে র‍্যালি,পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু দুদকের আকস্মিক অভিযান: বীরগঞ্জ হাসপাতালে দুর্নীতির চিত্র উন্মোচিত শেরপুরে চোরসহ টলিগাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরায় আটক শেরপুরে ইউনিয়ন জামাতের সেক্রেটারীর ভাই ৭৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার শেরপুরে কলেজের অধ্যক্ষের দূর্ণীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।। শেরপুরে সভাপতি কর্তৃক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি তদন্ত করার কারনে সভাপতি পরিবর্তন নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শেরপুর উপজেলা বিএনপি’র আনন্দ শোভাযাত্রা শেরপুরে মাদ্রাসা শিক্ষিকার আত্মহত্যা।