খুঁজুন
শুক্রবার, ২৩শে মে, ২০২৫, ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

পাকিস্তানে স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি আসবে কবে?

ড. ফরিদুল আলম প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪, ১০:৪৫ পূর্বাহ্ণ
পাকিস্তানে স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি আসবে কবে?

পাকিস্তান পরিস্থিতি ভালো যাচ্ছে না। কিছুদিন ধরে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের সরকারবিরোধী অবস্থান সহিংস পরিস্থিতিতে রূপ নেওয়ার পর এবং সরকারের পক্ষ থেকে দমনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণের পর হঠাৎই ইমরান খানের মুক্তি ছাড়া আন্দোলনের মাঠ না ছাড়তে ঘোষণা দেওয়া পিটিআই পিছু হটেছে।

তাদের পক্ষ থেকে সাময়িক সময়ের জন্য আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে বলা হয়েছেব্যাপক দমনমূলক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সরকার রাজধানী ইসলামাবাদকে কসাইখানায় রূপান্তর করতে চেয়েছে।’ এই যুক্তি দিয়ে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দলীয় প্রধান ইমরান খানের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এদিকে ইমরান খানের সূত্রে জানা গেছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তিনি তার সমর্থকদের আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বে ছিলেন ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবি। তিনিও ইমরান খানকে না নিয়ে ফিরবেন না বলে প্রতিজ্ঞা করলেও শেষ পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি স্থগিত করতে হয়।

জানা গেছে, এই আন্দোলনে লাখ লাখ কর্মী এবং সমর্থক জড়ো হলেও দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অনুপস্থিতি আন্দোলনের সাফল্যের ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে কাজ করেছে। পাকিস্তানের একমাত্র খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে ইমরানের দল পিটিআই সরকার গঠন করেছে। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন খান গন্ডাপুর এবং বুশরা বিবির নেতৃত্বে মূলত পিটিআই সমর্থকদের ইসলামাবাদমুখী আন্দোলন পরিচালিত হয়েছিল।

শহরের ডি-চক এলাকায় ছিল এর গন্তব্যযেখানে দেশটির প্রধানমন্ত্রী অফিসসংসদ ভবন এবং সুপ্রিম কোর্টসহ আরও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা অবস্থিত। সরকার শহরের প্রবেশ মুখগুলো বন্ধ করে দেয়। কমপক্ষে ৭০০ শিপিং কন্টেইনার বসিয়ে বাধা সৃষ্টি করা হয়।

মূলত যে তিনটি দাবিকে কেন্দ্র করে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি আয়োজন করা হয় সেগুলো হচ্ছে, ইমরান খানের মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ এবং সংবিধানের বিতর্কিত ২৬তম সংশোধনী বাতিল করা।

পুলিশ এবং সীমান্ত রক্ষী বাহিনী রেঞ্জার্সের সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে গুলি এবং কাঁদানি গ্যাস নিক্ষেপ করে। ৮ জন নিহতের কথা জানা গেছেযার মধ্যে ৪ জন রেঞ্জার্সের সদস্য এবং ২ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। সেনাবাহিনীকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হলেও তাদের গুলিতে কোনো নিহতের বিষয় জানা যায়নি। এই বিক্ষোভ কর্মসূচি ভণ্ডুল হওয়ার পর রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানসহ পুরো দেশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

জানা গেছে, ডি-চক অভিমুখী এই মিছিলটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিবন্ধকতায় বাধাপ্রাপ্ত হলে অনেক বিক্ষোভকারী পালিয়ে যান। একপর্যায়ে এর নেতৃত্বদানকারী বুশরা বিবি এবং আলী আমিন খান গন্ডাপুরও পালিয়ে যান। পরবর্তীতে তাদের পক্ষ থেকে সরকারের দমনমূলক নীতির সমালোচনা করে বিবৃতি দেওয়া হয়।

পুরো বিষয়টি থেকে যা উঠে আসেতা হচ্ছে এই আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে দলের ভেতরে সমন্বিত সিদ্ধান্তের অভাব ছিল। গোটা আন্দোলনটি দানা বেঁধে ওঠে মাত্র ৪ দিন সময়ের মধ্যে। যদিও কয়েকমাস ধরে ইমরান খানের মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছিলেন তার কর্মী এবং সমর্থকরা, তা নিয়ে দলগত সিদ্ধান্তের বাইরে ব্যক্তিগত আবেগ অনুভূতিকে অধিক গুরুত্ব দেওয়ার ফলে একটি আন্দোলন কর্মসূচি সাফল্যের মুখ দেখেনি।

মূলত যে তিনটি দাবিকে কেন্দ্র করে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি আয়োজন করা হয় সেগুলো হচ্ছে, ইমরান খানের মুক্তিসরকারের পদত্যাগ এবং সংবিধানের বিতর্কিত ২৬তম সংশোধনী বাতিল করা। উপরোক্ত দুটি দাবির বাইরে এই ২৬তম সংশোধনী নিয়ে দলের অবস্থা হলোএর মধ্য দিয়ে দেশের উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়া সংসদের হাতে ন্যস্ত করা হয়েছে।

আমরা জানি, একটি সরকার ব্যবস্থায় এই বিচারক নিয়োগ প্রক্রিয়া সংসদসরকারআদালতের নিজের উপর বা রাষ্ট্রপতির উপর—যেভাবেই ন্যস্ত থাকুক না কেনসরকারের একটা পরোক্ষ প্রভাব সবসময় থেকে যায়। মূলত অন্য দুই দাবিকে বৈধ করার জন্যই এটিও আন্দোলনের অন্যতম বিষয়বস্তু করা হয়েছে।

একথা ঠিক যে, জনপ্রিয়তার দিক থেকে ইমরান খান এই মুহূর্তে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছেন। এর প্রমাণ পাকিস্তানের জনগণ বিগত সাধারণ নির্বাচনে দিয়েছেন। দলীয় প্রতীক এবং তার দলকে নিষিদ্ধ করার পরও স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করে তার দল এককভাবে সবচেয়ে বেশি আসন (১০১টি) লাভ করেছিল। পাকিস্তানের রাজনীতিতে অন্যতম প্রভাবক সেনাবাহিনীর সমর্থন হারানোই ছিল তার ক্ষমতাচ্যুতর একমাত্র কারণ।

পাকিস্তানের অতীত ইতিহাস ঘেটে দেখা যায়স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংঘাতের কারণে সেনাবাহিনীর সাথে রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পর্ক খুব বেশি সময় ভালো থাকে না। এর প্রমাণ আমরা দেখেছি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো এবং নওয়াজ শরীফের ২ দফা এবং ৩ দফায় অসম্পূর্ণ মেয়াদ সরকার পরিচালনার মধ্য দিয়ে।

সেনাবাহিনীর পাশাপাশি রয়েছে দেশটির রাজনীতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবযা সবসময় সেনাবাহিনী দ্বারা সমর্থিত। এটিই ইমরান খানের ক্ষমতাচ্যুতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে কাজ করেছিল।

পাকিস্তানের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেনযুক্তরাষ্ট্র সবসময় মানবাধিকারগণতন্ত্র এবং শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশকে সমর্থন করে।’ এই বক্তব্যের মধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক প্রতিক্রিয়া সীমাবদ্ধ ছিল। বিষয়টি নানাভাবে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে।

একথা ঠিক যে, জনপ্রিয়তার দিক থেকে ইমরান খান এই মুহূর্তে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছেন। এর প্রমাণ পাকিস্তানের জনগণ বিগত সাধারণ নির্বাচনে দিয়েছেন।

সরকারের পক্ষ থেকে যে ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছেতা জনগণের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার স্বার্থে এমন ব্যাখ্যা যেমন যৌক্তিকঅন্যদিকে সরকারের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনগণের জমায়েত হওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে এটাও সত্য।

এইসব সত্যের বাইরে যে আসল সত্যতা হচ্ছে সরকার দেশের সেনাবাহিনী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো দ্বারা এখন পর্যন্ত ব্যাপকভাবে সমর্থনপুষ্টযার মধ্য দিয়ে এত কঠোর অবস্থানের পরও সরকারের ভিত অটুট রয়েছে। দেশে বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো সমাবেশকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ দেওয়ার মতো ঘোষণা সরকারের কঠোর অবস্থানকেই নির্দেশ করে।

এর বিপরীতে বিরোধী পিটিআই-র সে রকমভাবে তাদের শক্তিমত্তা প্রদর্শনের মতো সামর্থ্য এই মুহূর্তে আছে বলে মনে হয় না। পাকিস্তানে একটি সরকার গঠন হয়েছে মাত্র ৮ মাস হলো। পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল) এবং পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) মধ্যকার জোট সরকারের মধ্যে এখনো সুসম্পর্ক অটুট রয়েছে।

মনে রাখতে হবে, শক্তিমত্তার দিক দিয়ে এই দুই দলের অবস্থান ইমরান খানের পিটিআই-এর চেয়ে বেশি। আন্দোলন কর্মসূচি সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য জনগুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থাকা বাঞ্ছনীয়এক্ষেত্রে এর অভাব ছিলসাথে দলীয় সর্বসম্মত সিদ্ধান্তএটাও ছিল না বলে প্রতীয়মান হয়।

সবকিছু মিলে একটি আন্দোলনের জন্য সাংগঠনিক সমন্বয় যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ পিটিআই-র সাম্প্রতিক ব্যর্থ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তা আবারও প্রমাণিত হলো। তবে সরকারের দিক থেকেও এটা নিয়ে স্বস্তিতে থাকার কোনো কারণ নেইকারণ জনসমর্থন এবং সহানুভূতির দিক দিয়ে ইমরান খান এখনো অনেক এগিয়ে।

 ড. ফরিদুল আলম ।। অধ্যাপকআন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

দেশের সর্বত্র উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে পদত্যাগের চিন্তা করছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এমন গুঞ্জনের মধ্যে তার সঙ্গে দেখা করে আসলেই পদত্যাগ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ভাবছেন বলে নিশ্চিত করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। অবশ্য তিনি যেন এমন সিদ্ধান্ত না নেন সেই অনুরোধ জানিয়েছেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন নাহিদ ইসলাম। পরে বিবিসি বাংলাকে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতি, স্যারেরতো পদত্যাগের একটা খবর আমরা আজকে সকাল থেকে শুনছি। তো ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্যারের সাথে দেখা করতে গেছিলাম। প্রধান উপদেষ্টা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবেন না এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।’

এসময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও ছিলেন বলে জানা গেছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্যার বলছেন আমি যদি কাজ করতে না পারি… যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে আনছিলা একটা গণঅভ্যুত্থানের পর, দেশের পরিবর্তন, সংস্কার…। কিন্তু যেই পরিস্থিতি যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে। আমিতো এভাবে কাজ করতে পারবো না। তো রাজনৈতিক দলগুলা তোমরা সবাই একটা জায়গায়, কমন জায়গায় না পৌঁছাতে পারো।’

প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন নাহিদ। এ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘আমাদের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের ভবিষ্যৎ সবকিছু মিলিয়ে উনি যাতে শক্ত থাকেন এবং সব দলকে নিয়ে যাতে ঐক্যের জায়গায় থাকেন, সবাই তার সাথে আশা করি কো-অপারেট করবেন।’

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করছেন জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘হ্যাঁ, যদি কাজ করতে না পারেন, থাকবেন, থেকে কী লাভ। উনি বলছেন উনি এ বিষয়ে ভাবছেন। ওনার কাছে মনে হয়েছে পরিস্থিতি এরকম যে তিনি কাজ করতে পারবেন না।’

পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার এখনকার মনোভাবের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এখন ওনি যদি রাজনৈতিক দল তার পদত্যাগ চায়… সেই আস্থার জায়গা, আশ্বাসের জায়গা না পাইলে উনি থাকবেন কেন?’

জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

জুলাইয়ের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক শক্তির মধ্যে ফাটল তৈরি ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ র‍্যালি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৮০টি সংগঠনের ঐকবদ্ধ প্লাটফর্ম ‘জুলাই ঐক্য’।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে  প্রতিবাদ র‌্যালি শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যের এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, “যে ঐক্য নিয়ে আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থান করেছিলাম সে ঐক্য ভাঙতে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা ষড়যন্ত্র করে জুলাই ঐক্যকে বিনষ্ট করতে চাইবে জুলাই জনতা তাদেরকে আবারও দিল্লিতে পাঠিয়ে দেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে আমরা লড়ে যাবো। ভারতীয়, মার্কিন আগ্রাসনে ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জুলাই জনতা বুক পেতে আবার রাজপথে নেমে আসবে। আমরা আবারও বুকের তাজা রক্ত দেবো তবুও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নষ্ট হতে দেবো না।”

এ সময়  বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সচিবালয়ে ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর বসে আছে। ৩১ মে এর মধ্যে সচিবালয় থেকে ফ্যাসিবাদের সকল দোসর  অপসারণ না করলে সচিবালয় ঘেরাও হবে।”

জুলাই ঐক্যের আপ বাংলাদেশের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যে সকল ভারতীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত অপসারণ করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “জুলাইয়ের শহীদদের রক্তের ওপর আপনার সরকার গঠিত। আমরা আপনার ওপর আস্থা রাখতে চাই। জুলাইয়ের ঐক্যকে যারা নষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। অতি দ্রুত জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা দেন এবং আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করুন।”

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসার না দিয়ে উপদেষ্টারা ক্ষমতা উদযাপন শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ভারতীয় আধিপত্যবদের দোসরা আবারও দেশকে ভারতের কাছে তুলে দিতে চায়। উপদেষ্টা পরিষদে ভারতীয় কোনো দালাল থাকতে পারবে না। জুলাই যোদ্ধারা বেঁচে থাকতে তা সফল হবে না। এবার রাজপথে নামতে হলে আপনাদের উৎখাত করে দেশ ছাড়া করা হবে। যারা জুলাই ঐক্যের ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন।”

এছাড়াও জুলাই স্পিরিট ধরে রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকল ভেদাভেদ ভুলে সকল রাজনৈতিক ও সমাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি জানান। জুলাই ঐক্যের ৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—

ক) জুলাইয়ের সকল শক্তিকে বিনষ্ট করতে যে সকল ভারতীয় এজেন্ট কাজ করছে তাদের অবিলম্বে খুজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

খ) উপদেষ্টা পরিষদে যারা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ব্যাতিব্যাস্ত অবিলম্বে তাদের অপসারন করে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।

গ) অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র যথা সময়ে দিতে হবে।

উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ
উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

আগের সব ‘বিভাজনমূলক বক্তব্য ও শব্দচয়নের’ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও।

হাসনাত বলেছেন, “এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নগ্ন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপদেষ্টা মাহফুজ আব্দুল্লাহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এমন আহ্বান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সেখানে তিনি লিখেচেন, “জুলাইয়ের ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তির প্রতি আহ্বান—যে বিভাজনটা অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের মধ্যে এসেছিল, সেই বিভাজনকে দেশ ও জাতির স্বার্থে মিটিয়ে ফেলতে হবে।”

তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, “মনে রাখবেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনে দেশে-বিদেশে অনেকে নাখোশ হয়ে আছে। এই নাখোশ বান্দারা আমাদের বিভাজনের সুযোগ নিতে নিতে আজকের এই অস্থিতিশীল দিন এনেছে। আমরা সবাই এক হয়েছিলাম বলেই দীর্ঘ দেড় যুগের শক্তিশালী ফ্যাসিবাদকে তছনছ করতে পেরেছিলাম। আমরা খণ্ড-বিখণ্ড হলে পতিত ফ্যাসিবাদ ও তার দেশি-বিদেশি দোসরেরা আমাদের তছনছ করার হীন পাঁয়তারা করবে।”

হাসনাত বলেন, “দেশ ও জাতির প্রতি দায় এবং দরদ আছে বলেই আমরা এক হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়েছিলাম। দেশ ও জাতির জন্যই এবার আমাদের এক হয়ে আমাদের স্বদেশকে বিনির্মাণ করতে হবে। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থের জন্য এই ঐক্য নয়, বরং আমাদের দেশের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনও বিকল্প নেই।”

"> ">
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের ব্রাইডাল লুকে মুগ্ধতা ছড়ালেন অপু বিশ্বাস না আছে মরার ভয় না আছে হারাবার কিছু : আসিফ মাহমুদ গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন ট্টাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নাহিদ ইসলাম সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করল আইএসপিআর বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রেস বিজ্ঞপ্তি নাগরিক ছাত্র ঐক্য সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা বীরগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু শেরপুর সীমাবাড়ি ইউনিয়নের কদিম হাঁসড়া গ্রামে বিমলের বাড়িতে মাদকের আখরা, যেন দেখার কেউ নেই রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে বড় ধরনের বদলি! ভবানীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা পুলিশ অঞ্জাত কিশোরীর লাশ উদ্ধারের পরিচয় সনাক্তে ফেইসবুকে পোস্ট বীরগঞ্জে এনসিপি নেতা হাসনাতের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস পালিত বীরগঞ্জে মহান শ্রমিক দিবস পালিত ছোনকায় মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্নাঢ্য র‌্যালী শেষে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন কাহারোলে স্কাউটস দিবস উপলক্ষে র‍্যালি,পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু দুদকের আকস্মিক অভিযান: বীরগঞ্জ হাসপাতালে দুর্নীতির চিত্র উন্মোচিত শেরপুরে চোরসহ টলিগাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরায় আটক শেরপুরে ইউনিয়ন জামাতের সেক্রেটারীর ভাই ৭৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার শেরপুরে কলেজের অধ্যক্ষের দূর্ণীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।। শেরপুরে সভাপতি কর্তৃক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি তদন্ত করার কারনে সভাপতি পরিবর্তন নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শেরপুর উপজেলা বিএনপি’র আনন্দ শোভাযাত্রা শেরপুরে মাদ্রাসা শিক্ষিকার আত্মহত্যা।