খুঁজুন
শুক্রবার, ২৩শে মে, ২০২৫, ৯ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

স্টার্টআপে বাড়ুক পর্যাপ্ত বরাদ্দ

ওয়ারেছা খানম প্রীতি প্রকাশিত: শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:১৪ অপরাহ্ণ
স্টার্টআপে বাড়ুক পর্যাপ্ত বরাদ্দ

কেমন চলছে বাংলাদেশের এমএসএমই খাত? যদি আরও সুনির্দিষ্ট করে বলি, কেমন চলছে দেশের নারী ব্যবসায়ী দ্বারা পরিচালিত এমএসএমই খাত? এক্ষেত্রে একেকজন একেকভাবে উত্তর দিলেও শেষমেশ সারাংশ একই আসবে। আমরা সবাই জানি এমএসএমই খাত নানাভাবে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা পেয়ে থাকে। যদিও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেসব সহযোগিতা অদৃশ্য।

কেবল শোনা যায়, দেখা যায় না। তবে পরোক্ষভাবে থাকে নীতিনির্ধারণী বিষয়াদিতে। এই হলো এমএসএমই খাতের সারমর্ম। এই যে বিপুল সংখ্যক নারী ব্যবসার সাথে যুক্ত হয়েছে তার কতদিনইবা হলো! একদম সাল গুনে বলা যাবে। ব্যবসা করেও যে নিজেকে উচ্চপদে নিয়ে যাওয়া সম্ভব সেই ভাবনাটাও তৈরি হয়েছে মাত্র কয়েক বছর হয়! সুতরাং এই নারী ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি ও পর্যাপ্ত পরিমাণে লজিস্টিক সাপোর্ট দিতে হবে। সেটা সম্ভব না হলে নারীদের মাধ্যমে সৃষ্টি হওয়া দেশীয় অর্থনীতির বিশাল সম্ভাবনা অচিরেই আশঙ্কাতে পরিণত হবে।

কয়েক বছরে নারীদের ব্যবসা একটা পর্যায় পর্যন্ত আসলেও চড়াই উতরাই পেরিয়ে এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এখনো ঠিকঠাক দাঁড়াতে পারেনি। দাঁড়াতে গেলে তাদের হাঁটু কাঁপে। তারও অনেক কারণ আছে। সরকারের নীতিনির্ধারক কর্তৃপক্ষকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে যাতে করে এমএসএমই খাতের অন্তরায়গুলো শনাক্ত করে ক্রমান্বয়ে উত্তরণ ঘটানো যায়!

ব্যবসাতে প্রতিদিনের যে হাজার রকম চ্যালেঞ্জ আছে সেটা চাকরিতে নেই, কিন্তু চাকরিতে ব্যক্তির অর্থনৈতিক নিরাপত্তা আছে। সুতরাং টিকে থাকলে হলে ব্যবসাকে অবশ্যই সবসময় লাভজনক অবস্থায় থাকতে হবে। এটাই নিয়ম। তবে ব্যবসা খাত শুধু লাভজনকই না, টেকা কিংবা না টেকার বিষয়টা ব্যক্তির দূরদর্শিতার সাথে নির্ভর করে দেশের অর্থনীতি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সিদ্ধান্তের ওপরে।

এই যেমন অর্থবছরের ঠিক মাঝামাঝিতে এসে সরকার ভ্যাট ট্যাক্স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কী মনে হয় বলুন তো! অর্থবছরের শুরুতে সরকারের বাজেট ঘোষণার পরে একদফা পণ্যের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। এখন অর্থবছরের মাঝামাঝিতে এসে আরেকদফা পণ্যের দাম হুট করে বাড়ানো ব্যবসায়ীদের পক্ষে সত্যিই কঠিন।

ব্যবসাতে প্রতিদিনের যে হাজার রকম চ্যালেঞ্জ আছে সেটা চাকরিতে নেই, কিন্তু চাকরিতে ব্যক্তির অর্থনৈতিক নিরাপত্তা আছে। সুতরাং টিকে থাকলে হলে ব্যবসাকে অবশ্যই সবসময় লাভজনক অবস্থায় থাকতে হবে। এটাই নিয়ম।

আমাদের প্রত্যাশা থাকবে বৃহত্তর স্বার্থে কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তের পুনর্বিবেচনা করবেন। আসলে ভোক্তা হিসেবে ভুক্তভোগী তো সেই সাধারণ জনগণই হয়! যদিও অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভ্যাট বাড়লেও জিনিসপত্রের দামের ওপর তেমন প্রভাব পড়বে না। জানি না কীভাবে সম্ভব!

তবে আমরা সাধারণ জনগণ ও এমএসএমই খাতের ব্যবসায়ীরা নীতিনির্ধারক কমিটির কথামালার ওপরে ভরসা রাখতে চাই। যদিও হুটহাট ভ্যাট আরোপ এখন ব্যবসার জন্য প্রধান উদ্বেগে পরিণত হয়েছে।

জীবনের জন্য উদ্বেগ যেমন একটা ধারাবাহিকতা তেমনি স্বস্তিটাও ধারাবাহিকতা হওয়া উচিত। আমাদের চেষ্টা থাকে দুটো শব্দের মধ্যে ভারসাম্য করার। তবে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এই দায়িত্ব অনেকখানি বর্তায় সরকারের ওপরে। স্বস্তির প্রত্যাশা তাই কিছুটা তার ওপরে চাপিয়ে দিতে চাই।

আমরা সবাই জানি এবং ইতিমধ্যে অভ্যস্তও হয়ে পড়েছি। কী সে বলুন তো! ই-কমার্সে। পৃথিবীব্যাপীই বিশাল ই-কমার্স বাজার সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এবং বাজারটা ক্রমবর্ধমান সুতরাং এই খাত থেকে সরকারের বড় রকমের রাজস্ব আয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে এই ই-কমার্স খাতে ক্ষুদ্র ও তৃণমূল পর্যায়ের উদ্যোক্তারা সিংহভাগ অবদান রাখবে। শুধু যেটা করতে হবে ই-কমার্সের বিশাল সম্ভাবনাকে অবারিত করতে আমাদের যোগ্য প্রতিনিধি প্রস্তুত করতে হবে।

ক্রসবর্ডার বাণিজ্যের জটিল প্রক্রিয়াগুলো ব্যবসায়ীদের জন্য সহজ করতে হবে। স্থানীয় সহজলভ্য পণ্যকে মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য প্রস্তুত করতে হবে। নিরাপদ পেমেন্ট গেটওয়ে ও কুরিয়ার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে ‘চাহিবামাত্র’ ব্যবসায়ীদের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়ার মতো করে প্রস্তুত করতে হবে। পাশাপাশি প্রতিযোগিতামূলক বাজারে কর্মঠ ও টেকসই প্রতিনিধি তৈরিতে আমাদের এমএসএমই ব্যবসায়ীদের উচ্চতর প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ করে তুলতে হবে। এইসব কার্যক্রমই সফল হতে পারে সরকারের সদিচ্ছামূলক নীতি নির্ধারণ ও পৃষ্ঠপোষকতায়।

পৃথিবীব্যাপীই বিশাল ই-কমার্স বাজার সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে এবং বাজারটা ক্রমবর্ধমান সুতরাং এই খাত থেকে সরকারের বড় রকমের রাজস্ব আয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

ব্যবসায় হাজারও চ্যালেঞ্জ থাকে তারপরেও ছন্দময় হয়ে উঠতে পারে যদি দেশের অভ্যন্তরীণ অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকে। কারণ অস্থিতিশীল অর্থনীতির কবলে প্রথমেই একজন ব্যবসায়ীকে পড়তে হয়। আর সেই ব্যবসায়ী এমএসএমই হলে তো কথাই নেই! অভিযোগের সুরে অনেককেই বলতে শুনেছি, নারীরা টিপিক্যাল কিছু ব্যবসার বাইরে নতুন কিছু ভাবতে পারে না। হয়তো এখনকার জন্য সত্যি। আগামীর জন্য নয়।

কয়দিন হলো নারীরা ব্যবসা করতে শিখেছে! এখন বরং তার দক্ষতার জায়গায় হাত পাকাক। কয়দিন পর না হয় স্টার্টআপ নিয়ে কাজ করবে। স্টার্টআপ পৃথিবীব্যাপী এখন খুবই জনপ্রিয় একটা টার্ম। মূলত শুরুটা করা হয় প্রতিযোগিতার বাইরের একটি ব্যবসায়িক ধারণা থেকে।

দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যবসাকে লাভজনক করতে হবে সেটারও আনঅফিসিয়ালি একটা সময়সীমা নির্ধারণ করা থাকে। এবং অবশ্যই স্টার্টআপ ব্যবসাটা শুরু করতে হবে অনন্য কোনো আইডিয়া নিয়ে অথবা প্রচলিত কোনো আইডিয়ার অনন্য কোনো বাস্তবায়ন নিয়ে। ব্যবসার মডেল টেকসই হতে হবে এবং খরচাপাতি পূরণ হওয়ার পর সঠিক রাজস্ব নিশ্চিত করতে হবে। না হয় একেবারে লেজেগোবরে অবস্থা হবে এবং তখন গালভরা শব্দ ‘স্টার্টআপ’ মুখ থুবড়ে পড়বে।

একারণে পৃথিবীব্যাপী একটা ব্যাপার ঘটে। দুর্দান্ত আইডিয়ার স্টার্টআপকে চালু করার জন্য, কখনো বা প্রোটোটাইপ থেকে একটা স্তর অবধি এগিয়ে নেওয়ার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান; সেটা হতে পারে সরকারি কিংবা বেসরকারি।

আমরা প্রত্যাশা করবো সরকার ব্যবসায়ী নারীদের জন্য প্রণোদনা সরূপ কেবল কয়েক হাজার টাকা বরাদ্দ করবে না, বরং নারীদের স্টার্টআপে কোটি টাকার প্রণোদনা বরাদ্দ করবে। কারণ আমি জানি একজন নারী যখন কোনো কাজ করবো বলে সে সেটার শেষ অবধি চেষ্টা করে এবং সফল হয়।

ওয়ারেছা খানম প্রীতি ।। প্রেসিডেন্ট, হার ই-ট্রেড

‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:৩১ পূর্বাহ্ণ
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের

দেশের সর্বত্র উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে গুঞ্জন শুরু হয়েছে পদত্যাগের চিন্তা করছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এমন গুঞ্জনের মধ্যে তার সঙ্গে দেখা করে আসলেই পদত্যাগ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ভাবছেন বলে নিশ্চিত করলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। অবশ্য তিনি যেন এমন সিদ্ধান্ত না নেন সেই অনুরোধ জানিয়েছেন সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় গিয়ে তার সাথে সাক্ষাৎ করেন নাহিদ ইসলাম। পরে বিবিসি বাংলাকে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘দেশের চলমান পরিস্থিতি, স্যারেরতো পদত্যাগের একটা খবর আমরা আজকে সকাল থেকে শুনছি। তো ওই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে স্যারের সাথে দেখা করতে গেছিলাম। প্রধান উপদেষ্টা দেশের চলমান পরিস্থিতিতে কাজ করতে পারবেন না এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।’

এসময় তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও ছিলেন বলে জানা গেছে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘স্যার বলছেন আমি যদি কাজ করতে না পারি… যে জায়গা থেকে তোমরা আমাকে আনছিলা একটা গণঅভ্যুত্থানের পর, দেশের পরিবর্তন, সংস্কার…। কিন্তু যেই পরিস্থিতি যেভাবে আন্দোলন বা যেভাবে আমাকে জিম্মি করা হচ্ছে। আমিতো এভাবে কাজ করতে পারবো না। তো রাজনৈতিক দলগুলা তোমরা সবাই একটা জায়গায়, কমন জায়গায় না পৌঁছাতে পারো।’

প্রধান উপদেষ্টাকে পদত্যাগের মতো সিদ্ধান্ত না নিতে আহ্বান জানিয়েছেন নাহিদ। এ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘আমাদের গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা ও দেশের ভবিষ্যৎ সবকিছু মিলিয়ে উনি যাতে শক্ত থাকেন এবং সব দলকে নিয়ে যাতে ঐক্যের জায়গায় থাকেন, সবাই তার সাথে আশা করি কো-অপারেট করবেন।’

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করছেন জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘হ্যাঁ, যদি কাজ করতে না পারেন, থাকবেন, থেকে কী লাভ। উনি বলছেন উনি এ বিষয়ে ভাবছেন। ওনার কাছে মনে হয়েছে পরিস্থিতি এরকম যে তিনি কাজ করতে পারবেন না।’

পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার এখনকার মনোভাবের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এখন ওনি যদি রাজনৈতিক দল তার পদত্যাগ চায়… সেই আস্থার জায়গা, আশ্বাসের জায়গা না পাইলে উনি থাকবেন কেন?’

জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:২৮ পূর্বাহ্ণ
জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ

জুলাইয়ের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক শক্তির মধ্যে ফাটল তৈরি ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ র‍্যালি ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৮০টি সংগঠনের ঐকবদ্ধ প্লাটফর্ম ‘জুলাই ঐক্য’।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ১১ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে  প্রতিবাদ র‌্যালি শুরু হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে আবারও রাজু ভাস্কর্যের এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।

সমাবেশে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলোর নেতারা বলেন, “যে ঐক্য নিয়ে আমরা জুলাই গণঅভ্যুত্থান করেছিলাম সে ঐক্য ভাঙতে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে। যারা ষড়যন্ত্র করে জুলাই ঐক্যকে বিনষ্ট করতে চাইবে জুলাই জনতা তাদেরকে আবারও দিল্লিতে পাঠিয়ে দেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে আমরা লড়ে যাবো। ভারতীয়, মার্কিন আগ্রাসনে ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জুলাই জনতা বুক পেতে আবার রাজপথে নেমে আসবে। আমরা আবারও বুকের তাজা রক্ত দেবো তবুও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নষ্ট হতে দেবো না।”

এ সময়  বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সচিবালয়ে ফ্যাসিবাদের অনেক দোসর বসে আছে। ৩১ মে এর মধ্যে সচিবালয় থেকে ফ্যাসিবাদের সকল দোসর  অপসারণ না করলে সচিবালয় ঘেরাও হবে।”

জুলাই ঐক্যের আপ বাংলাদেশের প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মিনহাজ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যে সকল ভারতীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে তাদের চিহ্নিত করে অতি দ্রুত অপসারণ করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, “জুলাইয়ের শহীদদের রক্তের ওপর আপনার সরকার গঠিত। আমরা আপনার ওপর আস্থা রাখতে চাই। জুলাইয়ের ঐক্যকে যারা নষ্ট করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। অতি দ্রুত জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা দেন এবং আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করুন।”

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসার না দিয়ে উপদেষ্টারা ক্ষমতা উদযাপন শুরু করেছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ভারতীয় আধিপত্যবদের দোসরা আবারও দেশকে ভারতের কাছে তুলে দিতে চায়। উপদেষ্টা পরিষদে ভারতীয় কোনো দালাল থাকতে পারবে না। জুলাই যোদ্ধারা বেঁচে থাকতে তা সফল হবে না। এবার রাজপথে নামতে হলে আপনাদের উৎখাত করে দেশ ছাড়া করা হবে। যারা জুলাই ঐক্যের ফাটল ধরানোর চেষ্টা করছে তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করুন।”

এছাড়াও জুলাই স্পিরিট ধরে রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকল ভেদাভেদ ভুলে সকল রাজনৈতিক ও সমাজিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি জানান। জুলাই ঐক্যের ৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—

ক) জুলাইয়ের সকল শক্তিকে বিনষ্ট করতে যে সকল ভারতীয় এজেন্ট কাজ করছে তাদের অবিলম্বে খুজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

খ) উপদেষ্টা পরিষদে যারা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে ব্যাতিব্যাস্ত অবিলম্বে তাদের অপসারন করে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।

গ) অবিলম্বে জুলাই ঘোষণাপত্র যথা সময়ে দিতে হবে।

উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫, ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ
উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক

আগের সব ‘বিভাজনমূলক বক্তব্য ও শব্দচয়নের’ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও।

হাসনাত বলেছেন, “এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নগ্ন, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বৃহস্পতিবার (২২ মে) উপদেষ্টা মাহফুজ আব্দুল্লাহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এমন আহ্বান জানান হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সেখানে তিনি লিখেচেন, “জুলাইয়ের ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তির প্রতি আহ্বান—যে বিভাজনটা অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের মধ্যে এসেছিল, সেই বিভাজনকে দেশ ও জাতির স্বার্থে মিটিয়ে ফেলতে হবে।”

তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, “মনে রাখবেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনে দেশে-বিদেশে অনেকে নাখোশ হয়ে আছে। এই নাখোশ বান্দারা আমাদের বিভাজনের সুযোগ নিতে নিতে আজকের এই অস্থিতিশীল দিন এনেছে। আমরা সবাই এক হয়েছিলাম বলেই দীর্ঘ দেড় যুগের শক্তিশালী ফ্যাসিবাদকে তছনছ করতে পেরেছিলাম। আমরা খণ্ড-বিখণ্ড হলে পতিত ফ্যাসিবাদ ও তার দেশি-বিদেশি দোসরেরা আমাদের তছনছ করার হীন পাঁয়তারা করবে।”

হাসনাত বলেন, “দেশ ও জাতির প্রতি দায় এবং দরদ আছে বলেই আমরা এক হয়ে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়েছিলাম। দেশ ও জাতির জন্যই এবার আমাদের এক হয়ে আমাদের স্বদেশকে বিনির্মাণ করতে হবে। কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থের জন্য এই ঐক্য নয়, বরং আমাদের দেশের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনও বিকল্প নেই।”

"> ">
‘পদত্যাগের’ কথা ভাবছেন ড. ইউনূস, না করার অনুরোধ নাহিদের জুলাই ঐক্য বিনষ্টের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ উপদেষ্টা মাহফুজের পর হাসনাতেরও ঐক্যের ডাক প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার আহ্বান জামায়াত আমিরের ব্রাইডাল লুকে মুগ্ধতা ছড়ালেন অপু বিশ্বাস না আছে মরার ভয় না আছে হারাবার কিছু : আসিফ মাহমুদ গ্রেপ্তারের ক্ষমতা পেলেন ট্টাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নাহিদ ইসলাম সেনানিবাসে আশ্রয় নেওয়াদের পরিচয় প্রকাশ করল আইএসপিআর বীরগঞ্জে বীজ ডিলার ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত চলমান আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রেস বিজ্ঞপ্তি নাগরিক ছাত্র ঐক্য সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা বীরগঞ্জে ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৪ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু শেরপুর সীমাবাড়ি ইউনিয়নের কদিম হাঁসড়া গ্রামে বিমলের বাড়িতে মাদকের আখরা, যেন দেখার কেউ নেই রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে গ্রাহক সেবার মানোন্নয়নে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে বড় ধরনের বদলি! ভবানীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের উদ্যোগে আরাফাত রহমান কোকো ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানা পুলিশ অঞ্জাত কিশোরীর লাশ উদ্ধারের পরিচয় সনাক্তে ফেইসবুকে পোস্ট বীরগঞ্জে এনসিপি নেতা হাসনাতের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নানা কর্মসূচীর মধ্যদিয়ে বীরগঞ্জে আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস পালিত বীরগঞ্জে মহান শ্রমিক দিবস পালিত ছোনকায় মহান মে দিবস উপলক্ষে বর্নাঢ্য র‌্যালী শেষে শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পন কাহারোলে স্কাউটস দিবস উপলক্ষে র‍্যালি,পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের যন্ত্রাংশ চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু দুদকের আকস্মিক অভিযান: বীরগঞ্জ হাসপাতালে দুর্নীতির চিত্র উন্মোচিত শেরপুরে চোরসহ টলিগাড়ি পাবনার ভাঙ্গুরায় আটক শেরপুরে ইউনিয়ন জামাতের সেক্রেটারীর ভাই ৭৫০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার শেরপুরে কলেজের অধ্যক্ষের দূর্ণীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন।। শেরপুরে সভাপতি কর্তৃক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি তদন্ত করার কারনে সভাপতি পরিবর্তন নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শেরপুর উপজেলা বিএনপি’র আনন্দ শোভাযাত্রা শেরপুরে মাদ্রাসা শিক্ষিকার আত্মহত্যা।